উন্নয়ন হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া, থামতে নেই – U.S. Bangla News




উন্নয়ন হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া, থামতে নেই

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৩ মে, ২০২৩ | ৬:৫৬
আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ান ইউ বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না আমরা কী দারিদ্র্য আর অভাবের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলাম!’ আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সম্পর্কে উদাহরণ দিতে গিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ছাত্রদের প্রায়ই বলি, তোমাদের কোনো ধারণাই নেই যে, কী রকম ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু! আমরা যখন তোমাদের বয়সি, সেই সময় খাদ্য, বস্ত্র, যোগাযোগব্যবস্থার এক করুণ অবস্থা ছিল! আজ সব ক্ষেত্রেই হয়েছে অকল্পনীয় উন্নতি এবং এ উন্নতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস! এই তো মাত্র দেড় দশক আগেও পাকিস্তান, নেপাল ছিল আমাদের সমপর্যায়ের এবং শ্রীলংকাকে বাংলাদেশের জন্য মডেল হিসাবে ধরা হতো। আজ বাংলাদেশ অনেক

এগিয়ে গেছে পাকিস্তান, নেপাল তো বটেই, এমনকি শ্রীলংকা থেকে। কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য অনুন্নত বিশ্বে বাংলাদেশকে আজ উদাহরণ হিসাবে দেখা হয়। বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কৃষিজমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছে এবং নীরবে বহুজাতিক কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে! কৃষিক্ষেত্রে এ সাফল্যের পেছনে যেমন রয়েছে কৃষক এবং কৃষিবিদদের অবদান, তেমনি রয়েছে সরকারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং কৃষিবান্ধব নীতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে, তখন সারা দেশে বিদ্যুতের অভাব ছিল প্রকট। যে কোনো দেশের অর্থনীতির জন্য বিদ্যুতের ভূমিকা মানবদেহে রক্তের ভূমিকার মতো। ২০০৭-২০০৮ সালে বেশির ভাগ সময়ই দেশ ছিল প্রায় বিদ্যুৎহীন। বেশির ভাগ সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

থাকত, বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসত। সেই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী এবং ত্বরিত সিদ্ধান্তে ‘স্টপ গ্যাপ’ সমাধান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় কুইক-রেন্টাল পাওয়ার স্টেশন, যা খুব দ্রুতই বাংলাদেশের জনজীবন ও শিল্পে প্রাণসঞ্চার করেছিল। কুইক-রেন্টালের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের জ্বালানির (ফুয়েল মিক্স) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দেশে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। সঠিক পদক্ষেপের ফলে এ সরকারের আমলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে চারগুণেরও বেশি! নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো যেকোনো দেশের দ্রুত ও টেকসই

উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই এ সরকারের আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। ফলে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্নফুলী টানেল, পায়রাবন্দর, বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বাংলাদেশের লাইফ-লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। অন্য প্রকল্পগুলো প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। একসঙ্গে এতগুলো ব্যয়বহুল উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়াতে অনেকের মতো আমারও আশঙ্কা হয়েছিল, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়া পর্যন্ত আমাদের দেশে তারল্য সংকট অথবা বাস্তবায়িত হওয়ার পরে মালয়েশিয়ার মতো (১৯৯৮) ওভার-হিটিং হবে না তো? প্রকল্পগুলো কি

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারবে, নাকি শ্রীলংকার হাম্বন্টোটা বন্দরের মতো শ্বেত-হস্তীতে পরিণত হবে! পদ্মা সেতুর গত নয় মাসের আশাতীত সাফল্য আমাদের জন্য খুবই প্রেরণাদায়ক। মেট্রোরেল বর্তমানে সীমিত সেবা দিয়ে থাকলেও এর মনস্তাত্ত্বিক সাফল্য আকাশছোঁয়া! পৃথিবীর সব বড় শহরে মেট্রোরেলের মতো গণপরিবহণ স্বল্পসময়ে নগরবাসীকে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজ করে থাকে। এর ফলে শহরের জানযট এবং পরিবেশদূষণ সমস্যার কিছুটা হলেও লাঘব হয়। এ ধরনের গণপরিবহণ (মাস ট্রানজিট) সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান না হলেও শহরের জানযট কমানোর পাশাপাশি দূষণ কমায় এবং শহরকে বাসযোগ্য করতে সহায়ক হয়। মেট্রোরেল আর পদ্মা সেতু আমাদের মানসিকভাবে অনেক আত্মপ্রত্যয়ী করার সঙ্গে সঙ্গে আগামীতে আমাদের আরও বড় কিছু অর্জনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। পদ্মা

