![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-820526-1719334994.jpg)
ডিএসইতে ১০ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ লেনদেন
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-820007-1719236955.jpg)
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫১ হাজার কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-820091-1719248787.jpg)
অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব: সরকারের আমানত কমছে ব্যাংকে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-142564-1719060523.jpg)
বিশ্বব্যাংক থেকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেলো বাংলাদেশ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-819609-1719152473.jpg)
‘ভারতের মুদ্রানীতি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে শোষণে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-819648-1719160574.jpg)
৮২ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-818884-1719014350.jpg)
বিকল্প গন্তব্যে পাচারের অর্থ
দুর্বল ব্যাংক রক্ষায় অর্থনীতি ধ্বংস করা যাবে না
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/a-h-mansur-1718218926.webp)
দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ তাদের রক্ষা করতে গিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংস করা যাবে না। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা উচিত। তাতে ঘাটতি মেটাতে সরকারের ব্যাংক ঋণের নির্ভরতা কমে আসবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকা এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিময় হারের উদারীকরণ একটি ভালো পদক্ষেপ। ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মূলধন, সক্ষমতা, তারল্য, ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা– এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একীভূতকরণ করা উচিত। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নতুন অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির অবস্থান শক্ত রাখতে হবে। বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে হবে। সুদহার বাজারভিত্তিক করতে হবে। ব্যাংক খাত নিয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। জবাবদিহি ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ বন্ধ করতে হবে। পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজেটের আকার ছোট হলেও অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা রয়ে গেছে। তা হচ্ছে ব্যাংক খাত থেকে সরকারকে টাকা নিতেই হবে। ব্যাংক খাত তো সবল নয়। বরং অনেক দুর্বল। ব্যাংকে
আমানত প্রবৃদ্ধি গত বছর সাড়ে সাত শতাংশের মতো ছিল। এবার যদি আমানতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়, তাহলে ব্যাংকগুলোতে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আমানত আসবে। তিনি বলেন, সরকার এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলে ব্যক্তি খাতের ঋণের জন্য ব্যাংকে থাকবে মাত্র ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকে এ বছর যে আমানত আসবে তার থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ নেবে সরকার। বাকি ২০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবে বেসরকারি খাত। তাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সরকারের উচিত, ব্যয় আরও অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা সংকোচন করা। একই সঙ্গে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ৯০ হাজার কোটি টাকায়
নিয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ যেভাবে বাড়ছে তাতে অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। ব্যাংক খাতে সংস্কার করতে হবে। ব্যাংকিং খাতের বর্তমান ভঙ্গুর অবস্থা থেকে সরে আসতে না পারলে ভবিষ্যতে সরকার কিংবা ব্যক্তি কেউই ঋণ নিতে পারবে না। তাই ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা বন্ধ করতে হবে কিছু দিনের জন্য। কারণ দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে গিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে দেওয়া ঠিক হবে না। ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব ছিল। একীভূত হওয়ার কাঠামোতে ত্রুটি থাকায় উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ
বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোর মুদ্রানীতি প্রণয়ন করতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে টাকা ছাপানো যাবে না। তাতে ছয় থেকে ৯ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বলেন, কেউ কেউ বলছেন যে এ বাজেট সংকোচনমূলক। তবে এটি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় কিছুটা সম্প্রসারণমূলক। গত ১৫ বছরের মধ্যে এবারই বাজেটে ঘাটতি কম, যা সংকোচনমূলক রাজস্ব ও আর্থিক নীতি সমর্থন করে। শেয়ারবাজারের তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানি এবং একক ব্যক্তির কোম্পানির করপোরেট করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার
সুযোগ রাখা হয়েছে। তাতে সৎ ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হবেন। করজালের আওতা না বাড়ালে কর-জিডিপি অনুপাত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে না।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিময় হারের উদারীকরণ একটি ভালো পদক্ষেপ। ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মূলধন, সক্ষমতা, তারল্য, ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা– এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একীভূতকরণ করা উচিত। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নতুন অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির অবস্থান শক্ত রাখতে হবে। বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে হবে। সুদহার বাজারভিত্তিক করতে হবে। ব্যাংক খাত নিয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। জবাবদিহি ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ বন্ধ করতে হবে। পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজেটের আকার ছোট হলেও অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা রয়ে গেছে। তা হচ্ছে ব্যাংক খাত থেকে সরকারকে টাকা নিতেই হবে। ব্যাংক খাত তো সবল নয়। বরং অনেক দুর্বল। ব্যাংকে
আমানত প্রবৃদ্ধি গত বছর সাড়ে সাত শতাংশের মতো ছিল। এবার যদি আমানতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়, তাহলে ব্যাংকগুলোতে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আমানত আসবে। তিনি বলেন, সরকার এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলে ব্যক্তি খাতের ঋণের জন্য ব্যাংকে থাকবে মাত্র ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকে এ বছর যে আমানত আসবে তার থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ নেবে সরকার। বাকি ২০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবে বেসরকারি খাত। তাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সরকারের উচিত, ব্যয় আরও অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা সংকোচন করা। একই সঙ্গে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ৯০ হাজার কোটি টাকায়
নিয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ যেভাবে বাড়ছে তাতে অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। ব্যাংক খাতে সংস্কার করতে হবে। ব্যাংকিং খাতের বর্তমান ভঙ্গুর অবস্থা থেকে সরে আসতে না পারলে ভবিষ্যতে সরকার কিংবা ব্যক্তি কেউই ঋণ নিতে পারবে না। তাই ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা বন্ধ করতে হবে কিছু দিনের জন্য। কারণ দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে গিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে দেওয়া ঠিক হবে না। ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব ছিল। একীভূত হওয়ার কাঠামোতে ত্রুটি থাকায় উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ
বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোর মুদ্রানীতি প্রণয়ন করতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে টাকা ছাপানো যাবে না। তাতে ছয় থেকে ৯ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বলেন, কেউ কেউ বলছেন যে এ বাজেট সংকোচনমূলক। তবে এটি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় কিছুটা সম্প্রসারণমূলক। গত ১৫ বছরের মধ্যে এবারই বাজেটে ঘাটতি কম, যা সংকোচনমূলক রাজস্ব ও আর্থিক নীতি সমর্থন করে। শেয়ারবাজারের তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানি এবং একক ব্যক্তির কোম্পানির করপোরেট করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার
সুযোগ রাখা হয়েছে। তাতে সৎ ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হবেন। করজালের আওতা না বাড়ালে কর-জিডিপি অনুপাত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে না।