![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823493-1719939853.jpeg)
এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা, সন্দেহের তীর বন্ধুদের দিকে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823492-1719939849.jpg)
৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপনে সাকিব ও সাদিয়া
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823491-1719939765.jpg)
রূপগঞ্জে জঙ্গি সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও, ৩ বোমা উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয়
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823112-1719865200.jpg)
খোকন-সাদিক অনুসারীদের পালটাপালটি মহড়া
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823007-1719842867.jpg)
খাস জমি দখল করে রিসোর্ট-খামার গড়ার অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823042-1719848578.jpg)
কারাগারে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রিমু
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-822232-1719689915.jpg)
একই বৃন্তে দুটি ‘ফুল’ ফয়সাল-মতিউর
যৌনকর্মীর তথ্যে খুনের রহস্যভেদ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/untitled-11-1719514921.webp)
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ। পেশায় দিনমজুর। ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের হওয়ার পর বন্ধ পাওয়া যায় তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর। দু’দিন পর নিমপাড়ার ধলার বিলের আখক্ষেতে লাশ মেলে তাঁর। নিভৃত পল্লিতে নিরীহ রশিদের কোনো শত্রু থাকতে পারে– এমনটা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না গ্রামবাসী। ‘ক্লুহীন’ হত্যাকাণ্ড হিসেবে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন স্বজনরা। থানায় মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় দু’জন কর্মকর্তা বদল হন। এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিতে স্থানান্তর হয় মামলা। সিআইডির যে কর্মকর্তা প্রথমে তদন্ত শুরু করেন তিনিও কোনো কূলকিনারা করতে ব্যর্থ হন।
এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি নতুনভাবে তদন্তে পরিদর্শক মামুন রশিদকে নিয়োগ
দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পর এক তরুণীর চমকপ্রদ জবানবন্দিতে খুলল এই হত্যারহস্য। হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে দু-তিন দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করবে সিআইডি। জানা গেছে, ৫৫ বছর বয়সী রশিদের শরীর ও পুরুষাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন সুরতহাল প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। এতে সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি হত্যাকাণ্ড। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে একাধিকবার যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় তদন্ত কর্মকর্তার। আমবাগানের দু’জন নিরাপত্তা প্রহরী জানান, রাজশাহী ও আশপাশের এলাকা থেকে যৌনকর্মীদের নিমপাড়ায় এনে অনেকে অবৈধ কারবার করেন। রশিদ হত্যার সঙ্গে এই কারবার ঘিরে বিরোধ থাকতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়। এমন তথ্য পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ছদ্মবেশে রাজশাহীর কয়েকটি পতিতালয়ে
যান তদন্ত কর্মকর্তা। প্রায় দুই বছর বিভিন্ন পতিতালয়ে ঘুরতে থাকেন। যৌনকর্মীদের সঙ্গে দিনের পর দিন কথাবার্তা চালিয়ে কারা কোন এলাকায় ভাড়ায় যাচ্ছেন, সে তথ্য বের করা হয়। সম্প্রতি এক যৌনকর্মী পুলিশ কর্মকর্তাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লু দেন। নিমতলায় যাতায়াত আছে এমন এক তরুণীর নাম জানান। তিনি বেশ কয়েক বছর যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিয়ে হয়েছিল নিমতলায়। কিন্তু সে সংসার টেকেনি। এটি জানার পর নিমতলায় গিয়ে তাঁর প্রথম পক্ষের শ্বশুরবাড়ি খুঁজতে থাকেন। বাড়ির ঠিকানা পাওয়ার পর নিমতলা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের একটি এলাকার নাম পাওয়া যায়। সেই তথ্যে তরুণীকে খুঁজতে তাঁর বাড়িতে যান তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন,
