রাজধানীর অপরাধচিত্র – U.S. Bangla News




রাজধানীর অপরাধচিত্র

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ৩ মে, ২০২৩ | ৪:১১
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানা নিয়ে গঠিত আটটি বিভাগের কোন এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়, তা বিশ্লেষণ করে রাজধানীর অপরাধের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, খুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে ওয়ারীতে। এ বিভাগের থানাগুলো হলো-ওয়ারী, ডেমরা, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া ও কদমতলী। অর্থাৎ এলাকাটি হলো পুরান ঢাকা। চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে তেজগাঁওয়ে। এ বিভাগের থানাগুলো হলো-তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও হাতিরঝিল। এছাড়া চাঁদাবাজির ঘটনা বেশি ঘটে মিরপুর এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা মতিঝিল বিভাগে। বিস্ফোরক দ্রব্যসংক্রান্ত অপরাধ বেশি লালবাগ বিভাগে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ পরিসংখ্যানের ভিত্তি হলো মামলার সংখ্যা। তা সত্ত্বেও

এ থেকে রাজধানীর কোন এলাকায় কোন ধরনের অপরাধপ্রবণতা বেশি, এর একটি ধারণা মেলে। একেকটি এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর শ্রেণি ও পেশার ধরন, বসবাসের পরিবেশ এবং জনঘনত্বের প্রভাব পড়ে থাকতে পারে অপরাধের ধরন ও ব্যাপকতার ওপর। সে অনুযায়ী নেওয়া যেতে পারে প্রতিকারের ব্যবস্থা। বস্তুত প্রতিটি এলাকায়ই ঘটে থাকে সব ধরনের অপরাধ। কোথাও কোনো অপরাধ বেশি, কোথাও বা কম। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রবণতা যে সব সময় একই থাকবে, এমনটি মনে করার কারণ নেই। তাই সর্বত্রই জননিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজধানীতে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতারণার ঘটনাই ঘটছে বেশি। খুন, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে

মাঝেমধ্যে। এসব ঘটনা নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। এটা ঠিক, জনবহুল এ নগরীর কে কোথায় কীভাবে অপরাধ সংঘটিত করবে, তা আগাম আন্দাজ করা কঠিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এত জনবল নেই যে তারা প্রত্যেক নাগরিককে নজরদারিতে রাখতে পারে। তারপরও আমরা বলব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়িয়ে অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের কথা হলো-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শুধু অপরাধীদের গ্রেফতারে নয়, অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সক্রিয় হতে হবে। অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিরা যাতে অপরাধী হয়ে উঠতে না পারে, সেদিকটায় খেয়াল রাখলে সমাজ অনেক অঘটন থেকে রক্ষা পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলেরই নির্দেশনা উপেক্ষিত সরেননি এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা দেশজুড়ে লোডশেডিং আরও বাড়বে অবশেষে দুবাই বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ প্রশ্নপত্র ফাঁসে দুই উপপরিচালক ও কর্মচারী বরখাস্ত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বিভক্তিতে বিব্রত বিএনপি ট্রেজারি বিলের সুদে ‘পাগলা ঘোড়া’ কেন্দ্রে আগের চেয়ে নিরাপত্তা বলয় বাড়ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড শতকোটি টাকার সনদ বাণিজ্য হিট স্ট্রোকে আরও ৭ জনের মৃত্যু বিএনপির পর আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত নির্যাতনে জড়িত তিন শিক্ষার্থী ইবির গণরুমে র‌্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে রুল বরফের বাক্সে চার ঘণ্টা থেকে গিনেস রেকর্ড ১৭ বাংলাদেশি বন্দিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন সেই দেলোয়ার গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত শিশু উদ্ধার ‘দীপিকার চুলের মুঠি ধরে টেনেছি’ ইসরাইলি গণহত্যাকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: হামাস ইরানে হামলা করতে চেয়েও কেন সিদ্ধান্ত বদল ইসরাইলের