১৮ বছর ধরে অন্যের ‘বিদ্যুৎ বিল’ দিয়ে আসছিলেন তিনি!
অনেক বেশিই আসছিল বিদ্যুৎ বিল। সেই বিল কমানোর চেষ্টায় বিদ্যুতের ব্যবহারও কমিয়েছিলেন। তাতেও কাজ হচ্ছিল না। কেনো এমনটা হচ্ছে- তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হন তিনি। আর সেখানেই যা জানতে পারেন, তাতে চোখ কপালে ওঠে তার। বলছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা কেন উইলসনের কথা। ২০০৬ সাল থেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকেন কেন উইলসন। সেখানে বিদ্যুৎ সেবা দেয় বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণ কোম্পানি প্যাসিফিক গ্যাস অ্যান্ড ইলেকট্রিক (পিজিঅ্যান্ডই)। কিন্তু সম্প্রতি উইলসন দেখেন, বিদ্যুতের বিল বেড়েই যাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও বিল কমাতে পারছিলেন না তিনি। ঘটনা কী, তা জানতে উইলসন পিজিঅ্যান্ডই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে চান, ব্যবহার কমানোর পরও তার বিদ্যুৎ বিল কেনো এত বাড়ছে? জানা যায়, বাড়তি সেই বিদ্যুৎ বিল তার নয়, বরং তার প্রতিবেশীর। এক বা দুই মাস না, বছরের পর বছর ধরে উইলসন এভাবেই প্রতিবেশীর বিল দিয়ে আসছিলেনন! সিবিএস স্যাক্রামেন্টোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উইলসন তার অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সেখানে কোনো লিক হয়েছে কিংবা কেউ আমার বিদ্যুৎ চুরি করে নিচ্ছে। অথবা আমার বিদ্যুতের মিটারে ত্রুটি আছে। কারণ, কিছু একটা ঠিকঠাক চলছিল না।’ অভিযোগ পেয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির এক কর্মী উইলসনের মিটার পরীক্ষা করতে তার বাড়িতে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায়, প্রতিবেশীর বিদ্যুৎ বিলকেই উইলসনের অ্যাপার্টমেন্টের বিদ্যুৎ বিল হিসেবে দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে তার অ্যাপার্টমেন্টের বিল এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। উইলসন বলেছেন, তিনি ১৮ বছর ধরে ওই অ্যাপার্টমেন্টে আছেন। তার ধারণা, এ পুরোটা সময় ধরেই তিনি তার প্রতিবেশীর বিদ্যুৎ বিলই দিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় অবশ্য পিজিঅ্যান্ডই কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘আমরা স্বীকার করছি যে, এ ক্ষেত্রে ত্রুটি হয়েছে।’ তবে এ ঘটনায় তারা উইলসনকে ক্ষতিপূরণ দেবে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি সংস্থাটি। তথ্যসূত্র: ইউপিআই