ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
পরিবেশ নৈতিকতা চর্চা না হলে পরিবেশের মূল্যবান উপাদানগুলো হারিয়ে যাবে : সেমিনারে বক্তারা
কাঁকড়া ধরতে গিয়ে অপহরণ হলেন দুই বাংলাদেশি চাকমা
স্কুলের টয়লেটে আটকা ছিল শিশু, ৬ ঘন্টা পর মুক্ত
‘কোটি কোটি টাকা না, মাত্র ৩০-৪০ লাখ টাকা’, সোর্সদের নৌপুলিশ ইনচার্জ
জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী রহিম গ্রেফতার
ফের দাবদাহের সতর্কতা
প্লাস্টিকে দূষিত বুড়িগঙ্গার পানি, বাড়ছে রোগব্যাধি
মাদারীপুর আদালতে ঝুলে আছে ২৬ হাজার মামলা
মাদারীপুরে ১৭ আদালতে বিচারাধীন প্রায় ২৬ হাজার মামলা ঝুলে আছে বছরের পর বছর। মামলাগুলোর জট কমছেই না। বরং প্রতিদিন এই তালিকা আরো ভারি হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও বিচার না হওয়ায় আদালতপাড়ায় এসে হয়রানি আর ভোগান্তির শিকার বাদী ও আসামিপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ আইনজীবিরাও।
যদিও রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলির দাবি, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা। এ ছাড়াও জনবল সংকট রয়েছে বিভিন্ন আদালতে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া বন্দর এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান। ৮ বছর আগে একটি
দেওয়ানি মামলা করেন আদালতে। বিচারের আশায় আইনজীবি,মুহুরী আর কাগজপত্রের পেছনে খরচ
করেছেন কয়েক হাজার টাকা। কোন সমাধান না হওয়ায় হতাশাগ্রস্থ তিনি।
শুধু খলিলুর রহমানই নন,
তার মতো অধিকাংশের অবস্থা একই রকম। মামলা করে বছরের পর বছর করে ঘুরছেন আদালতপাড়ায়। এতে বার বার আদালতে আসা-যাওয়ায় কর্মজীবনে সমস্যা আর অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি বেড়েছে ভোগান্তি। কোন কোন মামলায় নেই বাদীর উপস্থিতি, আবার বেশকিছু মামলায় সাক্ষী দিতে বিলম্ব, ফলে কমছেই না মামলার জট। একদিকে বিচারক ও এজলাস সংকট, অন্যদিকে ব্রিটিশ আমনের আইনের পরিবর্তন না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও মামলার জট কাটছে না বলে দাবি আইনজীবিদের। পাশাপাশি হয়রানিমূলক মামলায় বাদীদের আইনের আওতায় আনা গেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে বলে প্রত্যাশা তাদের। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলীরা জানান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য আলাদা নতুন ভবন নির্মাণে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ হলেই কেটে যাবে
সমস্যা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৪ হাজার ৮শ’, সহকারী জজ আদালতে ৭হাজার, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাড়ে ৭ হাজার, নারী ও শিশু আদালতে ২ হাজার তিনশ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪ হাজার মামলা বিচারধীন রয়েছে। এই মামলার জন্য ১৭ জন বিচারকের বিপরীতে এজলাস রয়েছে মাত্র ১৪টি। ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান বলেন, আইনজীবি বলে আমি মামলার রায় পাবো, কিন্তু কবে রায় হবে সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। আমি গরিব মানুষ, টাকা জোগাড় করা আমার জন্য বড়ই কঠিন। মামলা চালানো এখন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরেক ভুক্তভোগী এমদাদুল হক খন্দকার বলেন, আমার বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামে। একটি মামলায় আমি
আসামি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর অভাবে ৭ বছরেও মামলার কোন সুরহা হয়নি। ফলে কর্মজীবনে সমস্যা আর টাকা খরচ করতে করতে ভয়াবহ সমস্যায় পড়ছি। কবে এ থেকে মুক্তি পাবো জানা নেই। আদালতে আসলেই নতুন তারিখ, কিন্তু না আসলে বিপদ। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট যতীন সরকার বলেন, এই সমস্যার অন্যতম কারণ হলো বিচারক ও এজলাস সংকট। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী যারা আছেন, তারা সময় মতো না আসায় অনেক মামলায় রায় হয় না। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয় মানুষকে হয়রানি করতে। এসব মিথ্যা মামলায় বাদীকে আইনের আওতায় আনা হলে মামলার সংখ্যা
