যৌন হয়রানি ঠেকাতে যে ছোট ‘অস্ত্র’ ব্যবহার করছেন ভারতীয় নারীরা – U.S. Bangla News




যৌন হয়রানি ঠেকাতে যে ছোট ‘অস্ত্র’ ব্যবহার করছেন ভারতীয় নারীরা

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২০ মার্চ, ২০২৩ | ৮:২৭
ভারতের প্রায় প্রতিটা নারী জনসমাগমস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। এসব হেনস্তা থেকে বাঁচতে নানা ধরনের কৌশলও গ্রহণ করেন তারা। অনেকে ছাতা ব্যবহার করেন, লম্বা নখ রাখেন, আবার অনেকে জুতার হিলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে এবার সবকিছু ছাপিয়ে যৌন হয়রানি ঠেকাতে হাতিয়ারের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সেফটি পিনের নাম। ১৮৪৯ সালে এটি উদ্ভাবনের পর থেকে নারীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় সেফটি পিন। পোশাক সুন্দর করে পরতে বা শাড়ির ভাঁজ ঠিক রাখতে ব্যবহার হয় সেফটি পিন। ভারতের বেশ কয়েকজন নারী টুইটারে জানান, তারা সবসময় তাদের হ্যান্ডব্যাগ বা গায়ে একটি পিন বহন করেন। জনাকীর্ণ জায়গায় বিকৃতদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি তাদের পছন্দের অস্ত্র। তাদের একজন

২০ বছরের দীপিকা শেরগিল জানান, তিনি অফিসে যাতায়াতের জন্য নিয়মিত একটি বাসে যেতেন। সেই বাসে ৪০ বছরের এক ব্যক্তিও যাতায়াত করতেন। শেরগিল বলেন, ‘তিনি সবসময় আমার পাশে এসে দাঁড়াতেন, ঝুঁকে পড়তেন। ড্রাইভার যখনই ব্রেক কষতেন, তখনই আমার ওপর পড়ে যেতেন।’ তিনি বলেন, কিন্তু একদিন সব সীমা লঙ্ঘন করেন ওই ব্যক্তি। বাসে হস্তমৈথুন করে আমার কাঁধে বীর্যপাত করেন। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই, অনেক হয়েছে, আর না। এবার তাকে শাস্তি দিতেই হবে।' তিনি বলেন, ‘নিজেকে ভীষণ অপবিত্র লাগছিল। বাড়িতে পৌঁছে অনেকক্ষণ গোসল করেছি। মাকেও বলিনি আমার সঙ্গে কি হয়েছে। সে রাতে ঘুমাতে পারিনি। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবতে পারছিলাম না। তারপর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু

করি। আমি তার ক্ষতি করতে চেয়েছিলাম, তাকে আঘাত করতে চেয়েছিলাম। পরদিন ফ্লাট জুতা ছেড়ে হাইহিল পরি। কাপড়ের সঙ্গে নিই সেফটি পিন।' শেরগিল বলেন, ‘তিনি এসে আমার পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার আসন থেকে উঠে দাঁড়ালাম এবং আমার হিল দিয়ে তার পায়ের আঙুলগুলো পিষে ফেললাম। তার চিৎকারে প্রচণ্ড আনন্দ অনুভব করেছিলাম। তারপর সেফটি পিন দিয়ে তার কপালে খোঁচা দিই এবং বাস থেকে নেমে পড়ি। পরের এক বছর ওই বাসে যাতায়াত করলেও, কেবল একদিন তাকে দেখতে পেয়েছিলেন শেরগিল। শেরগিলের গল্পটা শুনতে ভয়ংকর হলেও এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে ভারতে। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, এখানে আসলে ভয় বা লজ্জার কিছু নেই। সমাজের ভয়ে

অনেক নারী প্রতিবাদ করে না। আর এটারই সুযোগ নেয় শ্লীলতাহানিকারীরা। ২০২১ সালে ভারতের ১৪০টি শহরে চালানো অনলাইন সমীক্ষা অনুসারে, ৫৬ শতাংশ নারী গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। মাত্র ২ শতাংশ পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেছে, তারা নিজেরাই পদক্ষেপ নিয়েছেন বা পরিস্থিতি উপেক্ষা করতে পেরেছেন। ৫২ শতাংশের বেশি বলেছেন, নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষা এবং চাকরির সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কী হয়েছিল জাহ্নবীর? সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান প্রকৃত কোনো ছাত্রই এই হামলায় জড়িত ছিল না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল, আটক ৩ ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি সুজনের যেকোনো অরাজকতা রুখতে আমরা মাঠে ছিলাম, আছি : লিটন রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর বিদেশি উৎসবে মেহজাবীনের সিনেমা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তারা, পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্বের শঙ্কা দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানাতে চায়, তারা এ ধরণের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সেতু ভবনে হামলা : পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে পুলিশ মারলে দশ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল: ডিবি প্রধান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের আয় এক দশকে ৪০ ট্রিলিয়ন বেড়েছে : অক্সফাম যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের বিচার হবে : ওবায়দুল কাদের প্রতিটি হামলার বিচার হবে, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল বিটিভি’র ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী দুর্বৃত্তরা ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে