৭১ বছরের জাতীয় দলের তকমা হারালো সিপিআই, রইল একা কংগ্রেস – U.S. Bangla News




৭১ বছরের জাতীয় দলের তকমা হারালো সিপিআই, রইল একা কংগ্রেস

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১১ এপ্রিল, ২০২৩ | ৪:১৩
১৯৫২ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৬টি আসনে জিতে অন্যতম বিরোধী দল হয়েছিল অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)। ইতিহাস বলছে, ১৯২৫ সালে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশের প্রাচীনতম এই কমিউনিস্ট পার্টি ১৯৫২ সালে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে অন্যতম জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছিল। সেই নির্বাচনে জাতীয় দলের তকমা পাওয়া ১৪টি দলের অধিকাংশই হারিয়ে গেছে। টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে জাতীয় দলের তালিকায় ছিল শুধু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ (কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া বা সিপিআই)। সোমবার নির্বাচন কমিশন ছয়টি জাতীয় দলের যে তালিকা প্রকাশ করেছে মধ্যে ওই ১৪টি দলের ১৩টিই অনুপস্থিত। নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপে এবার সিপিআই জাতীয় দলের তকমা হারিয়ে ফেললো।

এর ফলে টিকে রইল শুধু কংগ্রেস। শুধু লোকসভা ভোট নয়, দেশের প্রধান অকংগ্রেস দল হিসেবে কেরলে প্রথম বিধানসভা নির্বাচনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল সিপিআই। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ আমলে বঙ্গীয় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে এই দলের প্রার্থী হিসেবেই জিতেছিলেন জ্যোতি বসু। প্রসঙ্গত, সিপিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির একদা নেতৃত্বে ছিলেন লালা লজপত রায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এবং জওহরলাল নেহরু। কংগ্রেস ও সিপিআই ছাড়াও স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে ১২টি দল জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছিল। এ বি বর্ধন, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত এবং ডি রাজা তার মধ্যে ছিল, ভারতীয় জনসঙ্ঘ (বিজেএস), বলশেভিক পার্টি অব ইন্ডিয়া (বিপিআই), ফরওয়ার্ড ব্লক (মার্কসিস্ট গ্রুপ), ফরওয়ার্ড ব্লক (রুইকার গ্রুপ), অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা,

কৃষিকর লোক পার্টি (কেএলপি), কিসান মজদুর প্রজা পার্টি, রেভলিউশনারি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (আরসিপিআই), অখিল ভারতীয় রাম রাজ্য পরিষদ, রেভলিউশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি (আরএসপি), অল ইন্ডিয়া শিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি। এর মধ্যে পরবর্তীকালে জনসঙ্ঘ নাম বদলে হয়েছিল বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ১৯৬৪ সালে অবিভক্ত সিপিআই ভেঙে জ্যোতি বসু, ইএমএস, নাম্বুদ্রিপাদ, হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ, বিটি রণদিভে, পি সুন্দরাইয়া, বাসবপুন্নাইয়া সিপিএম গড়ার পর সাংগঠনিকভাবে জাতীয় স্তরে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল সিপিআই। তবুও ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, এবি বর্ধন, অচ্যুত মেনন, বাসুদেবন নায়ারদের নেতৃত্বে জাতীয় দলের মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে পেরেছিল সিপিআই। বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলোতে ‘কাস্তে-ধানের শিস’ ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী বাম

দল। কিন্তু সেখানে ধর্ম এবং জাতপাতভিত্তিক রাজনীতির উত্থানে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে দেশের সবচেয়ে পুরনো কমিউনিস্ট পার্টি। ডি রাজা, অতুল অঞ্জনদের জমানায় জাতীয় দলের মর্যাদাও হারাল সিপিআই।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজস্ব আদায়ে ৫ চ্যালেঞ্জ চার দিনে খান ইউনিস ছেড়েছেন পৌনে ২ লাখ ফিলিস্তিনি দেশে আর কতদিন কারফিউ থাকবে? কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে শুধুই নীরব অশ্রু গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু সাধারণ শিক্ষার্থী জনজীবন স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারা অধিদপ্তরে জরুরি সিকিউরিটি সেল সীমিত আকারে চলছে দূরপাল্লার বাস, যাত্রী কম ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ১০ দিনে কারাগারে ৩৩০ চট্টগ্রামে গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘তারেক রহমানের হামলার নির্দেশনার অডিও সরকারের কাছে’ সরকার দিশেহারা হয়ে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে: জামায়াত সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির মাঠে থাকার অঙ্গীকার আ.লীগ নেতাদের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা পেতে যা করবেন কী হয়েছিল জাহ্নবীর? সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান প্রকৃত কোনো ছাত্রই এই হামলায় জড়িত ছিল না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী