ট্রাফিক পুলিশের অবহেলায় বিমানবন্দর সড়কে বেড়েছে যানজট-বিশৃঙ্খলা

২৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

রাজধানীর প্রবেশপথ বিমানবন্দর সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তরা আব্দুল্লাহপুর মোড় থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ছয়টি বিট বক্স। এসব বিট বক্সের মূল দায়িত্বে রয়েছে একজন ট্রাফিক ইনস্পেক্টর (টিআই)। প্রতিটি বক্সে কয়েকজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, কনস্টেবল, আনসার সদস্যসহ ২০-২২ জন কাজ করেন। সরেজমিনে বিমানবন্দর মহাসড়কের কয়েকটি উড়ালসড়ক পরিদর্শন করে দেখা যায় সেখানে রয়েছে বাস চালকদের দৌরাত্ম্য। চলে বেপরোয়া গতিতে আর যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করছে। উত্তরবঙ্গ থেকে গাজীপুর টঙ্গী হয়ে পরিবহণ টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রোড হয়ে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে ব্রিজের ওপরই যাত্রীদের নামাতে দেখা যায়। ব্রিজের ওপর যাত্রী নামাতে গিয়ে টঙ্গী থেকে আসা গাড়ির চাপে মাঝে মাঝে উড়ালসড়কেও যানজট লেগে যায়। এ এলাকার যানজটমুক্ত রাখার দায়িত্বে রয়েছেন টিআই মাসুম খান। আজমপুরের পথচারী ও অটোরিকশা যাত্রীরা জানান, টিআই মাসুম বেশিরভাগ সময় আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশের এসি রুমে বসেই সময় কাটান। সরেজমিন শিবলী নামের একজনকে সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সড়কে মাঝখানে দাঁড়ানো কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, গাড়িতে উঠব তাই তিনি এখানে দাঁড়িয়েছেন। ফুটপাতে কয়েকজন পথচারী বলেন, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। তারা ঠিকমতো সড়কে দায়িত্ব পালন করেন না। তারা শুধু আজমপুর, আব্দুল­াহপুর, জসিমউদদীন এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, হিউম্যানহলার (লেগুনা) ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদ তোলায় ব্যস্ত থাকেন। আজমপুর পুলিশ বক্সের টিআই মাসুম খান বলেন গত দুই মাসে দুই শতাধিক গাড়িতে মামলা দিয়েছি। আমাদের সহকর্মীরা কাজ করছে। ফুটপাত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চাঁদা ওঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মিটিংয়ে আছেন বলে এড়িয়ে যান। পরে তিনি জানান, এসব বিষয়ে তিনি জড়িত নন। বিএনএস সেন্টার এলাকায় কীভাবে বাস যাত্রীদের ব্রিজের ওপর নামিয়ে দেয় এবং সড়কের মাঝখান থেকে যাত্রী ওঠানো হয়, এ বিষয়ে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ফারুকের কাছে জানতে চাইলেন তিনি পাশ কাটিয়ে চলে যান। কয়েক মিনিট পর ফিরে এসে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ট্রাফিক উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম বলেন, সড়ক ডিভাইডার, বেরিয়ারসহ বিআরটি প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।