হিট স্ট্রোক এড়াতে যেসব পরামর্শ দিলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ – U.S. Bangla News




হিট স্ট্রোক এড়াতে যেসব পরামর্শ দিলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ | ৯:৪৫
সারা দেশে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সব বয়সি মানুষের। ঘরের বাইরে বের হলেই গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন অনেকে। এতে শরীরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হওয়ার শঙ্কা থাকে। পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। এ স্ট্রোক এড়াতে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া উচিত নয় এমন পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল­াহ। শনিবার সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন, তারাই মূলত হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন। মানবদেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। দীর্ঘ সময় গরমে

থাকায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়। শিশু, নারী ও বয়স্কদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। উচ্চ রক্তচাপ, হƒদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০৫-এর উপর উঠলে ঘাম হয় না, মাথা ব্যথা হয়, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে, লাল র্যাশের মতো দেখা দেয়, অস্থিরতা, বুক ধড়ফড় করে, ক্লান্তি ও অবসাদ হয়। এক সময় অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা হয়, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন অনেকে। এটি বিপজ্জনক। এটি খুবই মারাÍক, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারাও যেতে পারে। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

এড়াতে করণীয় সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল­াহ বলেন, গরমে খুব প্রয়োজন না হলে রোদে যাওয়া যাবে না। শ্রমিক যারা কাজ করেন তাদের কিছু সময় পরপর ছায়ার মধ্যে আসতে হবে। বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবারও কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা মাথায় কাজ করতে হবে। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল­াহ আরও বলেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। এসি থাকলে চালু করে শুইয়ে রাখতে হবে। অথবা ফ্যানের বাতাস দিতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস ও ডাবের পানি পান

করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া জরুরি। গরমে সবচেয়ে বড় সমস্যা পানিশূন্যতা। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ওরাল স্যালাইন খাওয়া ভালো। এছাড়া পানিতে লবণ মিশিয়েও খাওয়া যাবে। তবে রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবু পানি, আখের জুস খাওয়া যাবে না। অস্বাস্থ্যকর, বাসি খাবারও পরিহার করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রথিতযশা এই চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে গরমে শিশুদের জন্য ঝুঁকিটা বেশি। বাচ্চাদের বেশি বেশি পানি খাওয়াতে হবে। তারা যেন রোদের মধ্যে অনেক বেশি দৌড়ঝাঁপ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব বয়সির ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরিধান করতে হবে।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার বিয়ে করছেন নাগা, রহস্যময় বার্তা সামান্থার সবুজ ও জলাশয় ৩১ শতাংশই দখল ভুলে ভুলে ঢাকার সর্বনাশ ঢাকাসহ যে ৫ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে হুমকি দিচ্ছে ইসরাইল ‘অভাগী’ মিথিলা ভারতের সেরা অভিনেত্রী দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচু চট্টগ্রামে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম তৃণমূলের বিভক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আ.লীগ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বন্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না পানির দাম এক লাফে ৩০ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ বিচারকাজ শেষ হয়নি একটি জঙ্গি হামলারও অবৈধ রেলক্রসিং বন্ধে রেল ও এলজিইডির ঠেলাঠেলি বাড়তে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ আবারো ‘বিয়ে’ করলেন হেমা মালিনী! রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ আজ থেকে ট্রেনে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া সমাবেশের কাছে গুলি, যা জানালেন বদি বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি