সাগরে জিম্মি থাকা ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় মা

১৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ৬:২৭ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দীর্ঘ একমাস পর ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। শনিবার মধ্যরাতের পর নাবিকরা মুক্তি পেয়ে জাহাজটি নিয়ে দুবাইয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন। রোববার ভোর ৬টায় এ খবর পায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রাখালিয়া গ্রামে নাবিকের পরিবার। দস্যুদের কবল থেকে মুক্তির খবরে উৎকণ্ঠার অবসান হলো। স্বস্তি ফিরেছে মাসহ স্বজনদের মাঝে। রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া গ্রামের বিনন বেপারি বাড়িতে গিয়ে আইয়ুবের মাকে ছেলের জন্য খুশি ও দোয়া করতে দেখা যায়। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিক আইয়ুবের মা হোমায়রা বেগম বলেন, রোববার ভোর ৬টার দিকে আইয়ুব ফোন করেছে। সে জানিয়েছে, তারা দস্যুদের কবল মুক্তি পেয়েছে। এ খবর পেয়ে আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। মুক্তি পাওয়ার এ খবর শোনার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলাম। এখন ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছি। আল্লাহর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাহাজের মালিককেও ধন্যবাদ জানাই নাবিকদের মুক্ত করার জন্য। আইয়ুবের বন্ধু ইয়াসিন হোসেন বলেন, আইয়ুব খুব ভালো ছেলে। সে যেন দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসার অপেক্ষায়। এ প্রসঙ্গে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক আইয়ুব মোবাইলে বলেন, মুক্তি পাওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ইতোমধ্যে রওয়ানা হয়েছে দুবাইয়ের দিকে। সাত দিন পর দুবাই পৌঁছালে সব নাবিককে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। দুবাইতেই নতুন নাবিকরা জাহাজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য, প্রায় দেড় মাস আগে আইয়ুবের বাবা আজহার মিয়া মারা যান। এখনো স্বামী হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি আইয়ুবের মা। এর মধ্যেই ছোট ছেলে আইয়ুব সাগরে ডাকাতদের কবলে পড়েছে। এই শোকে ভেঙে পড়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুবের মা হোমায়রা বেগম। ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খান রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামের বিনন বেপারী বাড়ির মৃত আজহার মিয়ার ছোট ছেলে। তিনি রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রামগঞ্জের ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া একাডেমি থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন তিনি। প্রায় ১ বছর ধরে ইন্টার্ন করছেন আইয়ুব। ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এ সময় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে নেয় সোমালিয়ান দস্যুরা। ওই দিন বিকালে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। জাহাজে লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খানসহ মোট ২৩ জন নাবিক রয়েছেন।