স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ – U.S. Bangla News




স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২০ জুন, ২০২৪ | ৮:৩৩
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আলী আকবর ডেইল দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছাফার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মাদ্রাসা ফান্ডের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপার জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদ্রাসায় না পড়েও নিজের সন্তানের নামে উপবৃত্তির টাকা গ্রহণসহ অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে এই সুপারের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই বছর ধরে আলী আকবর ডেইল দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন জহিরুল ইসলাম। ৩ মাস আগে অন্যত্র নিয়োগ পেয়েছেন মর্মে পরিচালনা কমিটির কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন তিনি; কিন্তু মাদ্রাসা সুপার থাকাকালে নিয়োগ বাণিজ্য, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে রসিদ ব্যতীত অতিরিক্ত টাকা আদায়, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক এবং কর্মচারীদের

ছুটি প্রদান, মাদ্রাসার জমি বর্গার টাকা আত্মসাৎ, বিনা ছুটিতে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকা, শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের পর অবশিষ্ট বই চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া, মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত ওয়াশ ব্লকের মোটর ও পানির ট্যাংক আত্মসাৎ এবং পরীক্ষার হলে যাওয়ার অজুহাতে সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখার জন্য জনতা ব্যাংকের ম্যানেজারকে একটি লিখিত আবেদন করেন তিনি। এ কারণে বিগত মাস দুয়েক ধরে বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না শিক্ষক কর্মচারীরা। শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বোর্ডের ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সালাম

জানান, এনটিআরসিএর মাধ্যমে আলী আকবর ডেইল দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে যোগদান করতে সুপার জহিরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। চলতি বছরেও ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দকৃত বই বিতরণ করার পর অবশিষ্ট বই চুরি করে বিক্রি করতে আমার সহযোগিতা চেয়েছিলেন; কিন্তু এটি নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় অসম্মতি প্রকাশ করি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছাফা বলেন, তিন মাস আগে অন্য মাদ্রাসায় নিয়োগ পেয়েছেন বলে পরিচালনা কমিটি বরাবর ছাড়পত্রের আবেদন করেন ওই সুপার। তখন মাদ্রাসার যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টরা। তবে যথাযথ হিসাব প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন মাদ্রাসা পরিচালনা কার্যক্রমে অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এতে বিভিন্ন অপকর্মসহ আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, ওই সুপারকে সাময়িক বরখাস্তসহ আত্মসাৎকৃত সব টাকা মাদ্রাসার তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে বিচার দিয়েছেন। বিচারের অপেক্ষায় আছি।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বছরে ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবে তিন কোটি মানুষ দুর্নীতির দায়ে চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার প্রতিদিন নয়, দেওয়া হবে সপ্তাহে দুদিন সাগর-রুনি হত্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১০৯ বার পেছাল দুর্নীতির মামলা প্রমাণে কাগজপত্রের দরকার হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি সাবেক ১৬৬ আমলার অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ডেটা সেন্টার জরুরি ‘বিচারের জন্য ঘুরতে ঘুরতে মানুষের জীবন শেষ’ শিক্ষায় দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না কর্মবিরতিতে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা, যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ইসরাইলের ‘প্রস্তাব’ মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: হামাস বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা, সতর্কতা জারি অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাবির সব পরীক্ষা স্থগিত জবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ কোরিয়ায় কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠলো ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’ ১৩ বছরের কিশোরকে গুলি করে হত্যা করল নিউইয়র্ক পুলিশ ৩২ বছরেও বদলায়নি দ. আফ্রিকার বিশ্বকাপ ভাগ্য মতিউরকে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় দুদকের চিঠি এনবিআরের সেই প্রথম সচিব ফয়সালকে বদলি