কমে যাবে। প্রকৃতপক্ষে তদন্তে দেরি হলেও মামলার বিচার সঠিকভাবে হয় না। পর্যাপ্ত বিচারক ও এজলাস হলে সবক্ষেত্রেই বাদী ও বিবাদী লাভবান হবেন। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি উকিল (এজিপি) অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কান্তি বাড়ৈ বলেন, আদালতে বিচারক সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দুই-একটি এজলাস হলেই আপাতত সমস্যা দূর হতো। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি উকিল (ভিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার বলেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা। এরই মধ্যে ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু অথর্ বরাদ্দ না পাওয়ায় ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। আশা করছি, শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান
হবে।
তার মতো অধিকাংশের অবস্থা একই রকম। মামলা করে বছরের পর বছর করে ঘুরছেন আদালতপাড়ায়। এতে বার বার আদালতে আসা-যাওয়ায় কর্মজীবনে সমস্যা আর অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি বেড়েছে ভোগান্তি। কোন কোন মামলায় নেই বাদীর উপস্থিতি, আবার বেশকিছু মামলায় সাক্ষী দিতে বিলম্ব, ফলে কমছেই না মামলার জট। একদিকে বিচারক ও এজলাস সংকট, অন্যদিকে ব্রিটিশ আমনের আইনের পরিবর্তন না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও মামলার জট কাটছে না বলে দাবি আইনজীবিদের। পাশাপাশি হয়রানিমূলক মামলায় বাদীদের আইনের আওতায় আনা গেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে বলে প্রত্যাশা তাদের। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলীরা জানান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য আলাদা নতুন ভবন নির্মাণে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ হলেই কেটে যাবে
সমস্যা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৪ হাজার ৮শ’, সহকারী জজ আদালতে ৭হাজার, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাড়ে ৭ হাজার, নারী ও শিশু আদালতে ২ হাজার তিনশ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪ হাজার মামলা বিচারধীন রয়েছে। এই মামলার জন্য ১৭ জন বিচারকের বিপরীতে এজলাস রয়েছে মাত্র ১৪টি। ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান বলেন, আইনজীবি বলে আমি মামলার রায় পাবো, কিন্তু কবে রায় হবে সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। আমি গরিব মানুষ, টাকা জোগাড় করা আমার জন্য বড়ই কঠিন। মামলা চালানো এখন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরেক ভুক্তভোগী এমদাদুল হক খন্দকার বলেন, আমার বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামে। একটি মামলায় আমি
আসামি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর অভাবে ৭ বছরেও মামলার কোন সুরহা হয়নি। ফলে কর্মজীবনে সমস্যা আর টাকা খরচ করতে করতে ভয়াবহ সমস্যায় পড়ছি। কবে এ থেকে মুক্তি পাবো জানা নেই। আদালতে আসলেই নতুন তারিখ, কিন্তু না আসলে বিপদ। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট যতীন সরকার বলেন, এই সমস্যার অন্যতম কারণ হলো বিচারক ও এজলাস সংকট। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী যারা আছেন, তারা সময় মতো না আসায় অনেক মামলায় রায় হয় না। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয় মানুষকে হয়রানি করতে। এসব মিথ্যা মামলায় বাদীকে আইনের আওতায় আনা হলে মামলার সংখ্যা
কমে যাবে। প্রকৃতপক্ষে তদন্তে দেরি হলেও মামলার বিচার সঠিকভাবে হয় না। পর্যাপ্ত বিচারক ও এজলাস হলে সবক্ষেত্রেই বাদী ও বিবাদী লাভবান হবেন। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি উকিল (এজিপি) অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কান্তি বাড়ৈ বলেন, আদালতে বিচারক সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দুই-একটি এজলাস হলেই আপাতত সমস্যা দূর হতো। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি উকিল (ভিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার বলেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা। এরই মধ্যে ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু অথর্ বরাদ্দ না পাওয়ায় ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। আশা করছি, শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান
হবে।