মাংসের চড়া দাম

২০ মার্চ, ২০২৪ | ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

মাংস মানবদেহের জন্য এক প্রয়োজনীয় প্রোটিন। নিম্নবিত্তদের কথা উহ্য রেখে বলা যায়, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণি তাদের খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে অন্তত দু-একদিন মাংস যুক্ত করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে মাংসের দাম এত চড়া যে, নিম্নবিত্ত দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাও তা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যান্য পণ্যের মতো মাংসের বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। প্রায় প্রতি রাতেই মুরগির দাম নির্ধারণ করছে তারা। ফলে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি তাদের কিনতে হচ্ছে ২৩০ টাকায়। ওদিকে এক কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস কিনতে হচ্ছে ১১০০ টাকায়। বলা বাহুল্য, গত শুক্রবার ২৯টি কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এ তালিকায় মুরগি, গরু ও খাসির মাংসও রয়েছে। কিন্তু অধিদপ্তর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে পণ্য বেচাকেনার অনুরোধ করলেও বাজার ঘুরে ওই দামে মাংস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করা হলে ক্রেতারা গরুর মাংস কেজিতে ৬৬৪ টাকা এবং খাসির মাংস ১০০৩ টাকায় কিনতে পারতেন। আমাদের কথা হলো, বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর-এসব সংস্থার কাজটা কী আসলে? বাজার তদারকির কোনো প্রক্রিয়া চালু রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। নামকাওয়াস্তে যেসব তদারকি করা হয়, তাতে যে কোনো ফল হয় না, তা প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখছে রাজধানীবাসী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজটাই বা কী! সিন্ডিকেট ভাঙার কথা শুনে আসছি আমরা; কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সিন্ডিকেটের ক্ষমতা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের চেয়ে বেশি। অবাক কাণ্ডই বটে, রমজানেও বাজার স্থিতিশীল রাখা যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্য মুসলিম দেশে রমজানে রোজাদাররা পণ্যমূল্যে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। গরুর আমদানি বন্ধ হওয়ায় খামারিরা লাভবান হচ্ছেন ঠিকই; কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তাশ্রেণি। গত বছর বাণিজ্য সচিব বলেছিলেন, গরু আমদানি করে এর মাংসের দাম অনেক কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তার এ প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। সবশেষ কথা, অযৌক্তিক ও অন্যায্য দামে যেসব অসৎ ব্যবসায়ী মাংসসহ নিত্যপণ্য উচ্চদামে বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর অবস্থান।