রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে ৮ ঘণ্টা অবরোধ, দুর্ভোগ
ছয় দফা দাবিতে টানা ৮ ঘণ্টা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে রাখেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার তাদের আকস্মিক এ অবরোধে স্থবির হয়ে পড়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা। রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও বিদেশগামী যাত্রীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনরত পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। তারা এ সময় সাতরাস্তার মোড়সহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। মগবাজার থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার ও নিচের সড়ক এবং এফডিসি থেকে হাতিরঝিলের মুখ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে তারা অবস্থান নেন। এতে চতুর্দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ২টার আগ পর্যন্ত কোনো জরুরি সেবার গাড়িসহ অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করতে দেননি অবরোধকারীরা। তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। অনেকে জরুরি কাজ থাকায় হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মগবাজার-মহাখালী সড়ক বন্ধ থাকায় পুরো নগরীতে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের পল্টন, শান্তিনগর, হাতিরঝিল, কাকরাইল, মিন্টো রোড, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, বিজয় সরণিসহ আশপাশের এলাকায় অসহনীয় যানজট চোখে পড়ে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাতরাস্তা মোড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেখা যায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনুরোধ করছেন এফডিসি সড়কে আটকা পড়া তাদের বহনকারী বাসটি ছেড়ে দিতে। এর আগে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করলেও তারা ছাড়েনি। পরে সেনাসদস্যদের অনুরোধে একপর্যায়ে বাসটি ছেড়ে দেন অবরোধকারীরা। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে তাদের নিরাপত্তায় সক্রিয় দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। পরে বেলা সাড়ে ৩টায়ও রাস্তা না ছাড়লে সেনাসদস্যরা সাতরাস্তায় অবস্থান নেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অনুরোধে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সড়কের এক লেন খুলে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল কিছুটা শুরু হয়।