জনগণের পরামর্শ চাইল শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি

৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩০ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

কীভাবে স্বেতপত্র তৈরি করা হবে অথবা জনগণ কী ভাবছেন- এসব বিষয় নিয়ে জনগণের পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণের উদ্যাগ নিয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে গত ২৯ আগস্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই কমিটিতে পরবর্তীতে দেশের ১১ জন বিশেষজ্ঞকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। পরিকল্পনা কমিশনে অবস্থিত শ্বেতপত্র কমিটির কার্যালয়ে ২৯ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি কী কী বিষয়ে কাজ করবে এবং কীভাবে তারা তথ্য-উপাত্তের বিশ্লেষণের মাধ্যমে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার সংশ্লেষ ঘটাবেন সে বিষয়ে সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এই প্রেক্ষিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের whitepaperbd2024@gmail.com-এই ঠিকানায় কমিটির কাছে তাদের পরামর্শ এবং সুপারিশ রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সবার সহযোগিতাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে কমিটি মনে করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফেসবুক ও লিঙ্কডইন পেজের মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যাবে ফেসবুক: www.facebook.com/whitepaperbd2024, লিঙ্কডইন: www.linkedin.com/company/whitepaperbd2024 মাধ্যমে। এছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কমিটির কার্যালয়ে (ব্লক ৪, নিচতলা) একটি পরামর্শ বাক্স রাখা থাকবে। লিখিতভাবে এখানে পরামর্শ ও দলিলপত্রাদি জমা দেওয়া যাবে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি যেসব বিষয়ে জনগণের মতামত ও পরামর্শ আহ্বান করেছে, সেগুলো হলো- সরকারি পরিসংখ্যানের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা; সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ; জিডিপির প্রবৃদ্ধির পর্যালোচনা; মূল্যস্ফীতির ধারা এবং তার অভিঘাত; দারিদ্র্য, অসমতা এবং বিপন্নতা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ; সরকারি ব্যয় বরাদ্দে অগ্রাধিকার মূল্যায়ন; বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য এবং ঋণ ধারণক্ষমতা, মেগা-প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন, ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত অবস্থা; জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পরিস্থিতি; ব্যবসা-পরিবেশ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ; অবৈধ অর্থ ও তার পাচার; শ্রমবাজারের গতিশীলতা এবং যুব কর্মসংস্থান; বৈদেশিক শ্রমবাজার ও প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার।