দেশের ছাত্রসমাজকে গাজার গণহত্যা কতটা নাড়া দেয়? – U.S. Bangla News




দেশের ছাত্রসমাজকে গাজার গণহত্যা কতটা নাড়া দেয়?

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৩ মে, ২০২৪ | ৯:৪৮
ইতিহাসের দীর্ঘ পরিধিতে দেখতে গেলে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শুরু এখন থেকে দেড় হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধকে এর শুরু হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে, যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে যুক্ত হয়েছে ১৯৫৭ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্স কর্তৃক সুয়েজ খাল আক্রমণ এবং ১৯৬৭ সালে ইসরাইল কর্তৃক মিসর, সিরিয়া ও জর্ডান আক্রমণ। আর এসব আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ধারাবাহিকতায়ই ১৯৭৮ সালে মিসর ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরববিশ্বের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ক্যাম্পডেভিড চুক্তি নামক এক অসম ‘শান্তিচুক্তি’। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে স্বাক্ষরিত হওয়ার সুবাদে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি নামে পরিচিত ওই দলিলে সই করেছিলেন ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম

বেগিন ও মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত (ওই চুক্তি স্বাক্ষরের কারণে এ দুজনকে ওই বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও দেওয়া হয়, যেটি এখন পর্যন্ত নোবেল পুরস্কারের রাজনীতিকীকরণের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে)। কী আশ্চর্য প্রহসন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটকে কেন্দ্র করে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে ফিলিস্তিনের কোনো প্রতিনিধিত্বই ছিল না! ১৯৭৮ সালে স্বাক্ষরিত ওই অসম ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির সুবিধাকে ব্যবহার করে ইসরাইল গত সাড়ে চার দশকেরও বেশি সময় ফিলিস্তিনের ওপর একের পর এক দখলদারি ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে, যার সর্বশেষ পর্যায়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সাত মাস ধরে সেখানে চলছে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম পৈশাচিক গণহত্যা। ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এবং তাদের জনগণের ওপর

পরিচালিত ওইসব গণহত্যায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। আর এ গণহত্যার একটি বর্বরোচিত নতুন অনুষঙ্গ হচ্ছে, এসব হত্যাযজ্ঞের কোনো কোনোটির সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার হচ্ছে। এমন সব পৈশাচিক অমানবিকতা দেখে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশেগুলোয় এখন ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রচণ্ডভাবে ফুঁসে উঠেছে মানুষ, যার সর্বশেষ পর্যায় হচ্ছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছাত্র বিক্ষোভ, যেটি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ওইসব বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশ অন্তত আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। সর্বশেষ খবর হচ্ছে, এ বিক্ষোভ এখন যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ভারতসহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে

শুরু করেছে; ধারণা করা যায়, ক্রমান্বয়ে তা আরও বেশিসংখ্যক দেশে ছড়াবে। উল্লেখ্য, এ বিক্ষোভের কেন্দ্রে এখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এলেও, আসলে তা প্রথমে যুক্তরাজ্যেই শুরু হয়েছিল আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে। যা হোক, ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এখন যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে এটি যদি ইউরোপ এবং ক্রমান্বয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে মোটেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিন্তু বিস্ময়করভাবে লক্ষণীয়, উল্লিখিত এ বিক্ষোভ প্রচণ্ড গতি নিয়ে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলেও সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ তথা এর শিক্ষার্থীরা। অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের নানা ধাপ ও স্তরে এ শিক্ষার্থীরাই ছিল আন্দোলন ও প্রতিবাদী কার্যক্রমের মূল

চালিকাশক্তি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান প্রকৃতপক্ষেই ছিল প্রগতিশীল চেতনায় হৃদ্য এদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের একেকটি জ্বালামুখ। বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়নে এটাই ইতিহাসের তথ্য যে, ঘটনার বাঁকে বাঁকে সেই ছাত্র আন্দোলনই বস্তুত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিপথকে নির্মাণ করে দিয়েছিল। সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু দেশপ্রেম ও অগ্রসর চেতনার দ্বারা অনুপ্রাণিত ওই প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা নিজেদের লক্ষ্য অর্জন ও দাবিদাওয়া আদায়ে তখন এতটাই দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিল যে, আন্দোলনরত তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের (শিক্ষার্থীদের) দেখানো পথ অনুসরণ করেই চূড়ান্ত স্বাধীনতার পথে এগোতে বাধ্য হয়েছিল। আর এ শিক্ষার্থীরাও যে কোনো ধরনের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’-এর ব্যানারে এতটাই ঐক্যবদ্ধ

ছিল যে, তারাই হয়ে উঠেছিল ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের মূল নিয়ামক শক্তি। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, নিজেদের প্রতিবাদী চেতনা ও সত্তাকে জাগ্রত করতে সব অন্যায়, অবিচার ও অন্যায্যতাকে রুখে দাঁড়ানোর ব্যাপারে এদেশের শিক্ষার্থীদের যে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ছিল, তার প্রায় পুরোটাই এখন অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে। যে কারণে ১৭ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণহত্যার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনের পথ ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর যখন হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উত্তাল প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে, তখন এদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে প্রায় বরফ-শীতল নীরবতা। ভাবতে অবাক লাগে, যে গৌরবময় ছাত্র আন্দোলনের দেখানো পথ ধরে এদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম চূড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়, সেই আন্দোলনের উত্তরসূরিরা

