পাকিস্তানে আরও একটি সামরিক সরকার কি অনিবার্য? – U.S. Bangla News




পাকিস্তানে আরও একটি সামরিক সরকার কি অনিবার্য?

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৫ মে, ২০২৩ | ৯:৩৬
ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যখন পাকিস্তান খাবি খাচ্ছে, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উন্মাদনায় দেশটি অস্থির হয়ে পড়েছে। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা এমনভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল যে, দেশের বিভিন্ন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেও ওই বিক্ষোভ ঠেকানো যাচ্ছিল না। পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর মুহুর্মুহু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ইমরান খানকে গ্রেফতারের পরপরই দেশ অচল করে দেওয়ার ডাক দিয়েছিল তার দল। দলের নেতাদের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ইমরানের নিজ শহর লাহোরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে সেনানিবাসে সেনা কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। সেনানিবাসের বিভিন্ন ভবনেও ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে। বিক্ষোভ

হয়েছে বেলুচিস্তানের কোয়েটায়। সেখানেও সেনানিবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন পিটিআইয়ের সমর্থকরা। ১০ মে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের লাহোরের বাসভবনেও হামলা করা হয়েছে। এ হামলার সময় অবশ্য শাহবাজ এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। এ লেখা যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ২ হাজার পাঁচশ জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম দুদিনেই ১৪টি ভবন ও ২১টি পুলিশের গাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছে। ইমরান খানের গ্রেফতারকে বেআইনি বলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে ইমরান খানের গ্রেফতারের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে তিন সদস্যের গঠিত বেঞ্চ

ইমরান খানের গ্রেফতারকে বেআইনি ঘোষণা করেন এবং বন্দি হিসাবে বিবেচনা না করে ইমরানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধানকে নির্দেশ দেন। শুক্রবার হাইকোর্ট ইমরানকে জামিনও দিয়েছেন। ওদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ্ আবারও গ্রেফতার করা হবে হুমকি দিলে তার দল পিটিআই, ইমরানের জীবন নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইমরান খানকে ৯ মের পর করা কোনো মামলায় আগামী ১৫ মে পর্যন্ত গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্ট আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন দু’সপ্তাহের জন্য মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি তোশাখানা মামলায় আইনি প্রক্রিয়ার ওপরও স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এ কথা ঠিক, অন্য আরও দেশের মতো সবকিছুতে পচন ধরলেও

পাকিস্তানে একটি জায়গায় এখনো পচন ধরেনি। আর সেটি হলো সে দেশের আদালত। দু’সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও ইমরান খানের গ্রেফতারের শঙ্কা কিন্তু রয়েই গেছে। চলমান কয়েকটি মামলার কারণে আবারও গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ বিষয়ে ইমরান খান ও তার আইনজীবীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, ক্ষমতা ছাড়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১০০টির বেশি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এক আবাসন ব্যবসায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনেছিল। ইমরান ও তার স্ত্রী ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের জমি নিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানি লন্ডারিংয়ের ২৪ কোটি ডলার পাকিস্তানকে ফেরত দিয়েছিল। কিন্তু সে অর্থ ইমরান

খান সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ফেরত দিয়েছিলেন। ইমরান অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো বা এনএবি ইমরানের বিরুদ্ধে ১ মে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এ ছাড়া তোশাখানা থেকে কয়েক কিস্তিতে হাতঘড়িসহ আরও কিছু মূল্যবান গিফট নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে নিয়েছেন বলেও ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে সে দেশের সেনাবাহিনীর হাত ছিল, তা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে মতপার্থক্যের ফলে ইমরানের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব বেড়েছে। ফলে ইমরান ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ইমরান বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যেও এ

বিষয়টির অবতারণা করেছেন। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর যে বড় ভূমিকা থাকে এ বিষয়টি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এযাবৎ কোনো সরকারপ্রধানই তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। গত প্রায় ৭৫ বছরের মধ্যে তিনটি সফল সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে দেশের সেনাবাহিনী মোট ৩৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক শাসন চালিয়েছে। এ ছাড়া বাকি সময়ে সেনাবাহিনীকে জমাখরচ দিয়েই বেসামরিক সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছে। এ কারণেই পাকিস্তানের রাজনীতিতে যে কোনো পালাবদলের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্তাকে অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠতে দেখা গেছে। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর অবস্থান এমনই শক্তিশালী যে, যে কোনো রাজনৈতিক দলই তাদের সঙ্গে আপস না করে টিকে থাকতে পারে না। পাকিস্তানের রাজনৈতিক

