ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
প্রতীক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে, দেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ
ডিবিপ্রধান সাংবাদিক-দুদক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শামসুজ্জামানের সনদ বাণিজ্য
কুরবানি ঈদে ছুটি মিলবে কয়দিন?
হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার চান অর্থমন্ত্রী
এখনো ভিসা পাননি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী
ডিজিটাল হজ্জ ব্যবস্থাপনা প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারক করছেন : পলক
৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথনির্দেশ দিয়েছিলেন : গণপূর্তমন্ত্রী
অনেকে অর্থকড়ি থাকলে যেখানে যান বিয়ে করেন বেনজীর কিনেছেন জমি -ব্যারিস্টার সুমন
পুলিশের আলোচিত সাবেক আইজি ড. বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গতকাল রোববার এ অভিযোগ দায়েরের কথা সাংবাদিকদের জানান। পরে তিনি বলেন, বেনজীরের দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে হেডলাইন হয়েছে, তা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির (অনুসন্ধান) ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকে আবেদন করেছি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই আবেদন করে বলেছি, এর (অভিযোগের) ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। কারণ সাবেক আইজিপির যদি এত সম্পদ থাকে, তবে বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন, তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। দেশে যারা সৎ আছেন, তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা
অসৎ, তারা মোটামুটি প্রতিযোগিতায় নামবেন। যদি অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তারা বলবেন আমরা সবাই বেনজীর হতে চাই। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশের জন্য এটি ভয়ানক বিষয়। দুদক পদক্ষেপ না নিলে কী করবেন, জানতে চাইলে সুমন বলেন, পরিষ্কার, হাইকোর্টে যাব। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল সম্পদের তথ্য-প্রমাণ সমৃদ্ধ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন প্রতিবেদনটি যুক্ত করেন। আবেদনে তিনি বলেন, বনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। চাকরিতে থাকাকালে তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবর প্রকাষ হয়েছে। এসব সম্পদ
তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন আবেদনে বলেন, বেনজীর আহমেদের বৈধ আয়ের চেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে তিনি চাকরিতে থাকাকালে পদ-পদবী, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। ফলে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমরা সম্পদের ফিরিস্তি দিয়ে ইন্টারভিউ দেই। ওনার সম্পদের ফিরিস্তি এতো বড় যে, কোনটা আগে বলবো কোনটা পরে বলবো আমার মাথায় ধরে না। দেখলাম ৮ শ’ বিঘা ৬ শ’ বিঘা প্রায় ১৪শ’ বিঘা জমি আছেতো গোপালগঞ্জের দিকে। আমার কাছে মনে
হয়, জমি যে আছে এসব অভিযোগতো তিনি অস্বীকার করেন নি। আমার এলাকায় আমি বলে এসেছিলাম যে, কিছু লোক আছে যে জায়গায়ই যায় কিছু পয়সাকড়ি থাকলে একটি করে বিয়ে করে আসে। ওনাকে ( বেনজীর আ্হমেদ) দেখলাম উনি যে জায়গায়ই গেছেন সেখানে মোটামুটি জমি-জমার মালিক হয়ে আসছেন। আর একটি বিষয় কি, একজন আইজিপি মহোদয় ওনার যদি এতো সম্পদ হয়, বৈধ-অবৈধর প্রশ্নতো পরে। ওনার ৩৪ বছরের কর্মজীবনে বেতনসহ হওয়ার পাওয়ার কথা এক কোটি ৭৪ লাখ। প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। পৌনে দুই কোটিতো ওনার বেতন-ভাতা মিলে। আর ওনার বউ আর মেয়ে মিলে মাশআল্লাহ প্রায় কয়েক শ’ কোটি । এতো টাকা যদি তার থাকে..
কেউ কোনো কথা বলে না। একটা ইনকোয়ারি যে করবে সেই কথাটি কেউ বলছে না। আমি এখনই বলছি না যে তিনি দুর্নীতিবাজ। এতো সম্পদের হিসেব আসলে একটি ইনকোয়ারির কথা বলবে না কেউ ? আপনি দেখবেন যে, ৩১ তারিখে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আমি কাউকে কথা বলতে শুনিনি। সবাই মনে হচ্ছে ভয় পায়। হয় মারা যাবো। না হয় তাকে মামলা দেবে। তাকে এই করবে সেই করবে। মানে কী ! আরে ভাই, এটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ । স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর কন্যাতো স্পষ্ট বলছেন যে, দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তাইলে এরকম একজন আইজিপির এতো সম্পদের হিসেবে এসেছে কেউ কথা বলবে না ? আর দুদক ?
