ইরানে হিজাব নিয়ে নারীদের আর ‘বিরক্ত’ করবে না পুলিশ
বাধ্যতামূলক হিজাব বা হেড স্কার্ফ পরার বিষয়ে ইরানে নারীদের আর ‘বিরক্ত’ করবে না নৈতিক পুলিশ। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এ কথা জানিয়েছেন। কঠোর পোশাক নীতি ভঙ্গ করার জন্য নারীদের এখনও সহিংস শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার কয়েক দিন পর তিনি এই ঘোষণা দিলেন। ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর দ্বিতীয় বার্ষিকীতে পেজেশকিয়ানের এই মন্তব্য সামনে এসেছে। খবর বিবিসির। সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং পরে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা দেশব্যাপী প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল। জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছে, ইরানের সরকার সেই সময় থেকেই নারীদের অধিকারকে দমন করতে এবং প্রতিবাদ-বিক্ষোভের শেষ নিদর্শনকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘তীব্র প্রচেষ্টা’ চালিয়েছে। কিন্তু সোমবার পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের নৈতিক পুলিশের আর রাস্তায় নারীদের মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পেজেশকিয়ান। তাকে একজন সম্ভাব্য সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে দেখা হয়। ইরানের একজন নারী প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় পেজেশকিয়ান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পুলিশ ভ্যান এড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য তিনি বেশ কয়েকটি পথ ঘুরেছেন। তিনি তার মাথার স্কার্ফ পরা ছিলেন এবং তার কিছু চুলও দেখা যাচ্ছিল।