বৈশ্বিক কারণে অর্থনীতিতে এখনো অনিশ্চয়তা – U.S. Bangla News




বৈশ্বিক কারণে অর্থনীতিতে এখনো অনিশ্চয়তা

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৩ | ৫:২৬
বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি এখনো অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। এর জন্য তিনটি কারণ শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বড় অর্থনীতির দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে এখনো সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ ও প্রতিকূল বৈশ্বিক পরিস্থিতি। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতি যে কোনো সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া আগে নেওয়া বাণিজ্য ঋণ বা ট্রেড ক্রেডিট ও স্বল্পমেয়াদি অন্যান্য ঋণ পরিশোধের কারণে এখন বৈদেশিক মুদ্রায় চাপ সৃষ্টি করেছে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। যে কারণে রিজার্ভ কমছে।
সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি প্রতি

তিন মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবারের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতির বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি, বড় অর্থনীতির দেশগুলোতে পুনরুদ্ধারে মন্থর গতি, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্যের মিশ্র প্রবণতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো। সম্ভাবনাগুলোর মধ্যে আছে, বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনায় চড়া মূল্যস্ফীতিতে লাগাম, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ অনেক পণ্যের দাম কমছে, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখা। প্রতিবেদনে বলা হয়, যে কোনো সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার তাৎক্ষণিক নীতি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। ফলে দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকবে বলে এতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। দেশে চড়া

মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। এতে দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির হার কমবে। একই সঙ্গে ওইসব দেশ দ্রুত পুনরুদ্ধার হলে দেশের রপ্তানি আয় বাড়বে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্সেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারপরও বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন কোনো মোড় নিলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। সে দিক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক রয়েছে। কারণ রোজা ও দুই ঈদের কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতি নেতিবাচক হলেও বাংলাদেশে এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি। কারণ দেশে কৃষি খাতে উৎপাদন ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্র্ভূত পণ্যের।

এতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আবার বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, আগামীতে এ হার কিছুটা কমবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমায় আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। দেশে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় খাদ্যেও সহনীয় থাকবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া আমদানি ব্যয় কমা ও রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমবে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাসের ক্ষেত্রে চাপও কমবে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতির হার আগামীতে কিছুটা কমতে পারে। এতে বলা হয়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ কর ট্রেড ক্রেডিট ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। এতে রিজার্ভ থেকে ডলার দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় মেটাতেও ডলারের জোগান বাড়াতে

হচ্ছে। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে, কমে যাচ্ছে রিজার্ভ। বৈদেশক মুদ্রার আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি হওয়ার কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার মানেও চাপ বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে অর্থের চাহিদা বেড়েছে। এদিকে ব্যাংকগুলো নগদ টাকায় ডলার কেনায় টাকা চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ফলে ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি বেড়েছে। কলমানি মর্কেটে লেনদেন বৃদ্ধি ও রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে টাকার জোগান বাড়ানোর ফলে দ্রুত তারল্য পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। চলমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়ায় শিথিল নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমেছে। অন্যদিকে ব্যাংকের আমানতের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানতের অনুপাত রক্ষা হচ্ছে না। প্রতিবেদনে বলা হয়,

বৈশ্বিকভাবে এখনও পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকির প্রভাব মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কও রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ কিছু পচনশীল পণ্যের দাম কমেছে। আবার অত্যাবশ্যকীয় কিছু পণ্যের দাম বেড়েও যাচ্ছে।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পেলেন নূর হোসেন ফরহাদ একপক্ষীয় প্রার্থীদের লড়াই যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি বন উজাড়ে জড়িত বন কর্মকর্তারাই আজকের দিনটি আমার জন্য অনন্য: সংসদে প্রধানমন্ত্রী সাকিবকে দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কিশোর দুবাইগামী ফ্লাইটে মিলল পৌনে তিন কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রা এখনো ভিসা হয়নি ৫০ হাজার হজযাত্রীর ছাত্রনেতা হিরুকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অর্থনৈতিক সংকটে ভারতকে যে আহ্বান জানাল মালদ্বীপ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিনির্দেশ বহির্ভূত ধান-চাল-গম কিনলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ নারী যাত্রীদের হাতাহাতি, যা করলেন পাইলট জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র: ইউক্রেনের দুই কর্নেল গ্রেফতার পাথরের ট্রাকে যাচ্ছিল পাঁচ কোটি টাকার হেরোইন ভরিতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বাড়ল সোনার দাম ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল ৬ মাসের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে: মন্ত্রী সারা দেশে গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল