যুক্তরাজ্যে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় – U.S. Bangla News




যুক্তরাজ্যে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ৪ জুলাই, ২০২৪ | ৭:১৯
ছয় সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণার পর শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে ভোট। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত তিনটা)। স্থানীয় বিদ্যালয়, কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোকে পোলিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাউজ অব কমনের সাড়ে ছয়শো সদস্যকে নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রয়েছে। প্রতিটি জায়গার ফলাফল রাতে এবং শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হবে। হাউজ অব কমনের ৬৫০ সদস্যকে নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রয়েছে। সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ অন্তত

৩২৬টি আসনে জয় পেতে হবে। যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের। গতবার অর্থাৎ ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। নিয়মমাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এর ছয়মাস আগেই হচ্ছে নির্বাচন। যুক্তরাজ্য ৬৫০টি নির্বাচনি কেন্দ্র বা এলাকায় বিভক্ত। এই প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার ভোটাররা একজন সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন যারা তাদের হয়ে ‘হাউস অফ কমন্স’-এ প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচনি ময়দানে লড়াই করতে নামা প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেও ভোটে লড়েন। বর্তমানে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে তারা হলো ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি

ও লেবার পার্টি। ৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন কেইর স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি। ভোট গণনার পর যে দলের কাছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এমপি (সাংসদ) রয়েছে সেই দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান জানান রাজা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংসদ সদস্য থাকা দলের নেতাই হন সংসদে বিরোধী দলনেতা। যদি কোনও দলই সাংসদের নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে সেই দল নিজেদের সাংসদদের উপর নির্ভর

করে আইন পাশ করতে পারে না। এর ফলে ‘হাং পার্লামেন্ট’ বা ত্রিশঙ্কু অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তম দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে অন্য দলের সঙ্গে মিলে জোট সরকার গঠনের। অথবা সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে কোনও আইন পাশ করার সময় তাদের অন্য দলের ভোটের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আ. লীগের সভা শেষে বাড়ি ফিরতে পারলেন না ইউপি চেয়ারম্যান আজ রথযাত্রা, রাজধানীর যেসব সড়কে যান চলাচল সীমিত থাকবে কোটা বাতিলের দাবিতে আজ সারা দেশে সড়ক অবরোধ শতকোটি টাকা কামিয়ে চাকরিতে ইস্তফা অর্থ সংকটে পড়েছে থার্ড টার্মিনাল দুই কারাগারে গচ্চা ২৫০ কোটি টাকা প্রাধান্য পাবে ঋণ সহায়তা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চুক্তি তলবের আগেই আট কোটি উত্তোলন সবার দৃষ্টি সর্বোচ্চ আদালতে নতুন বিতর্কে বিএনপির সাবেক এমপি শিরিন স্টারমারের ২০ মন্ত্রীর ১১ জনই নারী এবারের ধাক্কা সামলাতে পারবে না আ.লীগ বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন, দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘লুটেরা ছাড়া পায় কিন্তু খালেদা জিয়া জেলে’ ১২ অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুতে হাইকমিশনের মোবাইল কনস্যুলার সেবা ফুটনোটে নয়, বহু দূরবর্তী ইতিহাসের মূল অধ্যায়ে জায়গা পেতে হলে অর্থনীতির চার চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে পদ হারানোর শঙ্কায় বিএনপি নেতারা ১২০ টাকায় ঠেকেছে পেঁয়াজের কেজি