খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অস্ট্রেলিয়ায় দোয়া মাহফিল

১ জুলাই, ২০২৪ | ৯:৪২ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অস্ট্রেলিয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার মেলবোর্ন-ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। শেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রাশেদুল হক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন , “বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান বিএনপি চেয়ারপারসন। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। তিনি একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এর রূপকারও ছিলেন তিনি। তার হাত ধরেই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের শুরু হয়। স্বৈরাচারের ধ্বংসস্তূপের ওপর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু হয়। বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ রাশেদুল হক বিএনপি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, “একটি স্বাধীন দেশের মানুষ মতপ্রকাশের অধিকার পায় ভোটের মাধ্যমে, কিন্তু সেই অধিকার এই দেশ থেকে কেড়ে নিয়েছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার। এই সরকার যত দিন ক্ষমতায় আছে, তত দিন শুধু ভোট নয়, খাদ্য, জীবন, জ্বালানী কোনো কিছুরই নিরাপত্তা নেই।“ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী । দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মেলবোর্ন বিএনপি থেকে বক্তব্য রাখেন ড. একেএম জাহাঙ্গীর, ড. বাবুল হায়দার , বিএনপি নেতা সামসুল আরেফিন বিপুল | অস্ট্রেলিয়া ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কায়াস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অস্ট্রেলিয়া ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মোহাম্মেদ। দোয়া মাহফিলে অংশ নেনে বিপুল পরিমান প্রবাসী বাংলাদেশী। সভাপতির বক্তব্যে কায়াস মাহমুদ বলেন, “বর্তমানে পুরো বিশ্বে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ গঠনে বেগম জিয়ার অবদান আর নতুন করে বলার কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই বিষয়ে অবগত। এখন সময় হয়েছে তার পেছনে দাঁড়াবার, তাকে মুক্ত করে আনার। বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই বাঙালি জাতির এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্তি মিলবে।“ ভারতের সাথে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, এই চুক্তি দেশ তথা দেশের মানুষের কল্যাণে নয়। কানেক্টিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের নামে করিডোর প্রদানের মাধ্যমে যা করা হয়েছে তাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এ সফরসহ ভারতের সঙ্গে ইতোপূর্বে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী এ সকল চুক্তি জনগণ কখনও মেনে নেবে না। তিনি বলেন, বিএনপি এসব দেশবিরোধী চুক্তি বা সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের সাথে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে।