চিন্ময় কৃষ্ণ আটক; কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি – ইউ এস বাংলা নিউজ




চিন্ময় কৃষ্ণ আটক; কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৪৩ 7 ভিউ
বাংলাদেশে ISKCON (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশিয়াসনেস) এর বিশিষ্ট পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আটক দেশের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একটি সামাজিক মাধ্যমে (এক্স-এ) দেওয়া বিবৃতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, "বাংলাদেশে ISKCON মন্দিরের পুরোহিতের আটক এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।" তিনি আরও বলেন, "আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যেন তারা এই বিষয়ে তৎপরতা গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোরালো দাবি জানায়।" আটক ও অভিযোগ চীনময় কৃষ্ণ দাস সোমবার ঢাকার বিমানবন্দর

এলাকায় আটক হন এবং তাকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। তাকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহনকারী একটি স্ট্যান্ডে একটি পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অত্যধিক অভিযোগ বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এই আটক বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে, যাদের উপর হামলা ও নিপীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ধর্মীয় নেতাদের ওপরও হামলার ঘটনা বেড়েছে, যা দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পরামর্শ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ISKCON মন্দিরের পুরোহিতের আটক এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান সহিংসতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যেন তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোরালো দাবি জানায়।” এছাড়া, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার যে প্রবণতা বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মনে করেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু কাউন্সিলের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ (BHBCUC), দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু সংগঠন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটককে তীব্রভাবে নিন্দা করেছে। এই পরিষদের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক মানিন্দ্র কুমার নাথ বলেন, “আমরা প্রভু চীনময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আটক

এবং তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রতিবাদ জানাই। সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ধর্মীয় নেতারা নির্দ্বিধায় তাদের বিশ্বাস প্রকাশ করতে পারেন।” ভারতের প্রতিক্রিয়া ভারতও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটককে নিন্দা জানিয়েছে এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি দুঃখজনক যে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি তুলে ধরা ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, আর যারা সহিংসতার মূল হোতা, তারা এখনও মুক্ত রয়েছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং বাংলাদেশের সরকারকে রেডিকাল গোষ্ঠীগুলোর চাপের মধ্যে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার রেডিকালদের চাপের মধ্যে কাজ করছে। তারা মন্দিরগুলো

ভাঙছে। আমি ভারতের সরকারকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা এই বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। জাতিসংঘকেও এই পরিস্থিতি নিয়ে সজাগ হতে হবে।” ধর্মীয় স্বাধীনতার সংকট চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটক বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। কিছু বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী এই সহিংসতাকে উসকানি দিচ্ছে, যা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছেন যে, তাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য করা উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে ভারতের, Bangladesh এর সরকারের প্রতি ধর্মীয় স্বাধীনতা

এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় চাপ সৃষ্টি করার। বাংলাদেশের পরিস্থিতি তীক্ষ্ণ নজরদারি দাবি করছে এবং এই সংকটের সমাধানে যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজন। বাংলাদেশ কি ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পথ অনুসরণ করবে? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটক বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার ভবিষ্যতের ওপর বড় ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা ও সেক্যুলার মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা, নাকি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ভারত, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবিলম্বে উদ্যোগ নেবে কিনা, তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
টানাপোড়েন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী! দু-একদিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ৪০ বছরে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ ইসরায়েল, মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ! রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে ভেসে আসে হাজার টন মরা মাছ! রহস্য অধরা আজও কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ৬৯ কারাগারের ১৭টিই ঝুঁকিপূর্ণ, পলাতক ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী: ডিএনএ রিপোর্ট হাইকোর্টে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ভারত মৌচাকে শেখ রেহানার বাংলো এখন পার্কে পরিণত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রোগীর বদলে ভাড়ায় বস্ত্র টানছে এবার ভারতকে পাল্টা চাপ পাকিস্তানের… ভারত ইস্যু গভীরভবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি সর্বকালের সর্বনিম্নে ভারতীয় রুপির মান : তোলপাড় টানাপোড়েন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা ভারত বয়কট : পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি বাংলাদেশ নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে উদ্বেগ