বগুড়ায় হিরো আলমকে বেধড়ক মারপিট, কান ধরে উঠ-বস
বগুড়ায় মামলা করতে এসে আদালত চত্বরে হামলার স্বিকার হয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। রোববার দুপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেদম মারপিটের একপর্যায়ে কান ধরেও ওঠাবসা করানো হয় আলমকে। পরে হামলাকারীদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। এসময় আলম বলেন এক স্বৈরাচারকে তাড়িয়েছি কি আরেক স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় আনতে। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই যে মারপিট শুরু করেছে ‘এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কী স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনও তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। আমি এখন বলে দিব যে, দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে যারা আমার বিরুদ্ধে হামলা করেছে আমি সবার বিরুদ্ধে মামলা করবো। এসময় হিরো আলম আরো বলেন, আমি একটা মামলা করেছিলাম সেটা রুহুল কবির রিজভীর নামে। সেসময় ডিবি হারুন আমার পরিবারকে ট্রাফে ফেলে মামলা করে নিয়েছিল। আজ যারা আমার ওপর হামলা করলেন তারা কি কেউ বাঁচতে পারবেন? কেউ বাঁচতে পারবেন না। উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে কয়েকজন যুবক এই হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ দুপুরে বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। বেলা ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় ৫ থেকে ৭ জন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা হিরো আলমকে বেধড়ক মারধর করে আদালত চত্বরের বাহিরে সড়কে নিয়ে গিয়ে কান ধরে উঠবস করান। মারধরের শিকার হওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে হিরো আলম বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কী স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনও তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি।" মামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, "বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে আমার ওপরে হামলা হয়েছে। আমার ভোট কারচুপি কথা হয়েছে। এইসব অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।