ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন বাইডেন ও ট্রাম্প
জরুরি অবস্থা জারি ফ্রান্সে
গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তার পদত্যাগ
ফোর্বসের ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ এশিয়ার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি
চীন রাশিয়ার হুমকি, আত্মরক্ষার্থে নতুন চুক্তিতে গেল জাপান যুক্তরাষ্ট্র
হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত
বন্যায় ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০, নিখোঁজ ১১২
রুশ হামলায় পিছু হটছে ইউক্রে
রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় টিকতে না পেরে পিছু হটছেন ইউক্রেন সেনারা। অনেক জায়গা থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি অবস্থানও হারিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান আলেক্সান্ডার সিরস্কি। রোববার টেলিগ্রামের একটি পোস্টে বলেছেন, সেনা সংকট থাকায় রাশিয়ার একাধিক হামলায় ফ্রন্টলাইন যুদ্ধের পরিস্থিতির অনেক অবনতি ঘটেছে।
ফলে টিকতে না পেরে ইউক্রেনীয় বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি অবস্থান থেকে সরে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
বর্তমানে বেশিরভাগ যুদ্ধ হচ্ছে দোনেৎস্কর চাসিভ ইয়ার শহরকে ঘিরে। এটি এমন একটি কিয়েভ-নিয়ন্ত্রিত দুর্গ যেখানে অবদিভকা দখল করার পরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে
রাশিয়া। সিরস্কি রুশদের অগ্রসরের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মস্কো কিছু সেক্টরে কৌশলগত সাফল্য অর্জন করেছে। জেনারেল সিরস্কি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জালুঝনির মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেওয়ার জল্পনার মধ্যেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। যদিও সেনাপ্রধান বদলে আপাতত যুদ্ধের কোনো বাঁক বদল ঘটেনি। উলটো রাশিয়ার কাছে অনেক এলাকা হারাচ্ছে ইউক্রেন। রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সেনারা অবদিভকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) উত্তরে নভোবাখমুটিভকা গ্রাম দখল করেছে। এদিকে ইউক্রেনের সেনাপ্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা বলেছে, কিয়েভের অনেক সেনারা সম্মুখভাগের তিনটি গ্রাম থেকে পিছিয়ে নতুন অবস্থানে চলে গেছে। ফলে এসব অঞ্চলে
রুশ সেনাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব গ্রামের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পাশাপাশি ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের আশপাশে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে। শহরটি বর্তমানে রাশিয়ার দখলে আছে। একই সঙ্গে শহরটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের আশঙ্কা, রাশিয়া এখান থেকে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে আক্রমণ চালাতে পারে। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, কিয়েভের সেনারা আভদিভকার উত্তরের দুই গ্রাম বেরদিচি ও সেমেনিভকার পশ্চিমে অবস্থান নিয়েছে এবং মারিয়াঙ্কার দক্ষিণে অবস্থিত নভোমিখাইলিভকা গ্রামের আরও দক্ষিণে অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘শত্রুরা এই এলাকায় কিছু কৌশলগত সাফল্য অর্জন করেছে, কিন্তু অপারেশনাল সুবিধা অর্জন করতে পারেনি।’ এ
সময় সিরস্কি আরও বলেছেন, ‘এই গ্রামগুলো আক্রমণের জন্য রাশিয়া চারটি ব্রিগেড মোতায়েন করেছে। তাদের মোকাবিলায় সেখানে ইক্রেনীয় সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ ঘিরে রাশিয়ার সেনা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তিত করে তুলেছে ইউক্রেনীয় নীতিনির্ধারকদের। কর্নেল জেনারেল সিরস্কি জানিয়েছেন, তার সেনারা খারকিভে রুশ সেনাদের উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে আবারও সরাসরি আক্রমণ চালাতে পারে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেনারা।’ সিরস্কি বলেছেন, ‘যেসব পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে আমাদের সেনারা গোলন্দাজ ও ট্যাংক ইউনিটের সহায়তায় দৃঢ় অবস্থানে আছে।’ যুদ্ধের ময়দানে কয়েক মাস ধরেই গোলাবারুদ, সেনা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সংকট
মাথায় নিয়েই লড়াই করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যার দরুণ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে তারা। গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নতুন মার্কিন অস্ত্র এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন ফ্রন্টলাইনে পৌঁছায়নি। আর এই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে সেনা ও সামরিক দিক থেকে কিয়েভের চেয়ে শক্তিশালী রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনী মার্কিন অস্ত্রের সরবরাহ পাওয়ার আগ মুহূর্তে রাশিয়া সেনাশক্তি এবং অস্ত্র খাতে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সিরস্কি। এদিকে সোমবার ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ন্যাটো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনীয়দের বলেছেন,
তার জোটের সদস্যরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে খুব দ্রুত ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবাহ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়া। সিরস্কি রুশদের অগ্রসরের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মস্কো কিছু সেক্টরে কৌশলগত সাফল্য অর্জন করেছে। জেনারেল সিরস্কি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জালুঝনির মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেওয়ার জল্পনার মধ্যেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। যদিও সেনাপ্রধান বদলে আপাতত যুদ্ধের কোনো বাঁক বদল ঘটেনি। উলটো রাশিয়ার কাছে অনেক এলাকা হারাচ্ছে ইউক্রেন। রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সেনারা অবদিভকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) উত্তরে নভোবাখমুটিভকা গ্রাম দখল করেছে। এদিকে ইউক্রেনের সেনাপ্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা বলেছে, কিয়েভের অনেক সেনারা সম্মুখভাগের তিনটি গ্রাম থেকে পিছিয়ে নতুন অবস্থানে চলে গেছে। ফলে এসব অঞ্চলে
রুশ সেনাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব গ্রামের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পাশাপাশি ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের আশপাশে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে। শহরটি বর্তমানে রাশিয়ার দখলে আছে। একই সঙ্গে শহরটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের আশঙ্কা, রাশিয়া এখান থেকে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে আক্রমণ চালাতে পারে। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, কিয়েভের সেনারা আভদিভকার উত্তরের দুই গ্রাম বেরদিচি ও সেমেনিভকার পশ্চিমে অবস্থান নিয়েছে এবং মারিয়াঙ্কার দক্ষিণে অবস্থিত নভোমিখাইলিভকা গ্রামের আরও দক্ষিণে অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘শত্রুরা এই এলাকায় কিছু কৌশলগত সাফল্য অর্জন করেছে, কিন্তু অপারেশনাল সুবিধা অর্জন করতে পারেনি।’ এ
সময় সিরস্কি আরও বলেছেন, ‘এই গ্রামগুলো আক্রমণের জন্য রাশিয়া চারটি ব্রিগেড মোতায়েন করেছে। তাদের মোকাবিলায় সেখানে ইক্রেনীয় সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ ঘিরে রাশিয়ার সেনা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তিত করে তুলেছে ইউক্রেনীয় নীতিনির্ধারকদের। কর্নেল জেনারেল সিরস্কি জানিয়েছেন, তার সেনারা খারকিভে রুশ সেনাদের উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে আবারও সরাসরি আক্রমণ চালাতে পারে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেনারা।’ সিরস্কি বলেছেন, ‘যেসব পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে আমাদের সেনারা গোলন্দাজ ও ট্যাংক ইউনিটের সহায়তায় দৃঢ় অবস্থানে আছে।’ যুদ্ধের ময়দানে কয়েক মাস ধরেই গোলাবারুদ, সেনা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সংকট
মাথায় নিয়েই লড়াই করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যার দরুণ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে তারা। গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নতুন মার্কিন অস্ত্র এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন ফ্রন্টলাইনে পৌঁছায়নি। আর এই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে সেনা ও সামরিক দিক থেকে কিয়েভের চেয়ে শক্তিশালী রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনী মার্কিন অস্ত্রের সরবরাহ পাওয়ার আগ মুহূর্তে রাশিয়া সেনাশক্তি এবং অস্ত্র খাতে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সিরস্কি। এদিকে সোমবার ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ন্যাটো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনীয়দের বলেছেন,
তার জোটের সদস্যরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে খুব দ্রুত ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবাহ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।