সেতু চালুর পর এর আশাতীত বহুমুখী উপকারের ফল ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে, সর্বক্ষেত্রে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়ন, কৃষিজাত পণ্যের সরবরাহ এবং বাজারজাতকরণ, চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সব ক্ষেত্রেই ঘটেছে আশাতীত উন্নতি। বর্তমানে সারা দেশে বিদ্যুতের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট চালু হওয়ার ফলে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী, ছাত্র, শিক্ষিত বেকার-যুবক/যুবতী ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন, তাদের পণ্য বাজারজাত করছেন। অনেকে অনলাইনে বিভিন্ন ভাষা থেকে শুরু করে কোডিং, প্রোগ্রামিং শিখছেন। একই সঙ্গে সরকার প্রতিষ্ঠিত ইনকিউবেটর সেন্টারগুলো এসব মেধাবী যুবশক্তিকে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। আশা করা যায়, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ আইটি সেক্টর থেকে

পাঁচ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন এখন অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়; বাস্তব। যার সুফল শিক্ষা, কৃষি, অফিস-আদালত সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান। মানুষ ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানতে পারছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম পূরণ করছে, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন, থানায় জিডি করা, জমি রেজিস্ট্রেশন, খাদ্য কিংবা রাইড শেয়ারিংয়ের মতো কাজ করে ফেলছে। ফলে টাকা এবং সময়ের অপচয় হচ্ছে না। মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র সংযোগের ফলে অপরাধীকে শনাক্ত এবং গ্রেফতার অনেক দ্রুত এবং সহজ হয়েছে। অপরাধীর ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ফলো করে তাকে খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে

ডিএনএ এবং সিসিটিভি ফুটেজ অপরাধীকে শনাক্ত এবং গ্রেফতারের ব্যাপারে সাহায্য করছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিঃসন্দেহে আমাদের সামগ্রিক দক্ষতা অনেক বৃদ্ধি করেছে। অনেকে উদ্যমী উদ্যোক্তা হিসাবে সরকারের পাশাপাশি দেশে কাজ করে চলেছেন, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তৈরি করার পূর্বশর্ত। অনেক সময় সাধারণ মানুষ মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে থাকে। এ বিভ্রান্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেক বড় প্রকল্প এবং পদক্ষেপের সুফল পৌঁছাতে প্রচুর সময়ের দরকার। এ সময়কালে বিরোধী দল এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় তাদের ক্রমাগত মিথ্যাচারে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হয়, ফলে জনমনে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয় প্রকল্পের খরচ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রাচীনকাল থেকে সব দেশেই এ ধরনের দ্রুত উন্নয়নের সময় অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা এবং অনভিজ্ঞতার ফলে কিছু অপচায়,

