শুধু অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই: মিম
বিদ্যা সিনহা মিম। অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি বানভাসি এলাকায় ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ত্রাণ দিয়ে মানবিক এক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর অভিনীত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমা। আর অপেক্ষায় আছেন নতুন কাজে ফেরার। সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় মিমের সঙ্গে। সম্প্রতি ত্রাণ দিতে চাঁদপুরে গিয়েছিলেন। সেখানের অবস্থা কেমন দেখলেন? আমি ‘রিমার্ক হারল্যান’-এর অরিক্স নামের একটি পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এ প্রতিষ্ঠানের হয়েই ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম। ত্রাণ নিয়ে যখন ভোরের দিকে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হই, তখনও ভাবনায় ছিল না সেখানকার মানুষ এতটা কষ্টে আছে। ভালো পরিবারও বন্যায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। ঠিকমতো খাবারটাও খেতে পারছে না। এসব চিত্র দেখার পর তাদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হয়েছে। আগামীতে দেশের যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তীব্র প্রেরণা পেয়েছি এখান থেকে। দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আগামীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু করার পরিকল্পনা আছে কি? সেটা এখনও আছে। আমি সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। তবে এটা ফলাও করে প্রচারের কিছু নেই। তবে আগামীতে আরও বড় আকারে কিছু করার পরিকল্পনা আছে। চাঁদপুরে ত্রাণ দিতে গিয়ে এ পরিকল্পনা জোরালো হয়েছে। দেশে বড় একটা গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেল। এর আগে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে শোবিজের অনেক শিল্পীর কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? দেখুন, তারকা কিংবা বিজনেসম্যান বা চাকরি যেই হই না কেন। সব মানুষের আলাদা আলাদা রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকবেই। তবে সেই বিশ্বাস যেন পাশের মানুষটি বা রাষ্ট্রের ক্ষতি ডেকে না আনে। আমরা যারা অভিনয়শিল্পী, আমাদের কিন্তু সব দলের, সব বিশ্বাসের মানুষের ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। তাই শিল্পীদের সব ক্ষেত্রেই ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হয়। যারা সমালোচিত হচ্ছেন, তারা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্যই হচ্ছেন। এটা নিয়ে আমার বেশি কিছু বলার নেই। আমি শুধু অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই। অভিনয়টা করে যেতে চাই আমৃত্যু। ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করেছিলেন, সেই সিনেমার খবর কী? ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবি এটি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। পান্না কায়সার একজন লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী শহীদুল্লাহ কায়সারকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর আর তিনি ফিরে আসেননি। তাদের জীবনী নিয়েই ছবিটির গল্প। শুটিং শেষ হয়েছে। তবে কবে মুক্তি পাবে, সেটা আমি বলতে পারব না। নতুন কাজের খবর? গণঅভ্যুত্থানের পর তো নতুন করে কাজে তেমন কেউ ফিরতে পারছেন না। সব কিছুই নতুন করে শুরু হচ্ছে। নতুন কাজ নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রুতই সেগুলো নিয়ে শুটিংয়ে ফিরতে চাই।