ভুক্তভোগীকে অপরাধী বানানোর নতুন ফর্মুলা: অবৈধ সরকারের নৈতিক দেউলিয়াত্ব
বাংলাদেশে এখন এমন এক সময় চলছে যখন রাষ্ট্রীয় সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারী একজন শিক্ষকের জন্য দায়ী করা হচ্ছে সেই শিক্ষকদেরই, যারা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, এটি একটি অবৈধ শাসনব্যবস্থার নৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ফাতেমা আক্তার নামের এক সহকারী শিক্ষক পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে মারা গেলেন। তিনি কোনো অপরাধী ছিলেন না, কোনো সন্ত্রাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক যিনি দশম গ্রেডে বেতনসহ তিনটি ন্যায্য দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এই তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বলছেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান আর লাঠিচার্জের দায় নাকি শিক্ষক নেতাদের। কী অসাধারণ যুক্তি! মানে, পুলিশ যদি কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তাহলে দায়ী সেই মৃত ব্যক্তি, কারণ সে রাস্তায় নেমেছিল। এই হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসের দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুস সরকারের মানসিকতা। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রমিকের অধিকার এসব শব্দের কোনো মানে নেই। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা, আর যে কোনো প্রতিবাদকে দমন করা। শিক্ষকরা কী অন্যায় দাবি করেছিলেন? তারা চেয়েছিলেন দশম গ্রেডে বেতনের মতো একটি ন্যায্য সুবিধা। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ার কারিগর এই শিক্ষকরা যখন তাদের প্রাপ্য নিয়ে কথা বলেন, তখন তাদের ওপর নামানো হয় পুলিশি বর্বরতা। সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান, লাঠিচার্জ – যেন কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমন করা হচ্ছে। আর এরপর যখন একজন শিক্ষক মারা যান, তখন সরকারের উপদেষ্টা বলেন, এটা নাকি অযৌক্তিক আন্দোলন ছিল। এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল জঙ্গিবাদী শক্তির সহায়তায়। সামরিক বাহিনীর সমর্থনে। বিদেশি অর্থায়নে। একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে তারা দেশটাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, সেটা এখন স্পষ্ট। যে সরকার শিক্ষকদের ওপর গ্রেনেড ছুড়তে পারে, সে সরকার জনগণের কল্যাণ করবে এটা আশা করাই বোকামি। আরও মজার ব্যাপার হলো, এই সরকার প্রথমে সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল। তারপর ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিল। এদের কোনো মেরুদণ্ড নেই। একদিকে ইসলামিক জঙ্গিদের তুষ্ট রাখতে হবে, অন্যদিকে বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে হবে। মাঝখানে সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, শ্রমিকদের জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হচ্ছে। অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আসলে পুরো অবৈধ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তারা মনে করে যে যে কোনো প্রতিবাদকে শক্তি দিয়ে দমন করা যায়। শিক্ষক মরলে কী হয়েছে, দোষ তো শিক্ষকদেরই, কারণ তারা রাস্তায় নেমেছিল। এই হলো তাদের হিসাব। এই সরকার যে নির্বাচনবিহীন, জনগণের ভোটে আসেনি, সেটা তো সবাই জানে। কিন্তু তারপরও তারা যেভাবে জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, সেটা দেখে মনে হয় এরা হয়তো ভুলেই গেছে যে তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। ইতিহাস সাক্ষী, যারা জনগণের ওপর অত্যাচার করে, শেষ পর্যন্ত তাদের পতন অনিবার্য। ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু শুধু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি এই অবৈধ সরকারের বর্বরতার প্রতীক। একজন শিক্ষক, যিনি তার প্রাপ্য অধিকার চেয়েছিলেন, তাকে হত্যা করা হলো। আর তারপর সরকার বলছে, দোষ তার নিজেরই। এর চেয়ে বড় নির্লজ্জতা আর কী হতে পারে? মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার অবৈধ সরকার যে পথে হাঁটছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। শিক্ষক হত্যার পর যখন সরকারের উপদেষ্টা এমন বক্তব্য দেয়, তখন বোঝা যায় এই সরকারের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। তারা শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়, যে