কওমি ছাত্রদের বিসিএসে অংশ নিতে না দেওয়া বৈষম্য: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, কওমি মাদ্রাসার স্বাতন্ত্র্যতা ঠিক থাকবে এ বিষয়ে সবাই একমত। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির জন্য শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের (রহ.) আন্দোলনে আমার বাবা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম পির সাহেব চরমোনাই (রহ.) হাসপাতাল থেকে রাজপথে শরিক হয়েছিলেন। তার উপস্থিতিতে শায়খুল হাদিস (রহ.) বলেছিলেন, আমি আমার ডান হাত পেয়েছি। বৈষম্য নিরসনে কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কাকরাইলে জাতীয় সেমিনার-২০২৪-এ প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আমরা কওমি মাদ্রাসার স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখে যথাযথভাবে স্বীকৃতি ও অধিকার চাই। একজন কওমি মাদ্রাসার ছাত্রকে বিসিএসে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া চরম বৈষম্য। একজন কওমির ছাত্র বিসিএসে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ না হলে আপত্তি নেই কিন্তু তাকে কেন বিসিএসে অংশ নিতে দেওয়া হবে না? তিনি বলেন, দেশের সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া হয় না। কওমি মাদ্রাসার ছেলেরা বিসিএসে সরাসরি অংশ নিতে পারে না। আমরা চাই সব ক্ষেত্রে কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিযোগীতায় অংশ নেবে। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনা করেন- শায়খ জাকারিয়া ইসলামী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আবদুল আউয়াল নারায়নগঞ্জ, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ও হাফেজ মাওলানা হামজা শহিদুল ইসলাম, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ প্রমুখ। জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি রেজাউল করীম আবরার ও জয়েন্ট সেক্রেটারি শামসুদ্দোহা আশরাফী সেমিনার পরিচালনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী নিম্নে উল্লেখিত কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবিতে সেমিনার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে একই দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ।