জিম্মি ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণের ভিডিও প্রকাশ হামাসের

২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

জিম্মি থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণ হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস যোদ্ধারা যাদের ধরে এনেছিলেন, তাদের একজন গোল্ডবার্গ-পোলিন। ওই দিন গুরুতর আহত হওয়ার পর তিনি যে বেঁচে আছেন, তার প্রথম প্রমাণ হিসেবে বুধবার প্রকাশিত এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। খবর সিএনএন, হারেৎজ, টাইমস অব ইসরায়েলের ৭ অক্টোবর ২৩ বছর বয়সী গোল্ডবার্গ-পোলিনকে নোভা সংগীত উৎসব থেকে ধরে এনেছিলেন হামাস যোদ্ধারা। ওই দিন ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা এবং দুই শতাধিক মানুষকে ধরে এনে জিম্মি করেছিল হামাস। ৭ অক্টোবর ধারণ করা একটি ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিনকে জিম্মি করতে দেখা গিয়েছিল। তাতে দেখা যায়, এই তরুণের এক হাতে গুরুতর জখম। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক তরুণী বলেছিলেন, হামাসের হামলার সময় গোল্ডবার্গ-পোলিনের সঙ্গে তিনি একটি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই বাংকার থেকে গ্রেনেড বাইরে ছুড়ে ফেলতে সাহায্য করেছিলেন গোল্ডবার্গ-পোলিন। একপর্যায়ে তার এক হাতের কনুই থেকে নিচের অংশ উড়ে যায়। বুধবার প্রকাশিত ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিনকে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে। ভিডিওতে তিনি নিজের পরিচয় এবং জন্মতারিখ ও মা–বাবার নাম বলেছেন। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে গোল্ডবার্গ-পোলিন বলেন, তিনি এখানে প্রায় ২০০ দিন ধরে আছেন। তার অর্থ দাঁড়ায়, ভিডিওটি মঙ্গলবারের আগে ধারণ করা হয়েছে। কারণ, মঙ্গলবারই এই যুদ্ধের ২০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করতে শোনা গেছে। যেমনটি এর আগে প্রকাশিত জিম্মি ইসরায়েলের নাগরিকদের ভিডিওতে দেখা গেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন গোল্ডবার্গ-পোলিন। ভিডিও শেষ হয়েছে তার একটি আশাবাদের মধ্য দিয়ে; তা হলো ছুটির এই সময়ে তিনি কিছুটা হলেও পরিবারকে স্বস্তি দিতে পারছেন। এর পরদিন থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরায়েল। মিডলইস্ট মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গত রোববার পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি। এরমধ্যে প্রাণ গেছে ১৪ হাজার ৬৮৫ শিশুর। নারী রয়েছেন ৯ হাজার ৬৭০ জন। জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র গণমাধ্যম উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা জানান, গাজায় শিশুদের পাশাপাশি প্রতিদিন ৬৭ জন নারী নিহত হচ্ছেন, যাদের মধ্যে ৩৭ জন মা-ও রয়েছেন। শত শত শিশুরা এতিম হয়ে গেছে। গাজায় ১৮ হাজারের বেশি শিশু এতিম হয়েছে, যারা পরিবার, আদর, জীবন- সবকিছুই হারিয়েছে। আল জাজিরা জানায়, গত ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২৫ জনকে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে ২৮০ জন নারী ও ৫৪০টি শিশু। সাংবাদিক আটক হয়েছেন ৬৬ জন।