ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ: নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে
নিত্যপণ্যের অসহনীয় দাম: সিন্ডিকেট দমন ও কার্যকর বাজার তদারকি জরুরি
‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ পুলিশের
চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প
দশ বছরে প্রাণহানি ৭৮ হাজার সড়কে মৃত্যুর মিছিল : দায় নিচ্ছে না কেউ
ভুয়া সনদধারীরা এখন কে কোথায়?
নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধের দাম, অতি মুনাফার প্রবণতা রোধ করা উচিত
সংকটে ব্যাংক খাত: সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে
দেশের ব্যাংক খাত নানা সংকটে জর্জরিত। এসব সংকটের সূত্রপাত বহুদিন আগে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় এতদিন ছিল ডলার সংকট; এখন টাকার সংকটেও ভুগছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর-এই চার মাসে আমানত প্রবাহ বাড়লেও ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংকট মেটাতে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ কলমানি মার্কেট থেকে ব্যাপকভাবে ধার করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, কয়েকটি কারণে ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণপ্রবাহ বেশিমাত্রায় বৃদ্ধি, সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকায় ডলার কেনা, বিতরণকৃত ঋণ আদায় না হওয়া এবং খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া। সম্প্রতি ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমেছে; বেড়েছে
আমানত প্রবাহ। এরপরও ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট কেন বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংকের বার্ষিক হিসাবনিকাশের সময় আমানত প্রবাহ বাড়ে; ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য থাকে। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে উলটো চিত্র। ধারদেনা ব্যাংকব্যবস্থায় নিয়মিত ঘটনা হলেও সম্প্রতি এর মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ খাতের বিশ্লেষকরা। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ব্যাংক ঋণ হিসাবে যেসব অর্থ বিতরণ করছে সেগুলো আর ফেরত আসছে না। এমনকি সুদ বাবদ অর্থও আসছে না। উলটো এগুলো খেলাপি হয়ে এর বিপরীতে প্রভিশন রাখতে গিয়ে আরও টাকা আটকে যাচ্ছে। চড়া মূল্যস্ফীতি ও আস্থার সংকটে অনেকে ব্যাংকে টাকা রাখছেন না। অর্থ পাচারের কারণে এ সংকটগুলো
তীব্র আকার ধারণ করছে। গত বছরের জুলাই থেকে ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট দেখা দেয়। বছর শেষে তা আরও বাড়ে। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংকগুলো সংকট মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে সুফল পাওয়া যায়নি, যে কারণে চলতি বছরের শুরুতে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সময় ব্যাংকগুলো এলসির দেনা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনে নগদ টাকায়। গত অর্থবছর এবং চলতি অর্থবছরে ডলার ক্রয়ের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এসব কারণেও ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট বেড়েছে। ব্যাংক খাতের চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুশাসন। এ খাতকে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া না
হলে গৃহীত পদক্ষেপগুলোয় সুফল মিলবে কিনা সন্দেহ।
আমানত প্রবাহ। এরপরও ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট কেন বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংকের বার্ষিক হিসাবনিকাশের সময় আমানত প্রবাহ বাড়ে; ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য থাকে। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে উলটো চিত্র। ধারদেনা ব্যাংকব্যবস্থায় নিয়মিত ঘটনা হলেও সম্প্রতি এর মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ খাতের বিশ্লেষকরা। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ব্যাংক ঋণ হিসাবে যেসব অর্থ বিতরণ করছে সেগুলো আর ফেরত আসছে না। এমনকি সুদ বাবদ অর্থও আসছে না। উলটো এগুলো খেলাপি হয়ে এর বিপরীতে প্রভিশন রাখতে গিয়ে আরও টাকা আটকে যাচ্ছে। চড়া মূল্যস্ফীতি ও আস্থার সংকটে অনেকে ব্যাংকে টাকা রাখছেন না। অর্থ পাচারের কারণে এ সংকটগুলো
তীব্র আকার ধারণ করছে। গত বছরের জুলাই থেকে ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট দেখা দেয়। বছর শেষে তা আরও বাড়ে। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংকগুলো সংকট মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে সুফল পাওয়া যায়নি, যে কারণে চলতি বছরের শুরুতে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সময় ব্যাংকগুলো এলসির দেনা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনে নগদ টাকায়। গত অর্থবছর এবং চলতি অর্থবছরে ডলার ক্রয়ের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এসব কারণেও ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট বেড়েছে। ব্যাংক খাতের চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুশাসন। এ খাতকে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া না
হলে গৃহীত পদক্ষেপগুলোয় সুফল মিলবে কিনা সন্দেহ।