১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, সাত দিন পর মিলল অর্ধগলিত লাশ
‘তোমার বাবা আমাদের নিকট আটকা আছে। র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাভ নাই। তোমার বাবার জীবিত মুখ দেখতে চাইলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।’ এমন কথাবার্তার একটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ছেলে আল-আমিন হোসেনের মোবাইল ফোনে এই মুক্তিপণ দাবি করেন। অবশেষে নিখোঁজের সাত দিন পর শনিবার তাঁর বাবা সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাবনার ঈশ্বরদী শহরের রহিমপুর এলাকার একটি চারতলা ভাড়া বাসার টয়লেট থেকে হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজ ফকির (৬৭) উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কৈকুণ্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যে বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেই বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, গত ২২ আগস্ট উপজেলার বরইচরা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী (২৮) সস্ত্রীক চারতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ২৭ আগস্ট ফ্ল্যাটে তালা মেরে তারা বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি। দু’দিন ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিলে তালা ভেঙে বাথরুম থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছেলে আল-আমিন হোসেন বলেন, গত ২৪ আগস্ট রূপপুর প্রকল্প থেকে বাড়ি ফেরার পর আমার বাবা নিখোঁজ হন। ২৬ আগস্ট থানায় জিডি করার পর আমার মোবাইল ফোনে কল করে বাবার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এক ব্যক্তি। এসব কথাবার্তা রেকর্ড করে আমি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই রহস্য উন্মোচিত হবে।