কোনো মূল্যে। বাংলাদেশে এখন এমন এক সময় চলছে যখন রাষ্ট্রীয় সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারী একজন শিক্ষকের জন্য দায়ী করা হচ্ছে সেই শিক্ষকদেরই, যারা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, এটি একটি অবৈধ শাসনব্যবস্থার নৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ফাতেমা আক্তার নামের এক সহকারী শিক্ষক পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে মারা গেলেন। তিনি কোনো অপরাধী ছিলেন না, কোনো সন্ত্রাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক যিনি দশম গ্রেডে বেতনসহ তিনটি ন্যায্য দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এই তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বলছেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান আর লাঠিচার্জের দায় নাকি শিক্ষক নেতাদের। কী অসাধারণ যুক্তি! মানে, পুলিশ যদি কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তাহলে দায়ী সেই মৃত ব্যক্তি, কারণ সে রাস্তায় নেমেছিল। এই হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসের দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুস সরকারের মানসিকতা। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রমিকের অধিকার এসব শব্দের কোনো মানে নেই। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা, আর যে কোনো প্রতিবাদকে দমন করা। শিক্ষকরা কী অন্যায় দাবি করেছিলেন? তারা চেয়েছিলেন দশম গ্রেডে বেতনের মতো একটি ন্যায্য সুবিধা। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ার কারিগর এই শিক্ষকরা যখন তাদের প্রাপ্য নিয়ে কথা বলেন, তখন তাদের ওপর নামানো হয় পুলিশি বর্বরতা। সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান, লাঠিচার্জ – যেন কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমন করা হচ্ছে। আর এরপর যখন একজন শিক্ষক মারা যান, তখন সরকারের উপদেষ্টা বলেন, এটা নাকি অযৌক্তিক আন্দোলন ছিল। এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল জঙ্গিবাদী শক্তির সহায়তায়। সামরিক বাহিনীর সমর্থনে। বিদেশি অর্থায়নে। একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে তারা দেশটাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, সেটা এখন স্পষ্ট। যে সরকার শিক্ষকদের ওপর গ্রেনেড ছুড়তে পারে, সে সরকার জনগণের কল্যাণ করবে এটা আশা করাই বোকামি। আরও মজার ব্যাপার হলো, এই সরকার প্রথমে সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল। তারপর ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিল। এদের কোনো মেরুদণ্ড নেই। একদিকে ইসলামিক জঙ্গিদের তুষ্ট রাখতে হবে, অন্যদিকে বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে হবে। মাঝখানে সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, শ্রমিকদের জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হচ্ছে। অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আসলে পুরো অবৈধ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তারা মনে করে যে যে কোনো প্রতিবাদকে শক্তি দিয়ে দমন করা যায়। শিক্ষক মরলে কী হয়েছে, দোষ তো শিক্ষকদেরই, কারণ তারা রাস্তায় নেমেছিল। এই হলো তাদের হিসাব। এই সরকার যে নির্বাচনবিহীন, জনগণের ভোটে আসেনি, সেটা তো সবাই জানে। কিন্তু তারপরও তারা যেভাবে জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, সেটা দেখে মনে হয় এরা হয়তো ভুলেই গেছে যে তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। ইতিহাস সাক্ষী, যারা জনগণের ওপর অত্যাচার করে, শেষ পর্যন্ত তাদের পতন অনিবার্য। ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু শুধু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি এই অবৈধ সরকারের বর্বরতার প্রতীক। একজন শিক্ষক, যিনি তার প্রাপ্য অধিকার চেয়েছিলেন, তাকে হত্যা করা হলো। আর তারপর সরকার বলছে, দোষ তার নিজেরই। এর চেয়ে বড় নির্লজ্জতা আর কী হতে পারে? মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার অবৈধ সরকার যে পথে হাঁটছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। শিক্ষক হত্যার পর যখন সরকারের উপদেষ্টা এমন বক্তব্য দেয়, তখন বোঝা যায় এই সরকারের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। তারা শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়, যে কোনো মূল্যে।
