
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর

আরও ১০০ ইউএনও বদলির প্রস্তাব কমিশনে

কাঁচামাল আমদানি কমায় রাজস্ব আয় কমেছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে নেপালের জলবিদ্যুৎ আনছে সরকার

ইসিতে ৩৩৮ ওসির বদলির তালিকা

বিদেশিদের কমিশনের ওপর চাপ দেওয়ার কোনো অধিকার নেই: ইসি আলমগীর

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও একজোড়া নতুন ট্রেন

এবার ডিবি অফিসে ভাত খেলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর
মূল্যায়ন জটিলতায় ইভিএম প্রকল্প

মূল্যায়ন জটিলতায় পড়েছে ‘নির্বাচনব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ প্রকল্প। চলমান এ প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন ছাড়া নতুন করে আরেকটি প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এক্ষেত্রে সমাপ্ত প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন চেয়েছে সংস্থটি। কিন্তু সেটি সম্ভব না হওয়ায় মধ্যবর্তী মূল্যায়ন করতে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কাছে অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। তবে এসব প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন প্রকল্পের আওতায় কেনা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
আইএমইডির সাবেক সচিব প্রদীপ রঞ্জন
চক্রবর্তী সোমবার বলেন, আইএমইডির কাছে মধ্যবর্তী মূল্যায়ন চাইলে সেটি করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা আইএমইডিতে আছেন কি না, সেটি বড় বিষয়। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এর আগে একবার ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়নের জন্য অনুরোধ এসেছিল। কিন্তু এটি খুবই টেকনিক্যাল প্রকল্প হওয়ায় মূল্যায়ন করার মতো কারিগরি জ্ঞানের অধিকারী কর্মকর্তা আইএমইডিতে ছিলেন না। তখন ডিপিপিতে উল্লিখিত কমিটির মাধ্যমে মূল্যায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটি নির্ভর করছে আইএমইডির ওপর। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের চলমান ইভিএম কেনা প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এটির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন
পর্যন্ত রয়েছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল অধিকতর সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। প্রকল্পটির আওতায় ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুযায়ী নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সংসদীয় ও স্থানীয় সরকারের মিলে ১ হাজার ৬০টি নির্বাচন করা হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএম ও আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য একটি নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। কিন্তু সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন নির্দেশিকা অনুসারে নতুন প্রকল্প গ্রহণে আইএমইডির মাধ্যমে চলমান প্রকল্পের সমাপ্ত মূল্যায়ন
প্রতিবেদন প্রয়োজন। তবে চলমান ইভিএম সংক্রান্ত প্রকল্পটি এখনো শেষ হয়নি। আগামী জুনে শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে মধ্যবর্তী মূল্যায়ন প্রতিবেদন হলেও চলবে বলে জানা গেছে। এজন্যই মধ্যবর্তী মূল্যায়নের জন্য আইএমইডির সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে নতুন করে ইভিএম কিনতে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। এতে ২ লাখ ইভিএম কিনতে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা চায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরেই চাওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তবে পুরো প্রকল্পটি
বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৫০ আসনের জন্য ইভিএম কিনতে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়। এজন্য ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এ প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে প্রকল্পটি নিয়ে নানা পর্যবেক্ষণ দেয় পরিকল্পনা কমিশন। এরপর থেকে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন-আল-রশীদ সোমবার বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি প্রথম প্রস্তাব আসার পর আমরা প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠক করেছি। সেখানে নানা বিষয়ে সুপারিশ দিয়ে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরপর আমি দায়িত্বে থাকা পর্যন্ত (২৯ ডিসেম্বর) বাকি বিষয়টি জানি না।
কেননা এরপর প্রস্তাব এলে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সেক্টরে আসবে। তারাই অন্য বিষয়গুলো দেখবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়ন প্রতিবেদন হলে সেটিও হতে পারে। এটি নির্ভর করে পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভার ওপর। সূত্র জানায়, এর আগে ইসি থেকে বলা হয়েছিল, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। সেখানে অনুমোদন প্রক্রিয়াই আছে এখনো মাঝপথে। এছাড়া ইভিএম দেশে বানানো হলেও এর ডিভাইসগুলো আমদানি করতে হয়। এতে ডলারের জোগান প্রয়োজন হবে। বর্তমানে কৃচ্ছ্রসাধনের সময় এত ডলার কীভাবে দেওয়া হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবে
বলা হয়েছিল, ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলোয় আনুমানিক ভোটকেন্দ্র থাকবে ২৫ হাজারটি। প্রতিটিতে ৭টি করে ভোটকক্ষে প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ সেট ইভিএম প্রয়োজন হবে। এর সঙ্গে ভোটার শিখনের জন্য ৫০ হাজার সেট এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য ২৫ হাজার সেট ইভিএম প্রয়োজন। সর্বমোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার সেট ইভিএম লাগবে। চলমান প্রকল্পের আওতায় কেনা ইভিএমের মধ্যে সচল রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজারটি। এজন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ইভিএম কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সুশাননের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইভিএম প্রকল্প সম্পর্কে এর আগে বলেছিলেন, ইভিএম একটা জালিয়াতির যন্ত্র। এই যন্ত্র কিনতে কৃচ্ছ সাধরণের সময়
