ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
শিল্পী সমিতির ভোট কেমন হচ্ছে, যা বললেন ঝন্টু
ইসরাইলের হামলায় ইরানে বিমান চলাচল বন্ধ, ইরাকে ব্যাপক বিস্ফোরণ
৪০০ কেজির মিষ্টি কুমড়ায় নৌকা বানিয়ে ভাসালেন নদীতে
১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবেন নাবিকরা, সেখান থেকে ফিরবেন দেশে
দেশে কমেছে গড় আয়ু, বেড়েছে মৃত্যুহার
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু নিমেষেই শেষ উত্তরাঞ্চলের টিকিট চাপ নেই চট্টগ্রাম সিলেট রুটে
৩৪ হাজার বার্গার খেয়ে বিশ্ব রেকর্ড
বিলুপ্তির পথে খেজুর রস
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিলুপ্ত হতে বসেছে খেজুর রস। আগ্রহ থাকলেও আগের মতো খেজুর গাছ না থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না স্বাদের এ খেজুর রস। এক সময় মানুষের বাড়িতে, সড়কের পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা যেত। শীতকাল আসতেই গাছ কেটে হাঁড়ি বসিয়ে ভোরে রস বিক্রি করত। এখন গাছ নেই বললেই চলে। যা আছে, সেগুলো থেকে আগের মতো রস পড়ে না। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
গোপালপুর গ্রামের গাছি মোসলেম উদ্দিন বলেন, আগে পরিবেশ ভালো ছিল, প্রতিটি ফল মূলের গাছ ছিল ফুলে ফলে ভরা। এলাকার পরিবেশ দূষণের ফলে, ফলমূলের গাছে আগের মতো ফল ধরে না। আগে সকালে হাঁড়ি নামিয়ে রস
নিয়ে যাওয়ার পরও গাছ থেকে ফোঁটা ফোঁটা রস ঝড়তে থাকত দুপুর পর্যন্ত। এখন রস ঝড়বে তো দূরের কথা সারা রাতে মাঝারি সাইজের কলসই ভরে না। রস সংগ্রহকারী ফজলু মিয়া বলেন, ২০২০ সালেও ৪টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ হতো প্রায় ৩০ কেজি। আর গত বছর এসে সংগ্রহ হচ্ছে ১৮ কেজি এবং এ বছর সংগ্রহ করছি ৮ থেকে ১০ কেজি কেজি। তিনি আরো বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন দূষণে গাছের শক্তি ও ভিটামিন কমে গেছে। আমার ৪টি গাছের পাশে গর্ত করে প্রতিদিন পানি দিয়ে গাছগুলো সবল রাখার চেষ্টা করছি। তার মতে আগে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল এলাকায় কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও
গাছের মালিকরা গাছগুলো লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ায় খেজুর গাছ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় প্রতি কেজি খেজুর রস বিক্রি হতো ২০ থেকে ৩০ টাকায়। বর্তমান সে খেজুরের রস ৭০ টাকা। অনেক জায়গাতে ১০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। আগামী বৈশাখ মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যাবে। এনিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, খেজুরের রসের সঙ্গে বাঙ্গালি সংস্কৃতির একটি মিল রয়েছে। নানা কারণেই দিন দিন খেজুর গাছগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সরকারি বে-সরকারিভাবে খেজুর গাছ রোপণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্গাপুর এলাকার মাটি খেজুর চাষের উপযোগি। উপজেলা পর্যায়ে গাছ বিতরণকালে খেজুর চারা প্রদানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে
অনুরোধ জানাবো।
নিয়ে যাওয়ার পরও গাছ থেকে ফোঁটা ফোঁটা রস ঝড়তে থাকত দুপুর পর্যন্ত। এখন রস ঝড়বে তো দূরের কথা সারা রাতে মাঝারি সাইজের কলসই ভরে না। রস সংগ্রহকারী ফজলু মিয়া বলেন, ২০২০ সালেও ৪টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ হতো প্রায় ৩০ কেজি। আর গত বছর এসে সংগ্রহ হচ্ছে ১৮ কেজি এবং এ বছর সংগ্রহ করছি ৮ থেকে ১০ কেজি কেজি। তিনি আরো বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন দূষণে গাছের শক্তি ও ভিটামিন কমে গেছে। আমার ৪টি গাছের পাশে গর্ত করে প্রতিদিন পানি দিয়ে গাছগুলো সবল রাখার চেষ্টা করছি। তার মতে আগে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল এলাকায় কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও
গাছের মালিকরা গাছগুলো লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ায় খেজুর গাছ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় প্রতি কেজি খেজুর রস বিক্রি হতো ২০ থেকে ৩০ টাকায়। বর্তমান সে খেজুরের রস ৭০ টাকা। অনেক জায়গাতে ১০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। আগামী বৈশাখ মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যাবে। এনিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, খেজুরের রসের সঙ্গে বাঙ্গালি সংস্কৃতির একটি মিল রয়েছে। নানা কারণেই দিন দিন খেজুর গাছগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সরকারি বে-সরকারিভাবে খেজুর গাছ রোপণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্গাপুর এলাকার মাটি খেজুর চাষের উপযোগি। উপজেলা পর্যায়ে গাছ বিতরণকালে খেজুর চারা প্রদানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে
অনুরোধ জানাবো।