দুর্নীতি এবং প্রকল্প দীর্ঘায়িত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। যেমনটি হয়েছিল চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়। এ ধরনের ভুল সিঙ্গাপুরে হয়েছিল লি কুয়ান ইউর শাসনামলে। মাহাথির মোহাম্মদের মালয়েশিয়াতেও হয়েছিল দ্রুত উন্নয়নের সময়। যানজট নিরসন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা বর্তমানে সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণ চালু হলে ঢাকা শহরের জানযট অনেকাংশে লাঘব হবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের অনেক মানুষ অর্থনৈতিক কারণে ঢাকা থেকে আশপাশের জেলাগুলোতে ফিরে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে বরিশাল, যশোর, রাজশাহী, ঈশ্বরদী এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরগুলোকে পূর্ণমাত্রার রিজিওনাল (সিঙ্গাপুর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যকার সব দেশের ফ্লাইট চার ঘণ্টার) এয়ারপোর্ট হিসাবে ব্যবহার শুরু করলে প্রতিদিন যে হাজার দশেক গাড়ি, মাইক্রোবাসের বিদেশগামী যাত্রী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ, তা বন্ধ হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কারণে, এ শহরগুলোতে উন্নত মানের হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প সম্পন্ন না হওয়ার পেছনে জমি অধিগ্রহণে আইনি জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রতা অন্যতম প্রধান কারণ। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ার কারণে প্রকল্পের ব্যয় এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক বৃদ্ধি পায়। এ বিলম্ব নিরসনে দ্রুত আইন সংস্কারের কথা চিন্তা করা উচিত, যাতে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বিলম্বিত না হয়। অধিগ্রহণের পর ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে আদালতে মামলা চলতে পারে। পরবর্তীকালে আদালত সরকারনির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ প্রদান করলেও সেই অঙ্কের পরিমাণ প্রকল্প বিলম্বিত হওয়ার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, তার চেয়ে কম হবে বলেই আমার বিশ্বাস! হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে প্রকাশিত বিশ্ববিখ্যাত ‘হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’তে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের টেকসই সাফল্যের জন্য ‘ব্যালান্স স্কোর কার্ড’ পন্থার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিগত পনেরো বছরের উন্নয়ন পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, আমাদের দেশের উন্নয়ন হয়েছে ‘ওয়েল প্ল্যান অ্যান্ড ব্যালান্সড’; বাংলায় ‘সুপরিকল্পিত ও সুষম’। বন্দর থেকে মহাসড়ক, পদ্মা এবং শত শত সেতু সব একই সূত্রে গাঁথা। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ, কৃষির আধুনিকায়ন, আধুনিক পোলট্রি এবং ডেইরি শিল্প স্থাপন আমাদের খাদ্য সুরক্ষায় অবদান রাখছে। কোভিড ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন থেকে হাজার হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান অন্য দেশে স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও হবে। আমাদের দেশে ১০০ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা প্রস্তুত হচ্ছে এবং বেশ কিছুতে এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে। আমাদের সঙ্গে রয়েছে সুবিশাল কর্মক্ষম জনশক্তি। এখন প্রয়োজন এ কর্মক্ষম জনশক্তিকে আগামী দিনের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষিত করা। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই স্থাপিত হয়েছে অনেক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, গতানুগতিক ধারায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলেও চলমান উন্নয়ন, সময় এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে সংগতি না রেখে অনেক অপ্রয়োজনীয় বিভাগ এবং বিষয় স্থাপিত হয়েছে-যেসব বিভাগ/বিষয়ের কোনো চাহিদা না থাকায় মাথাপিছু লাখ লাখ সরকারি টাকা খরচ করে শিক্ষিত এবং হতাশ বেকার তৈরি করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার, ফার্মেসি, তথ্য-প্রযুক্তি, প্রকৌশল, বায়োকেমিস্ট্রি, কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আসন সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। একই কারণে সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই অপ্রয়োজনীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে প্রতি উপজেলায় টেকনিক্যাল, ভোকেশনাল, নার্সিং, প্যারা মেডিক্যাল স্কুল/ইনস্টিটিউট স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন হচ্ছে সাইকেলের মতো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার থেমে থাকার কোনো সুযোগ নেই, থামলেই সাইকেলের মতো মুখ-থুবড়ে পড়ে যেতে হবে। উন্নয়ন কোনো গন্তব্য নয়, উন্নয়ন হচ্ছে একটি চির-চলমান যাত্রা, এক উন্নত অবস্থান থেকে পরবর্তী উন্নততর গন্তব্যে যাত্রা। উন্নয়নের এক মহাকাব্য রচিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা যদি এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত না রাখতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতের ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, শক্তিশালী অবকাঠামো, সুশিক্ষিত মেধাবী বিশাল জনশক্তি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্ত ভিত্তির ওপর এখন বাংলাদেশের অবস্থান। আজ থেকে আরও পঞ্চাশ পর যখন স্মার্ট এবং উন্নত বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের ইতিহাস লেখা হবে, সেই ইতিহাসে লেখা থাকবে শত প্রতিকূলতা আর হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধুকন্যা একজন দক্ষ ও সাহসী কাণ্ডারির মতো কীভাবে দেশকে সমৃদ্ধির পথে চালিত করেছিলেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, ভবিষ্যতের ইতিহাস আমাদের উন্নয়নের পক্ষেই রচিত হবে। নাজমুল আহসান শেখ : অধ্যাপক ও প্রকৌশলী; সদস্য, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উপজেলা ভোটের পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ফের হামলা হলে ইসরাইলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেবে আ.লীগ মালিকরা সমৃদ্ধ হলেও পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়ন নেই: বিলস শোকজ শুরু বিএনপির পদধারী প্রার্থীদের তাপমাত্রা কমার সুখবর নেই, তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে সর্বত্র অস্বস্তি এআইর টার্গেটে এখন শিশুরাও জেলে ১৪ দিনের মেয়াদ বাড়ল কেজরিওয়ালের গণহত্যা-ধ্বংস-ক্ষুধা-বর্বরতার ২০০ দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় বক্সিং টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জিনাতের সোনা জয় গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় বাবা-ছেলে আহত এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন ডিপজল মাদক অভিযানে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য আহত ১৮ বছর পর স্কটল্যান্ডের দ্বীপে মিলল রেসের হাঁস তাপমাত্রা কমার সুখবর নেই, তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে সর্বত্র অস্বস্তি ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করে যে বার্তা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা ব্যাংক একীভূতকরণ দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি সাবেক প্রেমিকাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন সৃজিত! চেয়ারম্যানরা এমপি মন্ত্রীর স্বজন হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন: মির্জা আজম