ঈদে খাবারে যেসব সতর্কতা মানবেন – U.S. Bangla News




ঈদে খাবারে যেসব সতর্কতা মানবেন

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৪ | ৯:৩৫
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ঈদের দিন রকমারি খাবারের আয়োজন থেকে থাকে। পছন্দের খাবার কোনটি থেকে কোনটি খাওয়া হয়, তা নিয়ে কোনো ভাবার সময় থাকে না। কেউ কেউ আবার পছন্দের খাবার অতিরিক্তও খেয়ে ফেলেন। ফলে অনেকের আবার হজমজনিত সমস্যা হয়। ঈদে কেউ ঝালজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকেন, আবার কেউ মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খান। কেউ একসঙ্গে দুটি খাবারই খেয়ে থাকেন। এ কারণে গ্যাস-অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে। এ জন্য রমজান পরবর্তী খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম। এ পুষ্টিবিদ বলেন, ঈদের দিন স্বাভাবিকভাবেই সবাই অনেক রিচ ফুড খেয়ে থাকেন। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সেমাই-পায়েস ও

জর্দাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার গরু বা খাশির গোশত, লুচি-পরোটাও খেয়ে থাকেন। এসব খাবার আসলে একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। ঝাল ও মিষ্টিজাতীয় খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে হজমজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারও কারও আবার গলায় ঢোকর উঠে থাকে। এ সময় গলা ও বুক জ্বালা-পোড়া অনুভব হয়। তিনি বলেন, রোজা শেষ হলে ঈদের দিন থেকেই অনেকেই কিছুক্ষণ পরপর খাবার খান। এ সময় খাদ্যতালিকায় কী থাকছে, সেটি খেয়াল রাখা জরুরি। তা না হলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে। একসঙ্গে দুই-তিন ধরনের গোশত খাওয়া যাবে না। এতে হঠাৎ প্রচুর ঘাম হতে পারে। ব্যক্তিক্ষেত্রে কখনো রক্তচাপজনিত সমস্যাও হয়ে থাকে। এমনটাও হয়ে থাকে যে

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়। আসলে রমজানে একমাস খাদ্যতালিকা মেনে চলা হলেও এরপর অনেকেই অনিয়মিত যা ইচ্ছে তাই খেয়ে থাকেন। এ সময় যেকোনো খাবারই পরিমিত খাওয়া উচিত। এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কেও কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যেকোনো খাবারই পরিমিত খেতে হবে। আর প্রধান খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সময়মত খেতে হবে। দুপুরের খাবার দুপুরেই খেতে হবে। দুপুরের খাবার বিকালে নয়। এমন অনেকেই আছেন দুপুরে ভাত না খেয়ে ফাস্টফুড, চাইনিজ বা রিচ ফুড খেয়ে থাকেন। ফলে তার ক্ষুধাভাব কমে যায়। একই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর শূন্যতা থেকেই যায়। এ পুষ্টিবিদ বলেন, গোশত, রুটি বা লুচি খাওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে

মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে এক থেকে দুই ঘণ্টা পর খাওয়া যেতে পারে। গ্রীষ্মের এই সময় মাছ-মাংস প্রয়োজনের থেকে কখনোই বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, এখন প্রচুর গরম পড়ছে। এ সময় খাদ্যতালিকায় মাছ-মাংসের পাশাপাশি সবজি রাখা উচিত। লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙা, পটল ইত্যাদি জাতীয় সবজি রাখতে পারেন। আর তরল খাবারের গুরুত্ব তো রয়েছেই। কারণ, রোজায় একমাস দিনে পানি খাওয়া হয় না। এ কারণে পানিশূন্যতার শঙ্কা থাকে। আবার ফ্রটুস সালাদ খেতে পারেন। কেউ কেউ অবশ্য বোরহানি ও টক দইও খেয়ে থাকেন।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ডিজেল পেট্রল অকটেনের দাম বাড়ল রূপপুর প্রকল্পে পরীক্ষামূলক নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু কেএনএফ দমন অভিযান: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেবে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রামের পথে এমভি আব্দুল্লাহ আন্তঃব্যাংক লেনদেন কমেছে ৮০ হাজার কোটি টাকা আম আদমি পার্টির কঠিন সময়ে নেই রাঘব চাড্ডা, যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ব্যান্ডপার্টি দিয়ে ডিভোর্সি মেয়েকে স্বাগত জানালেন বাবা! ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ: কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কর্তৃপক্ষ ‘আনু মুহাম্মদ জুতা-মোজা পরে নিজে নিজেই হাঁটতে পারবেন’ পাসওয়ার্ড ছাড়াই লক করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুযোগ নেই: ইসি আলমগীর যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বেঁকে গেছে রেললাইন টানা সপ্তম দফায় সোনার দাম কমল ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা স্থগিত কুয়ালালামপুরে ডুয়ামের মেগা ইভেন্টে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মাননা প্রদান তীব্র দাবদাহ রাত ৮ টার পর দোকানপাট খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন: তাপস দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড মে দিবসে নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির