![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-827086-1720733952.jpg)
বৃষ্টি-ব্লকেডের অজুহাতে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-825447-1720383387.jpg)
কোটা বাতিলের দাবি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-825518-1720385295.jpg)
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের প্রতি কোনোই সহমর্মিতা নেই?
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-825037-1720307885.jpeg)
অর্থনীতির চার চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-824671-1720215459.jpg)
সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন: অনিয়ম-দুর্নীতি রোধেও নিতে হবে পদক্ষেপ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/07/image-823900-1720026885.jpg)
বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়ল একলাফে পাঁচ গুন!
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/06/image-822250-1719702813.jpg)
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি, দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে
সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা স্বাধীনতার ইশতেহারে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/03/image-780389-1709414534.jpg)
অগ্নিঝরা মার্চের তৃতীয় দিন আজ। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ঘোষিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। পাঠ করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার।
এতে বলা হয়-৫৪ হাজার ৫০৬ বর্গমাইল বিস্তৃত ভৌগোলিক এলাকার সাত কোটি মানুষের জন্য আবাসভূমি হিসাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ। ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।
ইশতেহারটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল করতালির মধ্যে প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পল্টন ও পার্শ্ববর্তী এলাকা।
সভায়-‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, দীর্ঘজীবী হউক’; ‘স্বাধীন কর স্বাধীন কর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’; ‘স্বাধীন বাংলার মহান নেতা, বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব’; ‘গ্রামে গ্রামে দুর্গ গড়, মুক্তিবাহিনী গঠন কর’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’; ‘মুক্তি যদি পেতে চাও, বাঙালিরা এক হও’-জয়ধ্বনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন আন্দোলনে ব্যবহৃত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। ৩ মার্চের ওই জনসভাতেই ঘোষণা আসে ৭ মার্চে রেসকোর্সের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সেই ঐতিহাসিক জনসভার। যেখান থেকে বাঙালি জাতির মহান শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-‘এদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতালের সময় শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। হরতাল
চলাকালে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলি বর্ষণ ও বিভিন্ন ঘটনায় সারা দেশে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। ঢাকা ছাড়াও রংপুর এবং সিলেটে কারফিউ জারি করা হয়।’ ‘রংপুরে পাক সেনাবাহিনী ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে দুপুর আড়াইটা থেকে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়। সিলেটে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্র্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। ঢাকায় কারফিউয়ের মেয়াদ শিথিল করে রাত ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্র্যন্ত বলবৎ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় ১০ মার্চ ঢাকায় নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।’ ‘রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়, এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ২ সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পরিষদ
অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। বঙ্গবন্ধু ভুট্টোর উদ্দেশে বলেন, গণতান্ত্রিক নিয়মে প্রণীত এক শাসনতন্ত্র যদি না চান তাহলে আপনাদের শাসনতন্ত্র আপনারা রচনা করুন। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র আমরাই রচনা করব।’ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুলেটে আহতদের জীবন রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি ব্লাড ব্যাংকে রক্তদানের উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলার স্বাধিকার বিরোধী বিশেষ মহল নিজস্ব এজেন্টদের দিয়ে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্বাধিকার আন্দোলন বিপথগামী করার এ অশুভ চক্রান্ত রুখতেই হবে।’
শেখ মুজিব’; ‘গ্রামে গ্রামে দুর্গ গড়, মুক্তিবাহিনী গঠন কর’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’; ‘মুক্তি যদি পেতে চাও, বাঙালিরা এক হও’-জয়ধ্বনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন আন্দোলনে ব্যবহৃত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। ৩ মার্চের ওই জনসভাতেই ঘোষণা আসে ৭ মার্চে রেসকোর্সের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সেই ঐতিহাসিক জনসভার। যেখান থেকে বাঙালি জাতির মহান শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-‘এদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতালের সময় শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। হরতাল
চলাকালে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলি বর্ষণ ও বিভিন্ন ঘটনায় সারা দেশে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। ঢাকা ছাড়াও রংপুর এবং সিলেটে কারফিউ জারি করা হয়।’ ‘রংপুরে পাক সেনাবাহিনী ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে দুপুর আড়াইটা থেকে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়। সিলেটে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্র্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। ঢাকায় কারফিউয়ের মেয়াদ শিথিল করে রাত ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্র্যন্ত বলবৎ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় ১০ মার্চ ঢাকায় নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।’ ‘রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়, এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ২ সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পরিষদ
অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। বঙ্গবন্ধু ভুট্টোর উদ্দেশে বলেন, গণতান্ত্রিক নিয়মে প্রণীত এক শাসনতন্ত্র যদি না চান তাহলে আপনাদের শাসনতন্ত্র আপনারা রচনা করুন। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র আমরাই রচনা করব।’ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুলেটে আহতদের জীবন রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি ব্লাড ব্যাংকে রক্তদানের উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলার স্বাধিকার বিরোধী বিশেষ মহল নিজস্ব এজেন্টদের দিয়ে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্বাধিকার আন্দোলন বিপথগামী করার এ অশুভ চক্রান্ত রুখতেই হবে।’