ফের অস্থিরতার শঙ্কা পেঁয়াজের বাজারে, সবজিসহ বেড়েছে ডিমের দাম – U.S. Bangla News




ফের অস্থিরতার শঙ্কা পেঁয়াজের বাজারে, সবজিসহ বেড়েছে ডিমের দাম

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৫:১২
নতুন মৌসুমি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও বাড়তিই রয়েছে আমদানি ও দেশি পুরনো পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া বাড়তির দিকেই রয়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগিসহ সবজির বাজার। তবে গত সপ্তাহের অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হয়েছে চিনি, আটা-ময়দা, আদা-রসুনসহ অন্যান্য আমদানি পণ্য। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে পুরনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা দরে। আর মানভেদে আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকার ওপর। অন্যদিকে নতুন মৌসুমি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। অথচ গত সপ্তাহে পুরনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা এবং আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। সে হিসেবে সপ্তাহ ব্যবধানে এই দুই পেঁয়াজে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ ও ৩০

টাকা পর্যন্ত। মূলত দেশি জাতের নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধিতে গত সপ্তাহে বাজারদর অনেকটা কমেছিল। কিন্তু বাজারে আমদানি ও পুরনো দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতিতে দাম ফের বেড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ একবারেই কম। বিশেষ করে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের শতাধিক আড়তের মধ্যে মাত্র ৪/৫ টিতে পেঁয়াজের বেচাকেনা চলছে। বাকিগুলোতে কোনো পেঁয়াজই নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, আপাতত সংকট থাকলেও নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করেছে। ফলে ভারতও যে কোনো সময় রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমানে ১২০ টাকায় ডলারের বিনিময় মূল্য ও ১২০-১৫০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে মুনাফা করা যাবে কি

না, তা নিয়ে আমদানিকারকরা শঙ্কিত। তাই ঝুঁকি নিয়ে কোনো আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। এতেই বাজারে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন পাইকাররা। এদিকে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেওয়া হলেও প্ল্যান কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের তথ্য বলছে, গত ৮ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে মাত্র দুটি পেঁয়াজের চালান এসেছে। এর মধ্যে ঘোষণার পরের দিন, ৯ ডিসেম্বর ৫৮ টন পেঁয়াজ এসেছে চীন থেকে এবং ১৩ ডিসেম্বর ৫৮ টন পেঁয়াজ এসেছে পাকিস্তান থেকে। তবে আমদানি হওয়া এসব পেঁয়াজের আমদানি প্রক্রিয়া হয়েছে কমপক্ষে আরও এক মাস আগে। সেই হিসেবে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর বিকল্প দেশ

থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ফলে চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি ও নতুন সরবরাহ না পাওয়া যায় তাহলে দাম আবার আগের অবস্থায় চলে যেতে পারে। ইতোমধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের পাইকারি দাম। গত বৃহস্পতিবার এই বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় আমদানি পেঁয়াজ ১৭০ টাকা, চীনা ১২০ টাকা ও দেশি পুরনো ভালোমানের পেঁয়াজ ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরায় এর প্রভাব পড়বে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। খুচরা বিক্রেতারা জানান, এখনো তারা গত সপ্তাহে কেনা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। ফলে দাম বর্তমান পাইকারি বাজারের তুলনায় কম। যেহেতু মানুষ কম পেঁয়াজ কিনছেন, তাই

আগের কেনা পেঁয়াজই বাজারে চলছে। কিন্তু এই চালান শেষ হলেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যেতে পারে। এদিকে বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে ডিমের দাম। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২শ’ টাকা এবং সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা দরে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের দাম অব্যাহত রয়েছে চিনির বাজারে। তবে এখনো বাজারে খোলা চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নতুন রেটে প্রতি কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা দরে। এদিকে আমদানিকারকদের ঘোষিত নতুন দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের

ভোজ্যতেল ও আটা-ময়দা। অপরিবর্তিত দামেই বিক্রি হয়েছে আদা ও রসুনসহ অন্যান্য আমদানি পণ্য। এদিন প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা ও রসুন বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা দরে। বাড়তি দাম রয়েছে মসুর ডালেও, প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকার ওপর। এদিকে বাজারে শালগম ও মুলা ছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে বেশিরভাগ মৌসুমি সবজি। সপ্তাহ ব্যবধানে চড়াই রয়েছে করলা-বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দামও। এদিনও বেগুন ৭০ টাকা, শিম জাত ও মান ভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমোটো ১শ’ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০. বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি আকারে প্রতিপিস ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি

৪০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা ও মুলা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা এবং পুরান আলু ৫০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কেজিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। প্রায় অপরিবতির্ত দামে মাছবাজারে মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় কাতল ৪শ’ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২শ’ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া আড়াইশ’ টাকা ও শিং মাছ ৬শ’ টাকা, শোল মাছ ৮শ’ টাকা, পাবদা ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকার ভেদে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, মলা

মাছ ৫শ’ টাকা, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকা, মাঝারি আকারে বোয়াল ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গুড়ামাছ ৩শ’ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ’ টাকা, গলদা ৭শ’ এবং বাগদা ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা ও রূপচাঁদা ৯শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন ‘স্মার্ট এনআইডি’ হস্তান্তর ইসি’র যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে আলোচনার আগে রাফাহতে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল ইসরায়েল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতির জন্য ‘আরো প্রচেষ্টা চালাতে’ জাতিসংঘ প্রধানের আহ্বান নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পেলেন নূর হোসেন ফরহাদ একপক্ষীয় প্রার্থীদের লড়াই যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি বন উজাড়ে জড়িত বন কর্মকর্তারাই আজকের দিনটি আমার জন্য অনন্য: সংসদে প্রধানমন্ত্রী সাকিবকে দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কিশোর দুবাইগামী ফ্লাইটে মিলল পৌনে তিন কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রা এখনো ভিসা হয়নি ৫০ হাজার হজযাত্রীর ছাত্রনেতা হিরুকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অর্থনৈতিক সংকটে ভারতকে যে আহ্বান জানাল মালদ্বীপ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিনির্দেশ বহির্ভূত ধান-চাল-গম কিনলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ নারী যাত্রীদের হাতাহাতি, যা করলেন পাইলট