সুদানে মহামারীর উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদানে মানবিক সংকট বেড়েই চলেছে। সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর দুই গ্রুপের যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে দেশটিতে। অসুস্থ মানুষ অর্থ খরচ করে ওষুধ না কিনে সেই অর্থ দিয়ে খাবার কিনে খাচ্ছে। সব মিলিয়ে মানবিক বিপর্যয় ও চরম দুভিক্ষে দিন পার করছে সুদানের মানুষ। এরই মধ্যে আবার ছড়িয়ে পড়ছে মহামারিও। তবে শিশুরাই মহামারি রোগের উচ্চ ঝঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মঙ্গলবার সংস্থাটি বলেছে, সুদানে পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত ৩৪ লাখ শিশু মারাত্মক মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিবৃতিতে সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, হাম ও রুবেলার মতো রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শিশুদের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে টিকাদানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সুদানের অনেক শিশুর পুষ্টির অবস্থার অবনতি তাদের আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউনিসেফ গত ৯ সেপ্টেম্বর সুদানে ৪ লাখ ৪ হাজার ডোজ ওরাল কলেরা টিকা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতের কারণে সুদানে টিকা দেওয়া ৮৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, সঙ্ঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি হাসপাতালেই কার্যকম বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বেতনও পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। এ সময় কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। যেসব রোগের কারণেও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইথাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কলেরা ছড়িয়ে পড়ার জন্য সঙ্ঘাতের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অবনতি এবং অপরিষ্কার পানির ব্যবহারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৩২৮ জনের মৃত্যুসহ ১০ হাজার ২২ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।