সেনাবাহিনীর সহায়তায় নতুন এমডির যোগদান
তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো কাজ না করে সারাদিন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিন কাটিয়েছেন তারা। তাদের বাধায় পুলিশ নিয়েও গতকাল দিনভর চেষ্টা করেও কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাত ৯টায় তিনি অফিসে প্রবেশ করেন। জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর তিতাসের চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি বাতিল করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এর পর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ তাঁকে তিতাসে বসতে দিতে চায় না। ফলে নতুন এমডি নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার পেট্রোবাংলায় হামলা, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। গতকালও তিতাসজুড়ে ছিল চরম অস্থিরতা। তালা মেরে রাখা হয়েছে এমডির কার্যালয়। তিতাসের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, তিতাসের আন্দোলনকে উস্কে দেওয়ার পেছনে তিতাসের জিএম (জিএম ইএসডি) হেলাল তালুকদার, জিএম (অডিট) মো. রাশিদুল আলম, ডিজিএম (পিসিডি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পিডি কাওসার আলম সুমনের হাত রয়েছে। এ ব্যাপারে হেলাল তালুকদারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি সময় দেননি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রেখে গণস্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ৫ আগস্টের পরে হেলাল তালুকদার অনেকটা জোর করে ডিজিএম থেকে পদোন্নতি নিয়ে জিএম হন। এ ছাড়া পুরো তিতাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তিনি। গত এক মাসে অন্তত ১০০ জন বদলি হয়েছে তাঁর তালিকা অনুযায়ী। এদিকে পেট্রোবাংলায় বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জিএম হেলাল তালুকদারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গতকাল তাঁকে পদাবনতি দিয়ে জিএম থেকে ডিজিএম করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ইতোমধ্যে ডিপিডিসিতে অন্যায়ভাবে নেওয়া বদলি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কোম্পানিগুলোতে যেসব বদলি ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হবে।