আল্লাহ মাবুদ জানেন! নিজে স্টার্টতো নিতেই পারে না। ধাক্কাইয়া ধাক্কাইয়া স্টার্ট হয় না। আমিতো অনেক দিন ওয়েট করেছি। যখন রিপোর্টটি দেখেছি তখন আমি আমেরিকায়। আরে ভাই একটা কাজতো করো ! এতোগুলো বেতন নিচ্ছো। কেবল কাজী আর সাব রেজিস্ট্রারের মামলার করার জন্য দুদক আসে নাই তো! আর বড় জিনিস দেখলেই দুদক চুপসে যায়। আইজিপি মহোদয় এতো সম্পদ বানাইলে হয় কি জানেন, অশনি সঙ্কেতটা কোন্ জায়গায় ? অশনি সঙ্কেত হলো গিয়ে, পরবর্তীতে যারা আইজিপি হয়ে আসবেন, তারা হয়তো ভাবছেন যে, মডেল ক্যারেক্টার আমাদের কে হবে ? যারা অসৎ হবেন তারা হয়তো বেনজির সাহেবকে ধরে নেবেন যে উনিই আমাদের আদর্শ। উনি যদি আদর্শ
হিসেবে পরবর্তী আইজিপিদেরকে ৮ শ’ ৯ শ’ এক হাজার বিঘা কেনা লাগবে। এরপর আসছেন নিচে আছেন যারা। তাদের অনেক কিছু সৎ অফিসার আছেন। তাদের মধ্যে একধরণের হতাশা তৈরি হবে। তারা ভাববেন, আমরা সৎ থেকে কি লাভ হলো ? জীবনে কিছুইতো করতে পারলাম না।
অসৎ, তারা মোটামুটি প্রতিযোগিতায় নামবেন। যদি অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তারা বলবেন আমরা সবাই বেনজীর হতে চাই। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশের জন্য এটি ভয়ানক বিষয়। দুদক পদক্ষেপ না নিলে কী করবেন, জানতে চাইলে সুমন বলেন, পরিষ্কার, হাইকোর্টে যাব। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল সম্পদের তথ্য-প্রমাণ সমৃদ্ধ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন প্রতিবেদনটি যুক্ত করেন। আবেদনে তিনি বলেন, বনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। চাকরিতে থাকাকালে তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবর প্রকাষ হয়েছে। এসব সম্পদ
তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন আবেদনে বলেন, বেনজীর আহমেদের বৈধ আয়ের চেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে তিনি চাকরিতে থাকাকালে পদ-পদবী, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। ফলে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমরা সম্পদের ফিরিস্তি দিয়ে ইন্টারভিউ দেই। ওনার সম্পদের ফিরিস্তি এতো বড় যে, কোনটা আগে বলবো কোনটা পরে বলবো আমার মাথায় ধরে না। দেখলাম ৮ শ’ বিঘা ৬ শ’ বিঘা প্রায় ১৪শ’ বিঘা জমি আছেতো গোপালগঞ্জের দিকে। আমার কাছে মনে
হয়, জমি যে আছে এসব অভিযোগতো তিনি অস্বীকার করেন নি। আমার এলাকায় আমি বলে এসেছিলাম যে, কিছু লোক আছে যে জায়গায়ই যায় কিছু পয়সাকড়ি থাকলে একটি করে বিয়ে করে আসে। ওনাকে ( বেনজীর আ্হমেদ) দেখলাম উনি যে জায়গায়ই গেছেন সেখানে মোটামুটি জমি-জমার মালিক হয়ে আসছেন। আর একটি বিষয় কি, একজন আইজিপি মহোদয় ওনার যদি এতো সম্পদ হয়, বৈধ-অবৈধর প্রশ্নতো পরে। ওনার ৩৪ বছরের কর্মজীবনে বেতনসহ হওয়ার পাওয়ার কথা এক কোটি ৭৪ লাখ। প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। পৌনে দুই কোটিতো ওনার বেতন-ভাতা মিলে। আর ওনার বউ আর মেয়ে মিলে মাশআল্লাহ প্রায় কয়েক শ’ কোটি । এতো টাকা যদি তার থাকে..
কেউ কোনো কথা বলে না। একটা ইনকোয়ারি যে করবে সেই কথাটি কেউ বলছে না। আমি এখনই বলছি না যে তিনি দুর্নীতিবাজ। এতো সম্পদের হিসেব আসলে একটি ইনকোয়ারির কথা বলবে না কেউ ? আপনি দেখবেন যে, ৩১ তারিখে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আমি কাউকে কথা বলতে শুনিনি। সবাই মনে হচ্ছে ভয় পায়। হয় মারা যাবো। না হয় তাকে মামলা দেবে। তাকে এই করবে সেই করবে। মানে কী ! আরে ভাই, এটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ । স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর কন্যাতো স্পষ্ট বলছেন যে, দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তাইলে এরকম একজন আইজিপির এতো সম্পদের হিসেবে এসেছে কেউ কথা বলবে না ? আর দুদক ?
আল্লাহ মাবুদ জানেন! নিজে স্টার্টতো নিতেই পারে না। ধাক্কাইয়া ধাক্কাইয়া স্টার্ট হয় না। আমিতো অনেক দিন ওয়েট করেছি। যখন রিপোর্টটি দেখেছি তখন আমি আমেরিকায়। আরে ভাই একটা কাজতো করো ! এতোগুলো বেতন নিচ্ছো। কেবল কাজী আর সাব রেজিস্ট্রারের মামলার করার জন্য দুদক আসে নাই তো! আর বড় জিনিস দেখলেই দুদক চুপসে যায়। আইজিপি মহোদয় এতো সম্পদ বানাইলে হয় কি জানেন, অশনি সঙ্কেতটা কোন্ জায়গায় ? অশনি সঙ্কেত হলো গিয়ে, পরবর্তীতে যারা আইজিপি হয়ে আসবেন, তারা হয়তো ভাবছেন যে, মডেল ক্যারেক্টার আমাদের কে হবে ? যারা অসৎ হবেন তারা হয়তো বেনজির সাহেবকে ধরে নেবেন যে উনিই আমাদের আদর্শ। উনি যদি আদর্শ
হিসেবে পরবর্তী আইজিপিদেরকে ৮ শ’ ৯ শ’ এক হাজার বিঘা কেনা লাগবে। এরপর আসছেন নিচে আছেন যারা। তাদের অনেক কিছু সৎ অফিসার আছেন। তাদের মধ্যে একধরণের হতাশা তৈরি হবে। তারা ভাববেন, আমরা সৎ থেকে কি লাভ হলো ? জীবনে কিছুইতো করতে পারলাম না।