২০১৯ সালে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ছিল ভারত-পাকিস্তান




২০১৯ সালে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ছিল ভারত-পাকিস্তান

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৪১
২০১৯ সালে বালাকোট বিমান হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল বলে তার ‘নেভার গিভ অ্যান ইনচ: ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’ বইতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে মার্কিন হস্তক্ষেপে সেই উত্তেজনা আর বাড়তে পারেনি বলে দাবি পম্পেওর। পম্পেও তার বইয়ে লিখেছেন, ‘২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব যে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, সে বিষয়ে বিশ্ব সঠিকভাবে জানে, আমি তা মনে করি না।’ সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিকের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেন এবং সুষমা

তাকে জানান যে, বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ভারতও তার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বইয়ে পম্পেও লিখেছেন, সে সময় ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি যুক্তরাষ্ট্র–উত্তর কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য হ্যানয়ে ছিলেন। কিন্তু তার দল এই সংকট এড়াতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের সঙ্গে রাতের মধ্যেই কাজ করেছিল। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ওই রাতের কথা আমি কখনোই ভুলব না। অবস্থা এমন ছিল যে, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে যে আলোচনা চলছিল, সেই জটিলতা যেন যথেষ্ট ছিল না, কাশ্মীরের সীমান্ত জটিলতা নিয়ে কয়েক দশক ধরে চলে আসা বিরোধের জেরে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে হুমকি দিতে

শুরু করল। পম্পেও আরও লিখেছেন, সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন যে তার বিশ্বাস পাকিস্তানিরা পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতও পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি তাকে কিছু না করার পরামর্শ দিয়ে বলি কী হচ্ছে সেটা বোঝার জন্য আমাদের কিছু সময় দিন। আমি তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কাজ শুরু করি। পাকিস্তানের ‘আসল নেতা’, তৎকালীন সেনাপ্রধানের জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গেও কথা বলেন বলে লিখেছেন পম্পেও। জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে কথা বলে পম্পেও বুঝতে পারেন যে তাদের বিশ্বাস উল্টো ভারতীয়রা পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদকে এটা বোঝাতে আমাদের কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে যে, কোনো পক্ষই

আসলে এমন কোনো হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে না। ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে ওই রাতে আমরা যা করেছিলাম, কোনো দেশই তা করতো না,’ লিখেছেন তিনি। মাইক পম্পেওর এই দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হওয়ার পর পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা করে ভারত। ওই সময় পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাইলটকে আটক করেছিল।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
প্রবলবেগে ধেয়ে আসছে উজানের ঢল, রুদ্রমূর্তি তিস্তার চার দিনের মাথায় সোনার দাম আরও কমল গ্রামীণ টেলিকম দুর্নীতি: দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ৪ পরিচালক জিএসপি প্লাস পেতে শ্রম আইন সংশোধনের তাগিদ ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৫৬৪ দেশে ফেরার পথে বিমানে যাত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিনিময় খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিলেন রব ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে’-কাদেরের বক্তব্যের জবাব দিলেন দুদু ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সৌদিকে যা বললেন খামেনি দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: ড. জাহিদ হোসেন অসাবধানতাবশত রসায়নে ৩ নোবেল বিজয়ীর নাম প্রকাশ! কী এমন করেছি যে আমাদের ওপর আস্থা আনা যাচ্ছে না: ইসি রাশেদা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপির পেইড এজেন্টরা: তথ্যমন্ত্রী নোবেল কমিটির ফোন পেয়ে বললেন, ‘আমি একটু ব্যস্ত, ক্লাস নিচ্ছি’ ‘প্রধান বিরোধীদল না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না’ রুদ্ধশ্বাস জয়ে সেমিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে খালেদা জিয়ার: আইনমন্ত্রী এবার ২৫ প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খড়গ বৃহস্পতিবার দুদকে যাবেন ড. ইউনূস মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে কমছে ক্রয়ক্ষমতা