ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় ঘেরাও

৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৩:১২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে উপপরিচালক (ডিডি) মো. সাহাবুদ্দিনের বিচারের দাবি জানিয়ে তাকে জেরা করেন তারা। গত ২৩ আগস্ট ‘ঘুষের টাকায় ধনকুবের ডিডি সাহাবুদ্দিন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই ছাত্র-জনতা ডিডির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের গোয়ালচামট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কার্যালয় চত্বরে আসেন। এতে যোগ দেন হয়রানির শিকার ও চাকরিচ্যুত জেলার বিভিন্ন মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম, কর্মচারিসহ অনেকে। এ সময় চাকরিচ্যুত মোয়াজ্জিন হাবিব শেখ অভিযোগ করেন, নিয়োগের নামে আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন। এরপরেও আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে টাকা দাবি করে। এক দিন স্যারকে আমরা ৪১ হাজার টাকা উঠিয়ে তার হাতে দেই। কিন্তু স্যার বলে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এই টাকাও আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করলে আমাকে নির্যাতন করে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দারুল আরকামের শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নয়টি উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজারদের মাধ্যমে অতিরিক্ত বই বিক্রির ৫ লাখ টাকা, অফিস পরিবর্তনের সময় একটি আলমারি, কেবিনেট ও দশটি ফ্যান গোপনে বিক্রি করা, ২০২৪ সালে জাকাতের ৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মসজিদ পাঠাগারের ৩৭টি আলমারি না বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ এবং ৯টি উপজেলায় সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের অনুষ্ঠান না করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ করেন। পাশাপাশি প্রতিটি মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব নিয়োগের সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করেন। এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং কার্যালয়ের ভেতরে হাতেনাতে ধরা হয়েছে বলে কয়েকজন অভিযোগ করেন। এ সময় তারা এসব অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন করেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী সিফাত খান এই কর্মকর্তাকে উদ্দেশে বলেন, আপনি জানেন আর আল্লাহ জানেন আপনি কী করছেন। আপনি যদি নিজেকে অপরাধী মনে করেন তাহলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। আর যদি তা না মনে করেন, তাহলে এসব অভিযোগের তদন্তের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব এবং যত দিন পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হবে তত দিন আপনি ছুটিতে থাকবেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। তদন্তে আমি যদি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আমি চলে যাব এবং নির্দোষ প্রমাণিত হলে আপনাদের সবাইকে মিষ্টি খাওয়াব।