ক্ষেপণাস্ত্র ঘাটতির কারণে রুশ হামলা ঠেকানো যায়নি: জেলেনস্কি

১৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটতির কারণে গত সপ্তাহে রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করা যায়নি। ওই হামলায় রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলের বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে আসছিল। প্রথম সাতটি ধ্বংস করা হয়; কিন্তু বাকি চারটি ট্রাইপিলিয়াকে ধ্বংস করেছে। কারণ আমাদের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না। ট্রাইপিলিয়াকে রক্ষার মতো ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের ছিল না। রয়টার্সের পক্ষ থেকে জেলেনস্কির ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে যাওয়ার দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেছিলেন, রাশিয়া যদি এমন গতিতে হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র পুরোপুরি ফুরিয়ে যাবে। ১১ মার্চের রুশ হামলায় ধ্বংস হওয়া ট্রাইপিলস্কা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ছিল কিয়েভের কাছে বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটির উৎপাদন সক্ষমতা ছিল এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। কিয়েভের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের তুলনায় তা ছিল বেশি। আপাতত অন্যান্য কেন্দ্র ও আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে; কিন্তু বাসিন্দারা বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। মার্চের মাঝামাঝি থেকে ইউক্রেনের গ্রিড ব্যবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সমন্বয়ে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দেশটির জ্বালানি ব্যবস্থায় টানা হামলা করে আসছে রুশ বাহিনী। আগেরবারের তুলনায় এবারের হামলা বেশি ধ্বংসাত্মক। সাম্প্রতিক হামলার ফলে ইউক্রেন ৭ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা হারিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ও সঞ্চালন সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে। মস্কো জানায়, ইউক্রেনের লড়াইয়ের সক্ষমতা হ্রাস এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধে এসব আক্রমণ পরিচালনা করা হচ্ছে। পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনে অতিরিক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা পাঠাতে আগ্রহী নয়। ইউক্রেন বলে আসছে, পুরো দেশকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষার জন্য অন্তত ২৫টি প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা প্রয়োজন। ইউক্রেনের জরুরি তাগাদার পর জার্মানি আরেকটি প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।