করোনার নতুন উপধরন জেএন.১ শনাক্ত

১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে এর অমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। করোনার রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজনের নমুনায় জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এই তথ্য জানিয়েছে। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘পাঁচটি নমুনায় অমিক্রনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি। তারা বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি কখনো।’ তবে আমরা তথ্য নিয়ে জেনেছি রোগীরা সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার জেএন.১ ধরন শনাক্তের খবর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। তারা পাঁচজনের মধ্যে চারজনের তথ্য প্রকাশ করেছে। জিআইএসএআইডি জানিয়েছে, এই চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকা ও দুজন গাজীপুরের বাসিন্দা। চারজনের সবাই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১২ বছর। বাকি তিন জন ১৮, ৫৬ ও ৫৮ বছর বয়সি। আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত : এদিকে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময় কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৯ জনের। নতুন শনাক্তদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮৯ জনে। চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার নির্দেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মঙ্গলবার সচিবালয়ে বলেন, হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ সাধারণ মানুষকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২ বছর আড়াই কোটি মানুষকে এই চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে। এ বছর পাবে এক কোটি ২৫ লাখ মানুষ ও বাকি এক কোটি পঁচিশ লাখ মানুষ পাবে আগামী বছর। এ সময় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বুধবার অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ (তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শীঘ্রই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী, স্বল্পরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী ও গর্ভবর্তী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।