দুই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ – U.S. Bangla News




দুই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ | ৮:৫৮
আগামী ৫০ বছরের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে দুই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর একটি হচ্ছে-অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও রূপান্তরমূলক সংস্কার। অপরটি-বৈদেশিক ঋণ খাত, জলবায়ু মোকাবিলা এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে উন্নয়ন সহযোগীদের তহবিল বৃদ্ধি। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসার কথা বলা হয়। মরক্কোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বৈঠকের পঞ্চম দিনে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর গভর্নরদের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি আগামী চার বছরের মধ্যে ৮ শতাংশের ঘরে পৌঁছবে। বৈঠক সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। বিনিয়োগের অর্থ সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে কর খাতে সংস্কার

আনতে বলা হয়েছে। আইএমএফের গবেষণা তুলে ধরে বলা হয়, শুধু কর খাতের সংস্কারই নিু আয়ের দেশগুলো রাজস্ব খাত থেকে যে বাড়তি আদায় করবে সেটি জিডিপির ৯ শতাংশের সমান। আর উদীয়মান দেশগুলোর ক্ষেত্রে সেটি হবে ৫ শতাংশের সমান। ফলে এ অঞ্চলকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখানে সংস্কার আনতে হবে। জানা গেছে, ১৯৭৩ সাল অর্থাৎ আজ থেকে ৫০ বছর আগে এই মরক্কোতে বিশ্বের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বৈঠক করেছে আইএমএফ। ঠিক ৫০ বছর পর একই স্থানে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা হচ্ছে। এ সময় অর্থনীতির অনেক উত্থান ও চ্যালেঞ্জ ছিল। ওই বৈঠকে আগামী ৫০ বছর পর অর্থাৎ ২০৭৩ সালের পৃথিবী কেমন হবে তা কল্পনা করতে বলা

হয় উপস্থিত গভর্নরদের। সংস্থাটির মতে, এ সময় ভূ-রাজনীতি এবং প্রযুক্তিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। আইএমএফ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তা নিয়ে বের করার চেষ্টা করেছে ১৯৭৩ সাল অর্থনীতিতে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এআইর দৃষ্টিভঙ্গিতে ফলাফল পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তি করেই বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নীতিনির্ধারকদের জন্য উল্লিখিত দুটি অগ্রাধিকার খাতে বিনিয়োগের সুপারিশ করেছে। বৈঠকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা গভর্নরদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা অস্থিরতার সময় দেখেছি। বিশেষ করে ৭০-এর দশকে তেলের ধাক্কা, ল্যাটিন আমেরিকান ঋণ সংকট, এশিয়ান আর্থিক সংকট ও বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট। গত ৩ বছরে, আমরা একটি বিশ্বব্যাপী মহামারি, ইউরোপে যুদ্ধ এবং জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটও দেখেছি। তাই, একটি পরীক্ষা

হিসাবে, আমি জিজ্ঞাসা করেছি ... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা! ২০৭৩ সালে পৃথিবী কেমন হতে পারে? আর সেখানে ধারণা দেওয়া হয়, ২০৭৩ সাল হবে একটি টেকসই সমৃদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতি। সেখানে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে চলবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিক সীমানা খুলতে পারে মহাকাশ অন্বেষণে। এছাড়া আর্থিক ব্যবস্থার পরিবর্তে ডিজিটাল মুদ্রা মূলধারায় রূপ নিতে পারে। সেখানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নীতিনির্ধারণীদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, কিভাবে এই বিশ্ব রূপান্তরের সুবিধাগুলোকে ধরা যাবে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি এর ঝুঁকিগুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। সেখানে আরও বলা হয়, আগামী দিনগুলোতে মধ্যমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য সঠিক নীতি এবং সংস্কার অপরিহার্য। উদাহরণ তুলে বলা হয়, মরক্কোতে ভূমিকম্পে

বিধ্বস্ত অঞ্চলে পরিণত হয়। এখানে একটি শক্তিশালী ভিত্তি এবং কাঠামোসহ ভবনগুলো ছিল। ভূমিকম্পের ধাক্কার পরও সর্বোত্তমভাবে অনেক ভবন দাঁড়িয়ে ছিল। এর থেকে শিক্ষাটি হলো-খুব ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও নীতিনির্ধারকদের সুষ্ঠু নীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব। বৈঠকে মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, এর স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মানুষ রক্ষা পায়, বিশেষ করে দরিদ্রদের দুর্ভোগ থেকে বাঁচাবে। এর অর্থ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এখনো বিশ্বের অনেক দেশ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। ফলে আগামীতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেখানে আরও বলা হয়, আগামী দিনগুলোতে আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা দরকার। তবে আর্থিক অবস্থার আরও কঠোরতা আসবে। সে কারণে বাজার, ব্যাংক

ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আঘাত আসতে পারে। এ জন্য শক্তিশালী তত্ত্বাবধানের প্রয়োজন। এছাড়া গ্রহণ করতে হবে রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার নীতি। কারণ অনেক দেশের এখন ঋণ ঘাটতি রয়েছে। ফলে একদিকে ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যদিকে সরকারকে নিতে হবে কঠিন সিদ্ধান্ত। বৈঠকে দাতাদের ঋণ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, এখনো অর্ধেকের বেশি নিু আয়ের দেশগুলো ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। উদীয়মান অর্থনীতির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ খেলাপিও হয়েছে। যদিও ধীরে ধীরে ঋণ পুনর্গঠন করতে শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বার্ষিক সভায় বিশ্বব্যাংক আইএমএফ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য সরাসরি ঋণ দেওয়ার কর্মসূচি সক্রিয় করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, মহামারির শুরুতে এক লাখ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া

৫৬টি নিু আয়সহ ৯৬টি দেশে ৩২ হাজার কোটি ডলারের ঋণ দেওয়া চলমান আছে।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে: ইসি হাবিব দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে স্কুলের টয়লেটে আটকা ছিল শিশু, ৬ ঘন্টা পর মুক্ত সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি শাহজালাল বিমানবন্দরে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ১ নাগরিকদের কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারি খরচে মালয়েশিয়া প্রবাসী সোবহানের লাশ আসছে কাল ‘কোটি কোটি টাকা না, মাত্র ৩০-৪০ লাখ টাকা’, সোর্সদের নৌপুলিশ ইনচার্জ মালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা চীন সফরে উচ্ছ্বসিত পুতিন, শির মন্তব্য ভাসা ভাসা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি ‘ওই পাড়াটা বিএনপির, ওইঠে উন্নয়ন করা যাবেনি’ ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় তিন স্পেনীয়সহ নিহত ৪ এই মৌসুমের শাস্তি আগামী আইপিএলে পাবেন হার্দিক সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে কেন