এত বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করাটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইভিএম নিয়ে যে অভিযোগ আছে, সেগুলো সমাধান না করে এমন উদ্যোগ ঠিক নয়। এটা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে জালিয়াতির দিকে নিয়ে যাওয়ার একটা চূড়ান্ত পদক্ষেপ।
চক্রবর্তী সোমবার বলেন, আইএমইডির কাছে মধ্যবর্তী মূল্যায়ন চাইলে সেটি করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা আইএমইডিতে আছেন কি না, সেটি বড় বিষয়। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এর আগে একবার ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়নের জন্য অনুরোধ এসেছিল। কিন্তু এটি খুবই টেকনিক্যাল প্রকল্প হওয়ায় মূল্যায়ন করার মতো কারিগরি জ্ঞানের অধিকারী কর্মকর্তা আইএমইডিতে ছিলেন না। তখন ডিপিপিতে উল্লিখিত কমিটির মাধ্যমে মূল্যায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটি নির্ভর করছে আইএমইডির ওপর। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের চলমান ইভিএম কেনা প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এটির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন
পর্যন্ত রয়েছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল অধিকতর সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। প্রকল্পটির আওতায় ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুযায়ী নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সংসদীয় ও স্থানীয় সরকারের মিলে ১ হাজার ৬০টি নির্বাচন করা হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএম ও আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য একটি নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। কিন্তু সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন নির্দেশিকা অনুসারে নতুন প্রকল্প গ্রহণে আইএমইডির মাধ্যমে চলমান প্রকল্পের সমাপ্ত মূল্যায়ন
প্রতিবেদন প্রয়োজন। তবে চলমান ইভিএম সংক্রান্ত প্রকল্পটি এখনো শেষ হয়নি। আগামী জুনে শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে মধ্যবর্তী মূল্যায়ন প্রতিবেদন হলেও চলবে বলে জানা গেছে। এজন্যই মধ্যবর্তী মূল্যায়নের জন্য আইএমইডির সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে নতুন করে ইভিএম কিনতে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। এতে ২ লাখ ইভিএম কিনতে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা চায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরেই চাওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তবে পুরো প্রকল্পটি
বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৫০ আসনের জন্য ইভিএম কিনতে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়। এজন্য ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এ প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে প্রকল্পটি নিয়ে নানা পর্যবেক্ষণ দেয় পরিকল্পনা কমিশন। এরপর থেকে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন-আল-রশীদ সোমবার বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি প্রথম প্রস্তাব আসার পর আমরা প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠক করেছি। সেখানে নানা বিষয়ে সুপারিশ দিয়ে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরপর আমি দায়িত্বে থাকা পর্যন্ত (২৯ ডিসেম্বর) বাকি বিষয়টি জানি না।
কেননা এরপর প্রস্তাব এলে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সেক্টরে আসবে। তারাই অন্য বিষয়গুলো দেখবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়ন প্রতিবেদন হলে সেটিও হতে পারে। এটি নির্ভর করে পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভার ওপর। সূত্র জানায়, এর আগে ইসি থেকে বলা হয়েছিল, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। সেখানে অনুমোদন প্রক্রিয়াই আছে এখনো মাঝপথে। এছাড়া ইভিএম দেশে বানানো হলেও এর ডিভাইসগুলো আমদানি করতে হয়। এতে ডলারের জোগান প্রয়োজন হবে। বর্তমানে কৃচ্ছ্রসাধনের সময় এত ডলার কীভাবে দেওয়া হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবে
বলা হয়েছিল, ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলোয় আনুমানিক ভোটকেন্দ্র থাকবে ২৫ হাজারটি। প্রতিটিতে ৭টি করে ভোটকক্ষে প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ সেট ইভিএম প্রয়োজন হবে। এর সঙ্গে ভোটার শিখনের জন্য ৫০ হাজার সেট এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য ২৫ হাজার সেট ইভিএম প্রয়োজন। সর্বমোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার সেট ইভিএম লাগবে। চলমান প্রকল্পের আওতায় কেনা ইভিএমের মধ্যে সচল রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজারটি। এজন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ইভিএম কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সুশাননের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইভিএম প্রকল্প সম্পর্কে এর আগে বলেছিলেন, ইভিএম একটা জালিয়াতির যন্ত্র। এই যন্ত্র কিনতে কৃচ্ছ সাধরণের সময়
এত বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করাটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইভিএম নিয়ে যে অভিযোগ আছে, সেগুলো সমাধান না করে এমন উদ্যোগ ঠিক নয়। এটা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে জালিয়াতির দিকে নিয়ে যাওয়ার একটা চূড়ান্ত পদক্ষেপ।