নেতৃত্বের দুর্বলতাই সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় হস্তক্ষেপের পথকে সুগম করে দিয়েছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব রাজনীতি থেকে সেনাবাহিনীকে পৃথক না করে বরং বারবার তাদের ওপর নির্ভর করেছে, যার ফলে দেশটিতে সামরিক বাহিনী এত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। সাড়ে পাঁচ লাখ জনবলের সেনাবাহিনীসহ সাত লাখের একটি সশস্ত্র বাহিনীর বোঝা বহন করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের মোট বাজেটের ২০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ থাকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য। বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজমান, তাতে অর্থনৈতিক যুক্তিতে কোনোভাবেই এ বোঝা বহন করা সম্ভব নয় পাকিস্তানের পক্ষে। ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর ইমরান খান সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার পর ইমরান তার গ্রেফতারের পেছনে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের

হাত আছে বলে দাবি করেছেন। একটি কথা মনে রাখা ভালো, ইমরানের পিটিআইতে অন্যান্য দলের তুলনায় তরুণ প্রজন্মের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে সেনাবাহিনী যে অন্যতম অন্তরায় এ কথাটি ইমরান বেশ ভালো করেই তরুণ সমাজের মনে গেঁথে দিতে পেরেছেন। তিনি তরুণ সমাজের কাছে সেনাবাহিনীর আসল রূপ উন্মোচন করে দিয়েছেন। ফলে অর্থনৈতিক মন্দার এ পরিস্থিতিতে ইদানীং পাকিস্তানের তরুণ সমাজকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সোচ্চার হতে দেখা গেছে। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রেখেই তারা চুপ থাকেননি; ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও তাদের নানামুখী বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর প্রতি তারা এতই বিরক্ত যে, তারই

