ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ: নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে
নিত্যপণ্যের অসহনীয় দাম: সিন্ডিকেট দমন ও কার্যকর বাজার তদারকি জরুরি
‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ পুলিশের
চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প
দশ বছরে প্রাণহানি ৭৮ হাজার সড়কে মৃত্যুর মিছিল : দায় নিচ্ছে না কেউ
ভুয়া সনদধারীরা এখন কে কোথায়?
নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধের দাম, অতি মুনাফার প্রবণতা রোধ করা উচিত
বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা
শিক্ষকতা আমাদের সমাজে মহৎ পেশা হিসাবে বিবেচিত। তার সুশিক্ষাদানের ধারাবাহিকতায় সমাজ থেকে মূর্খতা যেমন বিতাড়িত হয়, তেমনই একজন আদর্শ শিক্ষক ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি বিশ্বকে পরিবর্তনের সক্ষমতা রাখেন। প্রকৃতপক্ষে সুশিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রধানতম হাতিয়ার, আর শিক্ষক হলো এর সুনিপুণ কারিগর। পরিতাপের বিষয়, শিক্ষকদের একটি অংশ পেশাজীবন শেষ করে অবসরভাতা পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে বাধ্য হন। রোববার খবরে প্রকাশ, অবসরভাতার জন্য ৩৫ হাজার বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর বোর্ডের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তাদের পাশাপাশি আরও সাড়ে ২৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ঘুরছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থের জন্য। সব মিলিয়ে প্রায় ৬২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আর্থিক দাবি ঝুলে আছে। এজন্য অন্তত ৬ হাজার
কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। মূলত অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের আয়ের উৎস হচ্ছে এমপিও খাত থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের দেওয়া চাঁদা এবং স্থায়ী আমানত থেকে পাওয়া লভ্যাংশ; কিন্তু এ আয়ের তুলনায় চাহিদা অনেক। অবসর বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের তহবিল সংকটের কারণে অবসর সুবিধা পেতে শিক্ষকদের মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। কারণ, প্রতিমাসে আবেদন অনুযায়ী যে চাহিদা থাকে, তা মেটানো সম্ভব হয় না। কল্যাণ ট্রাস্ট সূত্রও বলছে, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীর মূল বেতন থেকে প্রতিমাসে ৪ শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়। এতে নিয়মিত কিছু আয় এলেও মাসে যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে, সে তুলনায় বরাদ্দ নেই। ফলে প্রতিমাসে অনেককে বিদায়
করার পরও বেশির ভাগ দাবি অনিষ্পন্ন থেকে যায়। এভাবেই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদনজট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা মনে করি, অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের জীবনমান সহনীয় করতে অবিলম্বে তাদের সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। দেখা যায়, বৃদ্ধ বয়সে অধিকাংশ শিক্ষকই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন, কারও সন্তানের লেখাপড়া কিংবা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার দরকার হয়; কিন্তু টাকার অভাবে ধারদেনা করে জীবন চালাতে গিয়ে এর সবই আটকে যায়। অবসরে যাওয়ার পর টাকা না পেয়ে মারাও যান অনেকে। এ অবস্থায় বিশেষ কিংবা এককালীন বড় বরাদ্দ দিয়ে হলেও শিক্ষকদের পাওনা মেটাতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বেসরকারি শিক্ষকদের আর্থিক দাবি নিষ্পত্তিতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।
কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। মূলত অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের আয়ের উৎস হচ্ছে এমপিও খাত থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের দেওয়া চাঁদা এবং স্থায়ী আমানত থেকে পাওয়া লভ্যাংশ; কিন্তু এ আয়ের তুলনায় চাহিদা অনেক। অবসর বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের তহবিল সংকটের কারণে অবসর সুবিধা পেতে শিক্ষকদের মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। কারণ, প্রতিমাসে আবেদন অনুযায়ী যে চাহিদা থাকে, তা মেটানো সম্ভব হয় না। কল্যাণ ট্রাস্ট সূত্রও বলছে, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীর মূল বেতন থেকে প্রতিমাসে ৪ শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়। এতে নিয়মিত কিছু আয় এলেও মাসে যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে, সে তুলনায় বরাদ্দ নেই। ফলে প্রতিমাসে অনেককে বিদায়
করার পরও বেশির ভাগ দাবি অনিষ্পন্ন থেকে যায়। এভাবেই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদনজট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা মনে করি, অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের জীবনমান সহনীয় করতে অবিলম্বে তাদের সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। দেখা যায়, বৃদ্ধ বয়সে অধিকাংশ শিক্ষকই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন, কারও সন্তানের লেখাপড়া কিংবা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার দরকার হয়; কিন্তু টাকার অভাবে ধারদেনা করে জীবন চালাতে গিয়ে এর সবই আটকে যায়। অবসরে যাওয়ার পর টাকা না পেয়ে মারাও যান অনেকে। এ অবস্থায় বিশেষ কিংবা এককালীন বড় বরাদ্দ দিয়ে হলেও শিক্ষকদের পাওনা মেটাতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বেসরকারি শিক্ষকদের আর্থিক দাবি নিষ্পত্তিতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।