![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-822561-1719756650.jpg)
বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা, সতর্কতা জারি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-822150-1719670230.jpg)
প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুস নেওয়া সেই ৩ প্রিসাইডিং অফিসারের জামিন
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/2024-06-29_174431.jpg)
মসজিদে মাইকিং করে লালনভক্ত বৃদ্ধার ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-822096-1719654015.jpg)
রোববার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি, বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-821775-1719602760.jpg)
‘মা আমাকে বাঁচাও, এরা মেরে ফেলবে’ জিম্মি যুবকের আকুতি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-821752-1719593731.jpg)
পদ্মায় ধরা পড়ল ৩০ কেজির বাঘাইড়
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-821406-1719542781.jpg)
সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের চাপ কম, রাস্তায় দীর্ঘ লাইন
সিলেটে বন্যার আরও উন্নতি, ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-820942-1719428474.jpg)
সিলেটের নদ-নদীর পানি দিন দিন কমছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে চারদিকে। পানি কমে যাওয়ায় প্রতিদিনই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ। এদিকে পানি কমার পাশাপাশি ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের বুধবারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে ৩ থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি কমেছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রাস্তাঘাট, মৎস্য ও কৃষি খাতে
৭৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী, নগরীর ২৫০ কিলোমিটার রাস্তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলায় আউশ বীজতলা, সবজি ও বোনা আমন ধানের ১৫ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় ৯৮ হাজার ৬৫৩ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এলজিইডি সিলেট জেলার তথ্যানুযায়ী, বন্যায় সিলেটের ১৩টি উপজেলার ১৬০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১১৯ কোটি টাকা। সড়ক ও সেতু বিভাগ জানায়, বন্যায় সিলেট জেলার ৪০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৮৫
কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বন্যায় ৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। জেলার ২১ হাজার ১১১টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তবে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ : সিলেট সিটিসহ বিভাগের চার জেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করার পর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় গত ৮ দিনে ডায়রিয়া, আরটিআই, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বন্যা ও পরবর্তী সময়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩৯৪টি মেডিকেল টিম বিভাগজুড়ে
কাজ করছে। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মজয় দত্ত বলেন, বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট আমরা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইউনিয়নভিত্তিক টিমও কাজ করছে। গোয়াইনঘাটে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। বিভিন্ন ইউনিয়নে গত ২১ জুন থেকে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশলয় সাহা। বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। ৩ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সুধীন চন্দ্র দাস জানান, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ
ডায়রিয়া, জন্ডিস, চর্মরোগ এবং টাইফয়েডসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে আছেন। তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
৭৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী, নগরীর ২৫০ কিলোমিটার রাস্তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলায় আউশ বীজতলা, সবজি ও বোনা আমন ধানের ১৫ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় ৯৮ হাজার ৬৫৩ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এলজিইডি সিলেট জেলার তথ্যানুযায়ী, বন্যায় সিলেটের ১৩টি উপজেলার ১৬০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১১৯ কোটি টাকা। সড়ক ও সেতু বিভাগ জানায়, বন্যায় সিলেট জেলার ৪০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৮৫
কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বন্যায় ৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। জেলার ২১ হাজার ১১১টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তবে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ : সিলেট সিটিসহ বিভাগের চার জেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করার পর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় গত ৮ দিনে ডায়রিয়া, আরটিআই, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বন্যা ও পরবর্তী সময়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩৯৪টি মেডিকেল টিম বিভাগজুড়ে
কাজ করছে। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মজয় দত্ত বলেন, বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট আমরা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইউনিয়নভিত্তিক টিমও কাজ করছে। গোয়াইনঘাটে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। বিভিন্ন ইউনিয়নে গত ২১ জুন থেকে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশলয় সাহা। বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। ৩ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সুধীন চন্দ্র দাস জানান, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ
ডায়রিয়া, জন্ডিস, চর্মরোগ এবং টাইফয়েডসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে আছেন। তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।