প্রতিফলন ঘটেছে এবার ইমরান খানের গ্রেফতারের পর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসভবনসহ বিভিন্ন সেনাছাউনিতে দলবদ্ধভাবে হামলার মাধ্যমে তাদের খেদ ও বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ইমরান খানের গ্রেফতারের পর বিক্ষুব্ধ মানুষ যেভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তা সবাইকে হতবাক করেছে। এটি এখন অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন যে, এ সম্পূর্ণ ঘটনা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাজানো এবং পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটার পর একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তারা বলছেন, এটি যে কারও পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে, পাকিস্তানের মতো দেশে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে উত্তেজিত জনতা ঢুকে পড়তে পারে, একজন লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদবির কোর কমান্ডারের বাসভবনে তারা আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। কোনোরকম বাধা ছাড়াই একটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে ঢুকে তোলপাড় করতে পারে। এ কথা সত্য, উপরে বর্ণিত ঘটনা এভাবে যে ঘটে যাবে তা কিছুদিন আগেও কল্পনা করা যায়নি। অবশ্য মুক্তি পাওয়ার পর ইমরান খানও বলেছেন, এসব ঘটনায় পিটিআইয়ের কেউ জড়িত নন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিক্ষুব্ধ জনতা যা করেছে, তা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। একটি দেশের জনগণ মার খেতে খেতে যখন তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন তার বহিঃপ্রকাশ এমনই ঘটে। সেনাবাহিনীর প্রতি এতদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ জনরোষে পরিণত হয়েছে। তবে এখানে একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে, উত্তেজিত জনতা কর্তৃক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচরণের ঘটনাকে ‘কালো অধ্যায়’ বলেছে। তাছাড়া তারা ইমরান খানের গ্রেফতাকে নিয়মমাফিক ও আইন মেনেই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। এর আগেও হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইমরান খান যে অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন, আইএসপিআর সেটাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভিত্তিহীন’ অভিযোগ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, ইমরানকে গ্রেফতার করা, দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক আবার মুক্ত করে দেওয়া ইত্যাদি পাকিস্তানের রাজনীতিতে কতটুকু প্রভাব ফেলবে? সুপ্রিমকোর্টের এ নির্দেশের ফলে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতে দেশটির রাজনীতিতে সুপ্রিমকোর্ট ও সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সুপ্রিমকোর্টের এ নির্দেশে এরই মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তার জোট সঙ্গীরা। শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের অন্যায় আচরণের কারণে ন্যায়বিচারের মৃত্যু ঘটেছে’। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতির উচিত পদত্যাগ করে পিটিআইতে যোগদান করা।’ সুপ্রিমকোর্টের এমন আদেশের পর পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া জানা গেলেও সেনাবাহিনীর কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও পিটিআইয়ের নেতাকর্মীদের সেনাছাউনিতে হামলার পরও সর্বোচ্চ আদালতের এমন নির্দেশে সেনাবাহিনীর ভেতরে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়। এ অবস্থায়, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইমরান খানের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের এ নির্দেশ সেনাবাহিনী ও সুপ্রিমকোর্টকে বোধহয় মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনী হয়তো মনে করছেন, সুপ্রিমকোর্টের এরূপ নির্দেশের ফলে ভবিষ্যতে ইমরানের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সুপ্রিমকোর্টের বর্তমান বিচারপতিদের প্রতি, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির ব্যাপারে তাদের ভেতর হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে সেনাবাহিনী চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে অথবা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরাসরি হস্তক্ষেপও করতে পারে। তবে সহিংসতার মাত্রার ওপর নির্ভর করবে দেশটির রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপের বিষয়। সরকার ও সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে বর্তমান সহিংস আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর চারদিকের উত্তেজনা অনেকটাই প্রশমিত হয়ে এসেছে। তবে, ইমরান খানকে যদি আবারও গ্রেফতার করা হয়, যা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, তাহলে সহিংসতা আবারও বেড়ে যেতে পারে। তখন পিটিআইয়ের প্রতিবাদকারীরা যদি সেনাসদস্যদের টার্গেট করে অথবা সেনাছাউনির ওপর হামলা করে এবং এর মাত্রা যদি আরও ভয়াবহ হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় বলা মুশকিল। অপরদিকে পাকিস্তানি তালেবানরা যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে, যা হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে; তাহলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ডাকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি দেশব্যাপী কারফিউও দেওয়া হতে পারে। তখন সার্বিক পরিস্থিতি হয়তো বাধ্য করবে অথবা উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারে। যদি ইমরান খান ও তার দলের নেতারা কর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার মতো কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না করে, তাহলে ইমরান খান তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে ভালোভাবে সক্রিয় থেকে যেতে পারবেন। অপরদিকে সরকার ও সেনাবাহিনীর করার কিচ্ছু থাকবে না, এমন পরিস্থিতিতে তারা হয়তো পিছু হটে যেতে পারেন। একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
তীব্র তাপপ্রবাহ, আরও ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চেন্নাইয়ের নির্বিষ বোলিংয়ে বিশাল জয় লখনৌর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি নানা ‘যুক্তি-অজুহাত’ মাঠ ছাড়তে নারাজ এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা পাহাড়ের বুক চিরে অর্ধশত ইটভাটা সুফল নেই সাড়ে তিনশ কোটির ইবিএ প্রকল্পে বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না, সমীক্ষা ভুয়া: মমতা কারাগারে কেজরিওয়ালের ‘মিষ্টি খাবার’ নিয়ে প্রশ্ন ইডির, হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পার্টির ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ বিপর্যস্ত ব্যাংক খাত, ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়েছে ওমরাহ থেকে ফেরার সময় নির্ধারণ করে দিল সৌদি আরব সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী কারণ ছাড়াই বেড়েছে বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম ইসরাইল-ইরানের দ্বন্দ্বের শুরু কবে থেকে? পরস্পরকে নিয়ে ভুল হিসাব-নিকাশ করেছে ইরান ও ইসরাইল ফ্রান্সে ইরানের কনস্যুলেটে আতঙ্ক, আটক এক ইরানের অস্ত্র সুবিধার কেন্দ্র ইসফাহান পার্কে ডেকে সাবেক প্রেমিকাকে খুন, মুহূর্তেই হত্যার ‘বদলা’ নিলেন মা ‘বজ্রমেঘ’ তৈরি হলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে বিরল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী