লালন মেলার যাবতীয় তথ্য – U.S. Bangla News




লালন মেলার যাবতীয় তথ্য

আব্দুল হামিদ
প্রকাশক ও সম্পাদক, ইউ এস বাংলা 24
আপডেটঃ ৩ মার্চ, ২০২৩ | ৬:৪১
ফকির লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত। ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অসংখ্য বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠে। প্রতিবছর দুইবার লালন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মার্চ মাসের ১-৩ তারিখ ও অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ (বাংলা ১লা কার্তিক) লালন আখড়ায় বিশাল লালন মেলা হয়। (এবার মার্চ ৪-৬ মেলা অনুষ্ঠিত হবে) লালন মেলায় রাতভর চলে বাউল গানের উৎসব। এই উপলক্ষে লালন মাজারকে সাজানো হয় নানা সাজে। প্রধান ফটক আর মূল মাজারে সাদা, লাল, নীল আলোকসজ্জা, বিশাল তোরণ নির্মাণ ও মাজারের বাইরে কালী নদীর ভরাটকৃত জায়গায় স্থাপিত লালন মঞ্চের সামনে বিশাল ছামিয়ানা টাঙানো হয়। আলোচনা

মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসে গ্রামীণমেলা। মেলায় নানা রকম গৃহসামগ্রী, কাঠের তৈরি সাংসারিক নানা জিনিসপত্র, গরম জিলাপি, পাঁপড় ভাজা, লালনের গানের সিডি, গেঞ্জি, শন পাঁপড়ি, আখের শরবত, হোটেল, খই-বাতাসাসহ হরেক রকম পসরা বসে। যাওয়ার উপায় ঢাকা থেকে যেতে চাইলে বাস বা ট্রেনে দু’ভাবেই যাওয়া যায়। বাসে গেলে কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিউ এসবি সুপার ডিলাস্ক, শ্যামলী, হানিফ বাসে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট এ নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে যে কোনো রিকশা/অটো নিয়ে লালন মাজারে যাওয়া যায়। বাসের ভাড়া নন এসি ৪৫০-৫০০ টাকা, এসি ৬০০-৬৫০ টাকা। ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস অথবা চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকালে ও চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যায়

কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনে গেলে আপনাকে পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে নামতে হবে। ভেড়ামারা বা পোড়াদহ থেকে বাস বা সিএনজি তে করে কুষ্টিয়া শহরে এসে রিকশা অথবা অটো যেতে পারেন উৎসবে। থাকার ব্যবস্থা মজমপুর গেট, শাপলা চত্বর, এন এস রোড, বড় বাজার এ বিভিন্ন হোটেল আছে। এরমধ্যে হোটেল আজমীরি, প্রীতম হোটেল (মজমপুর গেট), নূর ইন্টারন্যাশনাল, বড়বাজারের জুবলি হোটেল, হোটেল লিবার্টি অন্যতম। এছাড়া থাকার জন্যে শহরেই মানসম্মত অনেক হোটেল পাবেন। এরমধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড স্টার, সানমুন অন্যতম। কোথায় খাবেন খাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। তার মধ্যে জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল, শফি হোটেল, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, মৌবন রেস্টুরেন্টসহ ৩টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাবেন। এন.এস.

রোডের মৌবন মাসালা তে আলু পরাটা খেতে পারেন, দাম ৭০ টাকা। একই রোডের শিশির বেকারিতে ভালো নাস্তা পাওয়া যায়। চৌড়হাস মোড়ে রান্নাঘর হোটেলও ভাল। মজমপুরের জাহাঙ্গীর হোটেল। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আছে বড় বাজারের গান্ধী হোটেল, মৌবন। শেষ কথা, লালন কুলফি খেতে ভুলবেন না!
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রেকর্ডের দুই দিনের মাথায় কমল সোনার দাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ল কাতার থেকে সরছে হামাসের কার্যালয়, আলোচনায় দুই দেশ হঠাৎ ভারত সফর স্থগিত করলেন ইলন মাস্ক হাসপাতালে বিএনপি নেতা মিন্টু ফের শাকিব অপুকে নিয়ে গুঞ্জন! সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী স্ত্রীকে টয়লেট ক্লিনার খাওয়ানোর অভিযোগ তুললেন ইমরান খান তারপরও ইসরাইলকে শত কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বিএনপি: কাদের টুইটের ব্যাখ্যা দিলেন হাফিজ তীব্র তাপপ্রবাহ, আরও ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চেন্নাইয়ের নির্বিষ বোলিংয়ে বিশাল জয় লখনৌর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি নানা ‘যুক্তি-অজুহাত’ মাঠ ছাড়তে নারাজ এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা পাহাড়ের বুক চিরে অর্ধশত ইটভাটা সুফল নেই সাড়ে তিনশ কোটির ইবিএ প্রকল্পে বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না, সমীক্ষা ভুয়া: মমতা কারাগারে কেজরিওয়ালের ‘মিষ্টি খাবার’ নিয়ে প্রশ্ন ইডির, হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পার্টির ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