উপজেলায় প্রার্থী হতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা: শেখ হাসিনা – U.S. Bangla News




উপজেলায় প্রার্থী হতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা: শেখ হাসিনা

সতর্ক করা হয়েছে প্রভাবশালী কয়েকজন এমপি ও সাবেক মন্ত্রীকে * নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫:৫৬
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। প্রার্থী হতে পারবেন না তাদের (এমপি-মন্ত্রীদের) পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয়রা। যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সরে দাঁড়াতে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা। ইতোমধ্যে প্রভাবশালী কয়েকজন এমপিকে সতর্কও করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রীও। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথাও জানানো হয়েছে তাদের। নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন-অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে শুরু

থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের বিভাগীয় দায়িত্ব পাওয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠক করেন। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনার কথা জানান। একই সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য

যারা নির্বাচন করছেন, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশনাও দেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা পাওয়ার পরেই দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের দলের এ নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন। বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার জন্য দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান এবং নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক ফোন করে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয় যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও বলা হয়। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। এটা আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ শুরু করেছেন। কয়েকজনকে ফোন করে নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি যারা আছেন তাদেরও দলীয় সভাপতির এই নির্দেশনার কথা জানানো হবে। এই নির্দেশনা না মানা দলের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত অমান্য করা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ বলেই বিবেচনা করা হবে। একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে সাধারণ

সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। নেত্রী বলেছেন, যারা এমপি-মন্ত্রী তাদের সন্তানসহ স্বজনরা যেন এই নির্বাচনে প্রার্থী না হয়। এ ব্যাপারে নেত্রীর পক্ষ থেকে বার্তাগুলো তাদের জানাতে বলা হয়েছে। আমরা নিজ নিজ বিভাগে সবাইকে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুরু থেকেই এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বা প্রার্থীদের সমর্থন না দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলের কোনো নির্দেশনাই তোয়াক্কা করছিল না তারা। উলটো নিজের পছন্দের প্রার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই তাদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী করার উদ্যোগ নেন। তাদের

পক্ষে প্রকাশ্যে বা গোপনে মাঠেও নামেন অনেকেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি, তুলে নেওয়া এবং প্রচারণায় বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগও উঠে কয়েকজন প্রভাবশালী এমপির বিরুদ্ধে। এ কারণে দলের তৃণমূলে চেইন অব কমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। ঘটে সংঘর্ষের ঘটনাও। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগও জমা পড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, যেসব এমপি-মন্ত্রী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করছেন-তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। এবার চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম পর্বে ১৫০টি উপজেলায় ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় এবং ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া তফশিল না হলেও ৫

জুন চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বিষয়ে দলীয় এই সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাচনের চার পর্বের জন্যই প্রযোজ্য বলে আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, যারা নিকটাত্মীয়দের দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দলীয় নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৫ রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ গ্রেফতার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ নেতানিয়াহু স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে নামল বৃষ্টি ছাত্রীনিবাসের সামনে গিয়ে যে কাণ্ড যুবকের মালয়েশিয়ায় প্রতারিত অভিবাসীদের দুর্দশা লাঘবে স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান সাবমেরিন বিধ্বংসী ‘স্মার্ট’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল ভারত মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই তিন মামলা এবার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিল কলম্বিয়া রাফায় অভিযানের হুঁশিয়ারি ইসরাইলের, যে সতর্কবার্তা দিল জাতিসংঘ নতুন রেকর্ড পরীমনি-সিয়ামের প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হইলো কেন: ব্যারিস্টার সুমন প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে চীনে মহাসড়ক ধস, নিহত ২৪ দেশের সকল মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন আদৌ কি সম্ভব হবে, জানাল যুক্তরাজ্য বজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের নিপীড়ন, যে বার্তা দিল অ্যামনেস্টি হঠাৎ স্ট্যাটাস দিয়ে ডিলিট, কী লিখেছিলেন তিশা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা দেশগুলোর প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন খামেনি