সাতরাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধ, তীব্র যানজট, ভোগান্তি
ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে মগবাজার-মহাখালী, খামারবাড়ি-ফার্মগেট-শাহবাগ-কারওয়ানবাজার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে দশটার পর থেকে তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান করছেন। সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের কারণে হাতিরঝিল, রামপুরা, মগবাজার, শান্তিনগর, কাকরাইল ও মিন্টু রোড এলাকায়ও তীব্র যানজট দেখা গেছে। এসব এলাকায় শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স দেখলেই ছেড়ে দিচ্ছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তেজগাঁ আসছিলেন মাহিন হাসান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘অন্যদিন অফিসে আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে সর্বোচ্চ। আজ আসতে গিয়ে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেছে। খামারবাড়ি থেকেই যানজট দেখেছি। কোনো যানবাহন নড়ছে না। তারপর ফার্মগেটেও তীব্র যানজট। তেঁজগা রেলক্রসিং বন্ধ করে রাখা হয়েছে। হাতিরঝিলের সামনে-সাতরাস্তাও বন্ধ। তীব্র রোদ এবং গরমের মধ্যে হেঁটেই অফিসে এসেছি।’ ডিএমপি তেজগাঁও জোনের সরকারি কমিশনার (ট্রাফিক) স্নেহ শীষ বলেন, শিক্ষার্থীদের হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে এইসব এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের কারিগরি অধিদপ্তর এবং সব প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত স্থানান্তর করতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতি সেমিস্টার (পর্ব) পূর্ণ মেয়াদের (ছয় মাস) করতে হবে। উপসহকারী প্রকৌশলী পদে (১০ম গ্রেড) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন না এবং উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত কোনো জনবল থাকতে পারবে না। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্য পদে কারিগরি জনবল নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষকসংকট দূর করতে হবে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ সিট নিশ্চিত করতে হবে—এসব তাদের দাবিতে রয়েছে।