আজ হয় চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি করে, না হয় রাজনৈতিক নেতার সশস্ত্র ক্যাডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে কিংবা খুন-হত্যা-রাহাজানিকেই জীবিকার উপায় হিসাবে বেছে নিচ্ছে। আর এসবের কিছুই যাদের ভাগ্যে জুটছে না, তাদের জন্য সারা রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হীন ধাঁচের অর্থহীন সময় কাটানোই হয়ে দাঁড়াচ্ছে জীবনের শেষ ভরসা। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবনবোধ ও আচরণের ক্ষেত্রে এই যে স্খলন, সেটি কখন কীভাবে ঘটল? মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করলে দেখা যাবে, এটি ঘটেছে মূলত তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসনামলে। নানা চড়াই-উতরাই ও ত্রুটিবিচ্যুতি সত্ত্বেও ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি মোটামুটিভাবে তার ঐতিহ্যিক সূত্রের প্রতিবাদী ধারাকেই ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। আর সে কারণেই দেখা যায়,

১৯৭০ দশকের প্রথমার্ধে তারা যেমন স্বাধীন দেশের নবগঠিত সরকারের নানা ত্রুটিবিচ্যুতির প্রতিবাদ করেছে, তেমনই একই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং ১৯৮০-এর দশকে সম্মিলিতভাবে অংশ নিয়েছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও। এমনকি উল্লিখিত এ দুদশকের মধ্যে তারা রাস্তায় নেমে ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা, তিব্বতের ওপর চীনের জবরদস্তি, ব্রিটেনের ফকল্যান্ড আক্রমণ প্রভৃতি নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও নিজেদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। একই ধারাবাহিকতায় এসব ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে তারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপিও পেশ করছে। তাছাড়া এসব ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও কখনো রাস্তায় নেমে, কখনো লেখালেখির মাধ্যমে আবার কখনোবা সেমিনার-বক্তৃতা প্রভৃতির মাধ্যমে নিজেদের প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের

শক্তিকে আরও জোরদার করেছে। কিন্তু ১৯৯১ সালের পর থেকে রাজনৈতিক সরকারগুলো ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে ধস নামার পালা শুরু হয়। যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ১৯৯১-২০২৪ মধ্যবর্তী সময়কার সরকারগুলো মাত্র তিন দশকের ব্যবধানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে পুরো উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আদর্শিক চিন্তাচেতনা, অগ্রসর মূল্যবোধ, মানবিক সহমর্মিতা, সর্বোপরি তার প্রতিবাদী সত্তাকে ভেঙেচুরে খানখান করে দিয়েছে। আর এরই ফল হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকা, এমনকি আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদ হলেও বাংলাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে তেমন সোচ্চার নন। দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বর্তমানে কোনো ছাত্র সংসদ নেই, নেই কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, নেই জীবন গঠনমূলক অন্য কোনো শিক্ষণীয় উপাদানও। ছাত্র রাজনীতির নামে সেখানে যা যা আছে তার মধ্যে রয়েছে হল দখল, গণরুম নির্যাতন, শিক্ষক ও অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ, ঠিকাদারি কাজে ভাগ বসানো প্রভৃতি। অন্যদিকে শিক্ষকরা ব্যস্ত থাকছেন পদ-পদবি দখল, রাজনৈতিক কোটায় রাজউকের প্লটের বরাদ্দ লাভ, সান্ধ্য কোর্সে বেশি বেশি অংশগ্রহণ প্রভৃতি নিয়ে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র রাজনীতি তো বলতে গেলে নিষিদ্ধই। এ অবস্থায় ইসরাইলির মানবতাবিরোধী আগ্রাসন ও নির্মম গণহত্যার শিকার অসহায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোর হিম্মত তাদের মধ্যে আসবে কোত্থেকে? তারপরও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি গণহত্যার শিকার হওয়া বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর একজন হিসাবে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি এই মর্মে আবেদন রাখতেই চাই, আসুন সবাই মিলে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানাই, যেমনটি জানাচ্ছেন কলম্বিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখ লাখ শিক্ষার্থী। আবু তাহের খান : সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রোববার যেসব জায়গায় হচ্ছে ঈদ উদ্‌যাপন দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, ৫ জেলায় সতর্কসংকেত জাপানে ছড়াচ্ছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া, সংক্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু ঈদুল আজহার দিনের সুন্নত আমল গাজার ৫০ হাজার শিশুর অপুষ্টির চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘ পুতিনকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে যা বললেন জেলেনস্কি ৫৪ দিন পর খবর এলো নায়িকা সুনেত্রা আর নেই চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে ৬ নতুন মুখ সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে মিয়ানমার: জিএম কাদের চামড়া শিল্প নিয়ে দেশে নৈরাজ্য চলছে: হেফাজতে ইসলাম দেশবাসীকে জাতীয় পার্টির ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা কে কোথায় ঈদ করবেন সেন্টমার্টিন ইস্যু নিয়ে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব রাজনীতিবিদরা কে কোথায় ঈদ করবেন মালয়েশিয়ায় মানবপাচার, ১২ বাংলাদেশিসহ আটক ৩৩ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নারীকে অপহরণ, গ্রেফতার ২ মালয়েশিয়ায় ১৮ বাংলাদেশিসহ আটক ৪৩ অভিবাসী বাংলাদেশিসহ ৭৫ বন্দিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া ‘যুক্তরাষ্ট্রই এখন পাশে থাকার আগ্রহ দেখাচ্ছে’ ২০ বছরে পুলিশ হেফাজতে কতজনের মৃত্যু, জানতে চান হাইকোর্ট