নতুন মাদকের আবির্ভাব বিস্তার রোধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি – U.S. Bangla News




নতুন মাদকের আবির্ভাব বিস্তার রোধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৩ মে, ২০২৪ | ৯:৫২
দেশে বহুল প্রচলিত মাদকের পাশাপাশি আসছে নতুন নতুন প্রাণঘাতী ড্রাগ। বুধবার খবরে প্রকাশ-ইয়াবার বিকল্প হিসাবে মাদকসেবীরা ‘ট্যাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড’ নামের ভয়ংকর এক নতুন ট্যাবলেটের দিকে ঝুঁকছে। ব্যথানাশক এ ট্যাবলেট ইয়াবার চেয়ে কম দামে গ্রামগঞ্জে পাওয়া যায় বলে আসক্তদের পছন্দের মাদকে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইয়াবার চেয়েও বহুগুণ ক্ষতিকর। এটি সেবনে মৃত্যুঝুঁকি তো আছেই, অন্যান্য মাদকের মতোই এই ট্যাবলেট সেবনে জৈবিক শক্তি হ্রাস পাওয়া, কিডনি বিকলসহ নানারকম জটিল উপসর্গ দেখা দেয়। দেশে আগে এ ট্যাবলেট কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করলেও ২০২০ সালে সরকার এটিকে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসাবে ঘোষণা করায় এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে পার্শ্ববর্তী দেশের বিভিন্ন ওষুধ

কোম্পানি এই ট্যাবলেট উৎপাদন করছে, যা সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে দেশে আসছে। দেশজুড়ে যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াবার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, তখন মাদকসেবীদের কাছে এর বিকল্প হিসাবে ট্যাপেন্টাডলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি যে উদ্বেগজনক তা বলাই বাহুল্য। সহজে বহনযোগ্য, কম ঝুঁকি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য এখন পর্যন্ত এই ট্যাবলেট না চেনায় গত কয়েক মাস যাবৎ এর দ্রুত বিস্তার ঘটছে। যদিও কয়েক বছর ধরেই মাদক কারবারিরা একে গোপনে জনপ্রিয় করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সার্বিকভাবে দেশে মাদক পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটলেও তা নির্মূলে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বরং মাদক প্রতিরোধে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, বর্তমানে মাদকের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে

বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মাদকচক্র বাংলাদেশকে এখন ‘সেফ রুট’ হিসাবে ব্যবহার করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গডফাদারসহ উচ্চপর্যায়ের মাদক কারবারিরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেখা যায়, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়াদের অধিকাংশই মাদকের বাহক। আবার এলাকায় যারা ক্ষুদ্র মাদক কারবারি হিসাবে পরিচিত, তারা মাঝেমধ্যে গ্রেফতার হলেও অল্পদিনেই ছাড়া পেয়ে ফের একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। দেশে মাদক বিস্তারের এটিও অন্যতম কারণ। কাজেই এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু বাহক নয়, সমন্বিতভাবে গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, মাদকের বিস্তার রোধ করতে না পারলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে। দেশে মাদকের বিস্তার রোধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে,

এটাই প্রত্যাশা।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ঝুঁকিমুক্ত রিজার্ভ অর্জনে লাগবে তিন বছর ডিএসইতে ১০ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ লেনদেন কেনিয়ায় পার্লামেন্টে হামলা, পুলিশের গুলিতে নিহত ৫ এবার পাঠ্য বইয়ে ‘অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট’ এবার যুক্তরাষ্ট্রকে যে হুমকি দিল রাশিয়া আমার ‘শান্তি প্রস্তাবেই’ আছে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি: পুতিন ঋণের কিস্তি আদায় নিয়ে নতুন নির্দেশনা ‘আইন সংশোধন যত বিলম্ব হবে, তামাকে মৃত্যু ততই বাড়বে’ রাসেলস ভাইপার ইস্যুতে সরকারকে আইনি নোটিশ আর্জেন্টিনার সামনে এবার পুরোনো ‘শত্রু’ চিলি সন্ধানীর প্রতিনিধি দল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দীপুমনির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পিটার হাস রাজশাহীতে সনদ ও ভাতা পেলেন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণার্থীরা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করল সুপ্রিমকোর্ট বার প্রধানমন্ত্রী খালি হাতেই ঢাকায় ফিরেছেন: সাইফুল হক দুর্নীতিবাজরা সরকারের ঘনিষ্ঠ: রিজভী সাবেক স্ত্রীকে ফেরাতে চুরি করে শফিক! সবচেয়ে বেশি যে করেছে, তার বিরুদ্ধে গীবত গেয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতের সহযোগিতায় তিস্তা প্রকল্প হবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে বুধবার