২০০ একর জমি বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিচ্ছে ভারত

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতীয় সীমান্তে বিলীন হওয়া প্রায় ২০০ একর জমির মালিকানা ফিরে পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকরা। গত রোববার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিবদমান জমি নিয়ে আলোচনায় জমির মালিকানা প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ একর জমি ফেরত পাবে ভারত। বিজিবি জানায়, দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫২/৭-এস পিলারের কাছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মোর্শেদ। বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ১৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং। বিএসএফের আমন্ত্রণে এই বৈঠকে দু’দেশের জমির মালিকানা ইস্যু ছাড়াও সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ভারত থেকে চোরাই পথে মাদকদ্রব্য পাচার রোধে বিজিবির পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়। বিজিবি সূত্র ও জমির মালিকরা জানান, ভারত সীমান্ত লাগোয়া দৌলতপুরের রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া, মহম্মদপুর, বগমারী গ্রাম নব্বইয়ের দশকে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এর পর কয়েক বছরে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় এসব জমি নদী থেকে জেগে ওঠে। ২০০৬ সালে মালিকরা আবাদের উদ্দেশ্যে ওই জমিতে গেলে ‘জমি ভারতের’– দাবি করে বিএসএফ সদস্যরা তাদের চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে সে সময় কয়েক দফা বিজিবি-বিএসএফ উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের পরও সুরাহা হয়নি। এর পর থেকে ভারতের দখলেই ছিল এসব জমি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ভারতের দখলে থাকা জমির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার সংবাদে মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। চল্লিশপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুকুল বিশ্বাস বলেন, তাঁর নিজেরসহ ৫০-৬০ জনের মালিকানা রয়েছে এসব জমিতে। দীর্ঘদিন পরে হলেও জমি ফেরত পাবেন জেনে তারা খুশি। ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারির জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ পাবে ২০০ একর এবং ভারত পাবে ৪০ একর। আগামী মাসের মধ্যে দু’দেশের জমি মালিকদের এসব জমি বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।