ফরিদপুরের একটি চরে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এরপর ওই নারীকে অনেক কষ্টে রাজশাহীতে আনা হয়। প্রথমে পুলিশের ধারণা ছিল, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই নারী জড়িত। পরে পুলিশের কাছে ও আদালতে জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ঘটনার দিন তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে নিমতলায় যেতে বলেন। ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর বলা হয়, ওই রাতে যৌনকর্মী হিসেবে ভাড়ায় খাটতে হবে। এ বাবদ তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে। অনেক চাপাচাপির এক পর্যায়ে রাজি হন তিনি। এরপর তাঁকে ধলার বিলে নেওয়ার পর হাজির হয় ছয় ব্যক্তি। প্রথমে তরুণীর সঙ্গে কে ঘনিষ্ঠ হবে–
এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে রশিদকে আঘাত করলে তিনি মারা গেলে সবাই পালিয়ে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারঘাটের নিমপাড়ার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো হাসেম আলী, মো. আলম, কামরুজ্জামান রনি, আশরাফুল হক কালু ও রায়হান আলী লালু। ঘটনার দিন তরুণীকে ডেকে নেয় কামরুজ্জামান।
দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পর এক তরুণীর চমকপ্রদ জবানবন্দিতে খুলল এই হত্যারহস্য। হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে দু-তিন দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করবে সিআইডি। জানা গেছে, ৫৫ বছর বয়সী রশিদের শরীর ও পুরুষাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন সুরতহাল প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। এতে সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি হত্যাকাণ্ড। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে একাধিকবার যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় তদন্ত কর্মকর্তার। আমবাগানের দু’জন নিরাপত্তা প্রহরী জানান, রাজশাহী ও আশপাশের এলাকা থেকে যৌনকর্মীদের নিমপাড়ায় এনে অনেকে অবৈধ কারবার করেন। রশিদ হত্যার সঙ্গে এই কারবার ঘিরে বিরোধ থাকতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়। এমন তথ্য পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ছদ্মবেশে রাজশাহীর কয়েকটি পতিতালয়ে
যান তদন্ত কর্মকর্তা। প্রায় দুই বছর বিভিন্ন পতিতালয়ে ঘুরতে থাকেন। যৌনকর্মীদের সঙ্গে দিনের পর দিন কথাবার্তা চালিয়ে কারা কোন এলাকায় ভাড়ায় যাচ্ছেন, সে তথ্য বের করা হয়। সম্প্রতি এক যৌনকর্মী পুলিশ কর্মকর্তাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লু দেন। নিমতলায় যাতায়াত আছে এমন এক তরুণীর নাম জানান। তিনি বেশ কয়েক বছর যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিয়ে হয়েছিল নিমতলায়। কিন্তু সে সংসার টেকেনি। এটি জানার পর নিমতলায় গিয়ে তাঁর প্রথম পক্ষের শ্বশুরবাড়ি খুঁজতে থাকেন। বাড়ির ঠিকানা পাওয়ার পর নিমতলা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের একটি এলাকার নাম পাওয়া যায়। সেই তথ্যে তরুণীকে খুঁজতে তাঁর বাড়িতে যান তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন,
ফরিদপুরের একটি চরে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এরপর ওই নারীকে অনেক কষ্টে রাজশাহীতে আনা হয়। প্রথমে পুলিশের ধারণা ছিল, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই নারী জড়িত। পরে পুলিশের কাছে ও আদালতে জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ঘটনার দিন তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে নিমতলায় যেতে বলেন। ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর বলা হয়, ওই রাতে যৌনকর্মী হিসেবে ভাড়ায় খাটতে হবে। এ বাবদ তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে। অনেক চাপাচাপির এক পর্যায়ে রাজি হন তিনি। এরপর তাঁকে ধলার বিলে নেওয়ার পর হাজির হয় ছয় ব্যক্তি। প্রথমে তরুণীর সঙ্গে কে ঘনিষ্ঠ হবে–
এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে রশিদকে আঘাত করলে তিনি মারা গেলে সবাই পালিয়ে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারঘাটের নিমপাড়ার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো হাসেম আলী, মো. আলম, কামরুজ্জামান রনি, আশরাফুল হক কালু ও রায়হান আলী লালু। ঘটনার দিন তরুণীকে ডেকে নেয় কামরুজ্জামান।